হাঁপানি রোগ থেকে মুক্তির উপায়

যে সকল ব্যক্তির হাঁপানি রোগ আছে, শীতকাল সময়ে শ্বাসকষ্ট বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা অনেক বেশি থাকে। হাঁপানি রোগ থেকে মুক্তি পেতে হলে সর্দি-কাশি এবং ভাইরাস জনিত সমস্যা থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করবেন।

কেননা সতর্কতাই পারে হাঁপানি রোগিদের বেঁচে থাকার একমাত্র উপায়। এছাড়াও শীতকাল শেষ না হওয়া পর্যন্ত এসব রোগেীদের শ্বাসকষ্টের প্রভাব চলতেই থাকে। শীতকালে এসব রোগীদের শ্বাসনালি অনেকটা শুস্ক থাকে। এ সময়ে এসব রোগীদের সিগারেটের ধোঁয়া, ঠান্ডা বাতাশ, ফুলের রেণু বা পশুপাখির স্পর্শে তৈরি হতে পারে শ্বাসকষ্টের সম্যসা।

যে সব ব্যক্তিদের শ্বাসনালির শ্বাসকষ্ট থাকে একে বলা হয় এ্যাজমা ট্রিগার অথবা এ্যালার্জেন। কারো কারো ক্ষেত্রে এগুলো বিভিন্ন রকমের হতে পারে। তবে এসব শ্বাসকষ্ট রোগীদের এগুলো এ্যাজমা থেকে দূরে থাকার চেষ্ট করবেন।

শ্বাসকষ্ট রোগ হচ্ছে দীর্ঘমেয়াদি রোগ। কারণ হাঁপানি রোগের এখন পর্যন্ত কোন প্রকার শনাক্ত পাওয়া যায়নি। হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট রোগ কোন প্রকার ছোঁয়াচে রোগ নয়।

যেসব কারণে হাঁপানি বাড়তে পারে

লক্ষণ

নিশ্বাস নেয়ার সময় গলায় শোঁ শোঁ শব্দ, শ্বাসকষ্ট, বুক চাপা, কাশি হওয়া। তাৎক্ষনিকভাবে এগুলো ছাড়া অন্যান্য কোন প্রকার এ রোগের লক্ষণ দেখা যায় না।

যে কারণে হাঁপানি রোগ বাড়তে পারে

  • কাশি, সর্দি, ভাইরাস, ঠান্ডা আবহাওয়া, প্রাকৃতিক পরিবর্তন, কোন প্রকার মানসিক চাপ, অতিরিক্ত পরিশ্রম এবং যেসব ঔষধ যেমন, ডাইক্লোফেনাক, এসিক্লোফেনাক, প্রোপানল সহ আরো অন্যান্য ঔষধ এ রোগের সম্যসা বাড়োতে পারে।
  • এ্যালাজি আছে যেসব খাবারে সে সব খাবার থেকেও হতে পারে।
  • এসব রোগীর স্পাইরোমেট্রির/পালমোনারি ফাংশন টেস্ট দ্বারা হাঁপানি রোগের এ্যাজমা আছে এমন রোগীদের বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঠিক পরামর্শ অনুযায়ী চলা অনেক জরুরী। নির্মূল করা সম্ভব হতে পারে।
  • এগুলো ঔষধ ছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরণের ঔষধ রয়েছে। তাছাড়াও ব্রঙ্কিয়াল থার্মোপ্লাস্টি থেরাপি রয়েছে। যে সব রোগীদের বেশি সমস্যা সেক্ষেত্রে দ্রুত নিয়ন্ত্রণ করার জন্য ব্রঙ্কিয়াল থার্মোপ্লাস্টি থেরাপি নিতে পারেন। এই রোগে থেরাপি নিতে হলে শারীরিক দিকদিয়ে ভালো থাকতে হবে।
  • উন্নত চিকিৎসার জন্য এসব রোগীদের ক্ষেত্রে মুখের খাওয়ার ঔষধের থেকে ইনহেলার ব্যবহারের জন্য বলা হয়। এটি ব্যবহারে কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই, এটি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করলে বা নিয়ম অনুযায়ী মেনে চললে খুব অল্প সময়ের মধ্যে এ রোগ নিয়ন্ত্রণ হয়। আসলে ইনহেলার হাঁপানি রোগীদের শেষ চিকিৎসা নয়। তবে অনেকের ধারণা মতে, এটি শেষ চিকিৎসা বলে মনে করেন। হাঁপানি বা শ্বাসকষ্ট আছে এমন রোগীদের সব থেকে নিরাপদ চিকিৎসার জন্য ইনহেলার ব্যবহার করা উত্তম।
  • এ্যাজমা আছে এমন রোগীদের বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের সঠিক পরামর্শ অনুযায়ী চলা অনেক জরুরী।

সূত্র:- রাইট নিউজ বিডি

Write for usHiring writer

Bangla or English

It does not matter which language you are writing in, your writing is meaningful or not that is matters.

Signup Newsletter

Get our update instantly. Subscribe to our newsletter

bn_BDবাংলা