রমজান মাসে পণ্যের দাম ৩০ শতাংশ বাড়তে পারে

বাংলাদেশের বাজারে রমজান মাসে পণ্যের দাম ৩০ শতাংশ বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে – পণ্যের দাম গত বছরের তুলনায় এ বছর ২৫-৩০ শতাংশ বেশি হবে বলে আশঙ্কা করছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক এএইচএম সফিকুজ্জামান বলেছেন, আন্তর্জাতিক বাজারে গত বছরের দামের মতো এ বছর দাম থাকলেও ডলারের বিনিময় হারের কারণে পণ্যটির দাম ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ বাড়বে।

রমজান মাসে বাজারে তেল, ছোলা, খেজুর, চিনিসহ বেশ কিছু পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়।

তবে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে বাজারে পণ্যের কোনো ঘাটতি নেই। তারা বলছেন, বাজারে পণ্যের অভাব না থাকলেও ব্যবসায়ীরা যুক্তসঙ্গত করে পণ্যের দাম বাড়িয়ে বাজার অস্থিতিশীল করে।

পাইকারি ব্যবসায়ীরা বলছেন, বর্তমান বাজারে ছোলাসহ সকল প্রকার ডাল, খেজুর, চিনির ঘাটতি থাকায় এসব পণ্যের দাম ইতিমধ্যেই বেড়ে গেছে।

রমজান মাসে বাংলাদেশের বাজারে পণ্যের দাম ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে

খুচরা ব্যবসায়ীরা বলছেন, এক মাস পূর্বের তুলনায় বাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় প্রায় সব পণ্যের দাম বেড়েছে। এর মধ্যে রয়েছে রোজার সময় যে পণ্যের চাহিদা বেড়ে যায়। যদিও রমজান শুরু হতে আর দেড় মাস বাকি।

রাজধানীর নুরেচালা এলাকার নূরে আলম নয়ন একজন খুচরা ব্যবসায়ী জানান, আলাদা মানের ছোলা ৮০-১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, এক মাস আগের তুলনায় ছোলা কেজিতে ১০-১৫ টাকা বেড়েছে। খেজুরের ক্ষেত্রে গুণগত মান অনুযায়ী দাম অনেক ক্ষেত্রে দ্বিগুণ হয়েছে বলে জানান মিঃ আলম।

তিনি বলেন, পূর্বে যেটাতে ৫০০-৬০০ টাকা লাগে, এখন তার দাম ৮০০-৯০০ টাকা। কোথাও এক হাজার টাকা লাগে।”

এছাড়া দাম বেড়েছে অন্যান্য ডালের। অ্যাংকার (এক ধরনের ডাল), খেসারি- এগুলো ডালের দামও বেড়েছে। মসুর ডাল কেজিতে দুই থেকে চার টাকা বেড়েছে।

১৮ তারিখ শবে-মেরাজের পর সব ধরনের ডাল ও ছোলার দাম বাড়বে বলে মনে করছেন খুচরা ব্যবসায়ীরা।

আজিজুল হক চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের পাইকারি ব্যবসায়ী জানান, গত বছর যে ভালো মানের ছোলা প্রতি মণ ছিল ৩ হাজার টাকা, এবার তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ৬০০ টাকা।

তবে রোজায় ছোলার দাম বাড়বে বলে জানান তিনি। মসুর ডাল পাইকারি বাজারে বিক্রি হচ্ছে মানের ওপর ভিত্তি করে প্রতি কেজি ৮৮ টাকা থেকে শুরু করে ১৩২ টাকা পর্যন্ত।

রমজান মাসে বাংলাদেশের বাজারে পণ্যের দাম ৩০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে

ভোক্তা সুরক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, আন্তর্জাতিক বাজারেও কিছু পণ্যের দাম বেড়েছে। উদাহরণ হল চিনির দাম। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে প্রতি টন চিনির দাম ৫২০ ডলার। এক মাস আগে এই দাম ছিল ৪৪০ ডলার।

এ দামে চিনি আমদানির পর পরিশোধন ব্যয়সহ আরও কিছু খরচ যোগ হওয়ায় এর দাম বাড়বে বলে জানা গেছে।

সূত্র:- Right News BD

en_USEnglish