Bashundhara Kings : আজ খেলা শুরু হওয়ার আগেই গ্যালারিতে উৎসবে মেতেছিল দর্শকরা। ধিরে ধিরে গ্যালারিতে লাল টি–শার্ট পরা দর্শকে ভরে গিয়েছিল। বসুন্ধরা কিংস এর পতাকা ও বাদ্যবাজনা নিয়ে সময়টা উপভোগ করেছিলেন দর্শকরা পুরো ম্যাচটিতে। শেষে ঐতিহাসিক মুহূর্তের মধ্যেই সাক্ষী হলো আজকে বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনা।
এদিকে প্রথমার্ধে নাটকীয়তার পরেই দ্বিতীয়ার্ধে একপেশে পড়া ম্যাচে ১০টি গোল! শেখ রাসেল ক্রীড়াচক্রে ৬ থেকে ৪ গোলে হারিয়ে এবার টানা ৪ বার প্রিমিয়ার ফুটবল লিগ জিতে নিয়েছে বসুন্ধরা কিংস। ম্যাচটিতে ৪ গোল করেন ব্রাজিলিয়ান স্ট্রাইকার দরিয়েলতন গোমেজ। তাঁর এই নৈপুণ্যের কারণেই বসুন্ধরা কিংস স্বাধীন বাংলাদেশের ইতিহাসের নতুন রেকর্ড গড়েছে।
১৯৭১ সালের স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের কোনো একটি ক্লাব একটানা ৪টি লিগ শিরোপা জেততে পারেনি। এছাড়াও ১৯৮৩ সাল থেকে ৮৫ সাল নাগাদ টানা ৩ বার জেতেছিল আবাহনী লিমিটেড। তারপর ১৯৮৬ সাল থেকে ’৮৮-৮৯ নাগাদ টানা তিন লিগ ঘরে নিয়ে আসে মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব। আবার ২০০৭ সালের দিকে পেশাদার লিগ চালু হওয়ার পর প্রথম ৩ বার চ্যাম্পিয়ন হয় আবাহনী লিমিটেড। এ যাবৎ কোনো দলই টানা ৪ টি লিগ জিততে পারেনি। আজ লিগ জেতার নতুন রেকর্ড সেই কীর্তি প্রথমবার গড়ল বসুন্ধরা কিংস। সেটাও আবার ৩টি ম্যাচ হাতে রেখেই, সেই লিগটাকে একপেশে বানিয়ে।
এছাড়াও স্বাধীনতার আগেও ১৯৫৩ থেকে ৫৪ সালের দিকে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাব। তারপর ১৯৫৫ সালের লিগেও এগিয়ে ছিল তারা। কিন্তু বড় ধরণের একটি বন্যার কারণে সেই লিগ শেষ হয়নি। আবার পরের বছরে ওয়ান্ডারার্সই চ্যাম্পিয়ন হয়। বন্যার কারণে লিগটি পরিত্যক্ত হওয়ার কারণে হয়তো টানা ৪ লিগ জেতার সম্ভবনা ছিল ঢাকা ওয়ান্ডারার্স ক্লাবের।
কিন্তু বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর আজ প্রথম কোনো দল টানা ৪ বার চ্যাম্পিয়ন হয়ে শেখ রাসেলের বিপক্ষে জয়টা প্রয়োজন ছিল বসুন্ধরা কিংসের। ম্যাচ শুরু হতেই ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ে শেখ রাসেল তারপর ২-১ গোলে এগিয়ে যায়। সুজন ও দীপক দুটি গোল করেন। তবে ম্যাচটি এগিয়ে যাওয়ার পর তারা খেলাটা ঠিকঠাকভাবে ধরে রাখতে পারেনি শেখ রাসেল। এদিকে গোল খায় উদার হয়ে।
দরিয়েলতন এই ম্যাচে প্রথম গোল করেছেন। তারপর বসুন্ধরা কিংস ২-১ গোলে পিছিয়ে গেলে পর পর ২-২ করেন রবসন রবিনিও। ৩-২ করেন কিংস এর ফরোয়ার্ড মোরসালিন। ম্যাচের বাকি সময়টা খেলেছেন শুধুই দরিয়েলতনের। দরিয়েলতন একাই চতুর্থ-পঞ্চম ও ষষ্ঠ গোল করেন এবং শেখ রাসেলকে পুরোপুরী নাস্তানাবুদ করে ফেলেন। শেখ রাসেলের অভিজ্ঞ গোলকিপার আশরাফুল ইসলাম শুধু দাঁড়িয়ে থেকে গোল খেয়েছেন তারপর ৬-৩ গোল হওয়ার পর ম্যাচের শেষের দিকে পেনাল্টিতে ৬-৪ গোল করেন নাইজেরিয়ার স্ট্রাইকার ইকেচুকু।
Bashundhara Kings : তারপর ম্যাচটি শেষ হওয়ার ঠিক পাঁচ মিনিট আগেই জ্বলে ওঠে ফ্লাডলাইট। সেই সময়ে দারুণ দেখাচ্ছিল কিংস অ্যারেনা। সেই আলোতে আরও উজ্জ্বল দেখায় বসুন্ধরা কিংসকে।
সূত্র:- Right News BD