তুরস্ক ভূমিকম্পের ধ্বংসস্তূপ থেকে এক সপ্তাহ পেরিয়ে গেলেও প্রাণের সন্ধান এখনও রয়েছে। তুরস্কের হাতয়া প্রদেশে ১৭৮ ঘণ্টা পর ৭০ বছর বয়সী এক মহিলাকে উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) আল জাজিরা জানিয়েছে, যে জীবিত উদ্ধার হওয়া মহিলার নাম নূর গুরবাজ। হাতয়া প্রদেশে ভূমিকম্পে ধসে পড়া তিনতলা ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েন তিনি। এদিকে, তুরস্কে ভূমিকম্প আঘাত হানার প্রায় ১৭৮ ঘন্টা পরে, একই দিনে হাতয়া প্রদেশে ডেরিয়া একদোগান নামে ২৬ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকেও জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।
আনাদুলোর বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কারণে দক্ষিণাঞ্চলীয় প্রদেশ হাতয়ায় একটি ভবনের ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে উদ্ধারকর্মীরা ওই যুবককে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার করেছে।

গত ৬ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) তুরস্কের কাহারমানমারাস শহরে ভয়াবহ ভূমিকম্পে আঘাতে কাঁপিয়ে ওঠে তুরস্ক ও সিরিয়ার একটি বড় অংশ। ভূমিকম্পের পর তুরস্ক-সিরিয়ায় এ পর্যন্ত ৩৬ হাজার ১৪৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। তুরস্কের জরুরি সম্বনয় কেন্দ্র বা এসএকেওএস জানিয়েছে, তুরস্কে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩১,৬৪৩ জন।
ইতিমধ্যে সিরিয়ায় ৪,৫৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে, বিদ্রোহী শাসিত এলাকায় ৩১৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে, বিদ্রোহী গোষ্ঠীর সরকারের উদ্ধার অভিযান মন্ত্রণালয়ের মতে জানানো হয়েছে।
৬ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) ৪৫ সেকেন্ডের ভূমিকম্পের ধ্বংসস্তূপ এর পরে ২৩০০ টিরও বেশি আফটারশক হয়েছিল, ভূতাত্বিক সার্ভে জানিয়েছে। এটি বর্তমানে অক্ষত থাকা ভবনগুলির ভবিষ্যত নিয়েও আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এর পূর্বে ১৯৩৯ সালে তুরস্কে একটি শক্তিশালী ভূমিকম্পে কমপক্ষে ৩৩ হাজার মানুষ মারা যায়।
সূত্র:- Right News BD