উচ্চ রক্তচাপ কাকে বলে

আজকে আমরা পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। তা হলো হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ সম্পর্কে। উচ্চ রক্তচাপের প্রচলিত পাঁচটি ধারণা জেনে নেয়ার পূর্বে জেনে নেই হাইপারটেনশন বা উচ্চ রক্তচাপ আসলেই কি? আমরা সবাই জানি আমাদের রক্তপ্রবাহর জন্য শরীর একটা নির্দিষ্ট মাত্রায় চাপ থাকতে হয় যেটাকে কম রক্তচাপ বলা হয়। একজন সুস্থ স্বাভাবিক মানুষের স্বাভাবিক রক্তচাপ সিস্টোলিককে আমরা উপরে প্রেশার বলি।

এটি ১১০ থেকে ১৪০ মিলিমিটার মার্কারি এবং নিচেরটা ৬০ থেকে ৯০ মিলিমিটার মার্কারি পর্যন্ত থাকে। তাহলে স্বাভাবিক রক্তচাপ সিসটলিক বা উপরের ১১০ থেকে ১৪০ আর নিচের স্টরি ৬০ থেকে ৯০ মিলিমিটার মার্কারি। আমাদের দেশের অনেকের ক্ষেত্রে উপরের প্রেসারটা একটু কমও থাকতে পারে। সেক্ষেত্রে ১০০ পর্যন্ত এটাকে স্বাভাবিক রক্তচাপ বলা হয়।

সিস্টোলিক রক্তচাপ ১৪০ এর বেশি এবং ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ ৯০ এর বেশি হয় তাহলে আমরা একে উচ্চ রক্তচাপ বলে থাকি। তাহলে কোন মানুষের রক্তচাপ যদি সিস্টোলিক ১৪০ এর উপরে ডায়াস্টোলিক ৯০ উপরে হয় আমরা তাকে উচ্চ রক্তচাপের রোগী বলি।

আপনারা সবাই জানেন উচ্চ রক্তচাপকে বলা হয় নীরব ঘাতক কারণ হচ্ছে উচ্চ রক্তচাপের কারণে আমাদের ব্রেন, হার্ড রক্তনালী এবং কিডনিসহ গুরুত্বপূর্ণ যে সব অঙ্গ আছে এগুলি দীর্ঘ মেয়াদী ক্ষতিসাধন হয়। তো আমরা আজকে উচ্চ রক্তচাপ এবং স্বাস্থ্য রক্ষার্থে রক্ত চাপ কমে যাওয়া সম্পর্কে জানবো।

উচ্চ রক্তচাপ কাকে বলে

(১) আমরা সবাই মনে করি স্বাভাবিক রক্তচাপ ১২০/৮০ এ যদি কম হয় আমরা মনে করি লো প্রেসার এর বেশি হলে আমার মনে করি হাই প্রেসার। আসলে ১২০/৮০ জিনিস হচ্ছে একটা গড় অথবা এভারেজ, কখনোই একজন মানুষের রক্তচাপ সবসময় ১২০ কাছে থাকতে পারেনা।

সক্ষেত্রে আপনার স্বাভাবিক রক্তচাপ বলতে ১১০ থেকে ১৪০ আর নিচেরটা ৬০ থেকে ৯০। এর নিচে গেলে যদি উপর রক্তচাপ ৯০ এর নিচে হয় এবং নিচের রক্তচাপ ৬০ এর নিচে হয় তখন লো প্রেসার বলা হয়। আসলে প্রেসার ১১০/৭০ খুব সুন্দর এটা খুব ভালো এমতবস্থায় এটা কিন্তু লো প্রেসার নয়। লো প্রেসার বলা হয় তখনই যদি সিস্টোলিক ৯০ এর নিচে নামে ডায়াস্টোলিক ৬০ এর নিচে নামে।

(২) অনেকে মনে করে যে যখনই ঘাড় ব্যথা হয় তখনই মেনে করেন হাই প্রেসার অথবা ঘাড় ব্যথা নেই মানে হাইপেশার নাই। একটা জিনিস মনে রাখতে হবে উচ্চ রক্তচাপ ম্যাক্সিমাম ক্ষেত্রে অধিকাংশ মানুষের উচ্চ রক্তচাপ এর ফলে কোন উপসর্গ দেখা যায় না।

ঘাড় ব্যথা হলেই উচ্চ উচ্চরক্ত অথবা উচ্চ রক্তচাপ হলে ঘাড় ব্যথা হবে এমন কোন কথা নাই। তবে যদি খুব বেশি উচ্চ রক্তচাপ হয় ১৮০/১২০ এর উপরে যদি প্রেসার চলে যায় সে ক্ষেত্রে কারো কারো ক্ষেত্রে ঘাড় ব্যথা বা এরকম এর উপসর্গ দেখা দিতে পারে।

উচ্চ রক্তচাপ কাকে বলে

(৩) আমরা সবাই জানি যে উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের লবন খাওয়া একেবারে নিষেধ। কিন্তু ব্যাপারটা এমন আমাদের জীবনে আসলে লবন ময়। যাই খেতে যাই না কেন সবসময় লবণের প্রয়োজন হয়।

অনেক উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা ভেজে খায় যদি এরকম খাওয়া লবণ খাওয়া যায়। আপনি খেয়াল করবেন লবনকে যদি আমরা একটা টেবিলে উপর রাখি লবণ পানি ধরে রাখে লবণ পানি ধরে রাখে। তাহলে সাধারণ যে লবনটা থাকে মধ্যে পানি মিশ্রিত থাকে। যদি লবন ভাজা হয় তাহলে আরো বেশি লবণ হয়। তারমানে লবন ভাজলে লবণের পরিমাণ আরো বেশি বাড়ে। এটি আরো বেশী বিপদজনক সুতরাং উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের কোনভাবেই অতিরিক্ত লবন খাওয়া যাবে না।

(৪) আমরা সবাই জানি যে উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের লবন খাওয়া একেবারে নিষেধ। কিন্তু ব্যাপারটা এমন আমাদের জীবনে আসলে লবনময়। যাই খেতে যাই না কেন সবসময় লবণের প্রয়োজন হয়। তাহলে অনেক উচ্চ রক্তচাপের রোগীরা ভেজে খায়।

আপনি খেয়াল করবেন লবনকে যদি আমরা একটা টেবিলে উপর রাখলে লবণ পানি ধরে রাখে। তাহলেই বোঝা যায় যে লবনটাতে পানি মিশ্রিত থাকে। যদি লবন ভাজা হয় তাহলে আরো বেশি লবণ হয়। তারমানে লবন ভাজলে লবণের পরিমাণ আরো বেশি বাড়ে। এটি আরো বেশী বিপদজনক সুতরাং উচ্চ রক্তচাপের রোগীদের কোনভাবেই অতিরিক্ত লবন খাওয়া যাবে না।

উচ্চ রক্তচাপ কাকে বলে

(৫) অনেকেই মনে করেন আমার যদি প্রেসার ভালো থাকে আমি তো ভালো আছি কোন সমস্যা নাই তাহলে প্রেসারের ওষুধ খাওয়া দরকার নাই। যখনই খারাপ লাগে তখন ওনারা প্রেসার ওষুধ খান। এটি অনিয়মিত প্রেসারের ঔষধ খাওয়া মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ। মনে করেন দুইজন উচ্চ রক্তচাপের রোগী আছেন একজন প্রেসারের ওষুধ খান আরেকজন থান না। এর মধ্যে ‍যিনি প্রেশারের ওষুধ মাঝে মাঝে খান আর একজন খান না। এর মধ্যে যিনি প্রেশারের ওষুধ খান না ওনার শরীর কিন্তু স্বাভাবিক প্রেসারটাকে অ্যাডজাস্ট করতে চায়।

আর যিনি মাঝে মাঝে খান ওনি ওষুধ নিয়মিত খাচ্ছেন না আবার ওনার শরীর কিন্তু অ্যাডজাস্ট করতে পারেনা। এই দুজনের মধ্যে যিনি অনিয়মিত প্রেসারের ঔষধ খাচ্ছেন উনি কিন্তু বিপদজনক। নিজে নিজে কখনোই প্রেসার ঔষধ বন্ধ করে দেয়া উচিত নায়। আপনি যদি মনে করেন ভালো বোধ করছেন আপনার অনেকদিন ধরে প্রেসার নিয়ন্ত্রণে আছে।

সেক্ষেত্রে অবশ্যই চিকিৎসকের শরণাপন্ন হবেন ডাক্তার আপনার প্রেসারের অবস্থা দেখে প্রেসারের ওষুধের কাজ লিখবেন। তাহলে আসুন আমরা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে সচেতন হয়ে নিজেও সচেতন হই অন্যদেরকেও সচেতন করি।

সূত্র:- Right News BD

en_USEnglish