সাকিব জানালেন, বলার মতো কিছুই করেননি

২০২৩ বিপিএল খেলার খবর আপডেট – এবারের বিপিএলে সাকিব জানালেন, বলার মতো কিছুই করেননি তিনি। তবে শেষ ৩টি ম্যাচে রান পাননি তিনি। বিপিএলে এর পূর্বে সাকিব আল হাসান যা করেছেন তা চমৎকার ছিল।

কর্মক্ষমতা আরও খারাপ। আক্রমণাত্মক ব্যাটিং বেড়েছে। মাঠে নামতেই দেখা যায় প্রতিপক্ষকে দুমড়ে মুচড়ে দেওয়ার তীব্রতা। ব্যাট হাতে রানের ফোয়ারা। সারা মাঠ জুড়ে চার-ছক্কার বৃষ্টি। একজন দর্শনধারী স্ট্রাইকার, উইকেটের চারপাশে শট খেলার প্রবণতায় তিনি অনন্য।

৩১১ রানের ৮ ইনিংসে ঠিক সেই কথায় বলছে। যেখানে ব্যাটিং গড় ছিল ৫১.৮৩। স্ট্রাইক রেট ছিল ১৮৫.১১। ৩৩টি চারের পাশাপাশি ১৬টি ছক্কা মারে যা পার্শ্ববর্তী ক্রিকেটারদের মধ্যে সেরা। তবে প্রতিটি ম্যাচেই ব্যাট হাতে তুলে নিচ্ছেন বিভিন্নতা।

কোচ নাজমুল আবেদিন ফাহিমের মতে, ব্যাটিং ক্যারিয়ারের সেরা সময় পার করছেন বাংলাদেশের শীর্ষ তারকা। তাকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত হয়ে মাশরাফি বলেন, ‘বিশ্বমানের খেলোয়াড়রা নিজের পথ খুঁজে নেয়। তিনি রাজা হয়ে আসেন আর রাজা হিসেবেই কাজ করেন।’

সাকিব বলেন, চারিদিকে যখন তাকে নিয়ে তুমুল সমালোচনা চলছিল তখন সাকিব জানালেন, বলার মতো কিছুই করেননি তিনি। এই অস্বাভাবিক কর্মক্ষমতায় খুশি হননি ফরচুন বরিশালের অধিনায়ক। কেননা শেষ তিন ম্যাচের ব্যর্থতার পর যেভাবে শুরু করেছিলেন বিপিএল সেভাবেই শেষ করতে চান তিনি।

সাকিব জানালেন, বলার মতো কিছুই করেননি

ঢাকার কাছে ৫টি উইকেটে বিস্ময়কর হারের পর মাঠ ছাড়ার সময় সাকিব বলেন, “আসলে, আমি মনে করি না যে, আপনার কথা মতো ভালো অবস্থায় আছি। মোটামুটি ভালোই চলছিল। আমি শেষ কয়েকটি ম্যাচে এমন ব্যাটিং করিনি। আশা করি আমি আবারও আরো ভালো ব্যাটিং করতে পারব। টুর্নামেন্টে যেভাবে ব্যাটিং শুরু করেছিলাম, শেষে এসে সেভাবেই শেষ করব।

এটা বলার অপেক্ষা রাখে না যে সাকিবের ব্যাটিং পরিবর্তনে রান পাওয়ার জন্য উপকারী। আগে স্টাম্প লুকিয়ে উইকেটের পাশে দাঁড়াতেন। এখন একটু দূরে দাঁড়িয়ে স্টাম্প খোলা রেখে শট খেলার জন্য যথেষ্ট জায়গা রাখছেন। উইকেটের চারিদিকে শট খেলছেন তিনি। আপনি যখন শট খেলতে পারেন। যে কেউকেও উড়তে পারেন।

সাকিবের বিপিএল শুরু হয়েছিল ৬৭ রানের দুর্দান্ত ইনিংসে। তারপর তার ইনিংস ছিল ৯, ৮১*, ৮৯* এবং ৩০। শেষ তিনটি ম্যাচে তার ব্যাট থেকে এসেছে ২৯, ২ এবং ৫। এই ব্যাটসম্যান মনে করেন এটা বর্তমান ফর্মের সাথে সম্পূর্ণ রূপে বেমানান।

বয়সের সাথে সাথে কর্মক্ষমতাও বাড়ে। তিনি কীভাবে নিজেকে অনুপ্রাণিত করেন জানতে চাইলে সাধারণভাবে উত্তর দেন, ‘আমি এটা পছন্দ করি। উপভোগ করি।

ব্যাটিংয়ে বেশি মনোযোগ দিয়ে সফল হলেও বোলিংয়ে ফেকাসে। ৯ ম্যাচে পেয়েছেন মাত্র ৬টি উইকেট। তাই অনুশীলনে এলে শুধু বোলিংয়েই সময় দেন তিনি। নিজের বোলিং নিয়ে সাকিব বলেন, ‘সব সময় চর্চা হয়। যদি কিছু উন্নত করার প্রয়োজন বলে মনে হয়, আমি এটি প্রশিক্ষণের চেষ্টা করি। কোনোটা কাজের হয় আবার কোনোটা হয় না। কিন্তু এটি একটি ক্রমাগত পদ্ধতি।

সূত্র:- Right News BD

en_USEnglish