কোরবানী ঈদে গরুর মাংস কতটুকু খাবেন-কিভাবে খাবেন

স্বাস্থ্য রক্ষার ক্ষেত্রে আসন্ন কোরবানী ঈদে গরুর মাংস কতটুকু খাবেন এবং কিভাবে খাবেন। সে বিষয়ে অনেকেরই জানা নাও থাকতে পারে। তবে অনেকেই আছেন স্বাস্থ্য নিয়ে নানা রোগে ভুগছেন। কেউ কেউ ডায়াবেটিস রোগে আবার কেউ হৃদরোগে আক্রান্ত। আবার কারো উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন। এছাড়াও কোন ব্যক্তির আবার ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা বা কিডনি রোগে ভোগেন। সামনে পবিত্র ঈদুল আজহা।

তো চলুন জেনে নেওয়া যাক কোরবানী ঈদে গরুর মাংস খাওয়ার ব্যাপারে যাদের যাদের সচেতন হওয়া উচিত।

গরুর মাংস খাওয়ার নিয়ম

  • দিনে কতটুকু মাংস খাওয়া প্রয়োজন
  • কিডনী রোগিদের জন্য মাংস খাওয়ার পরিমাণ
  • হৃদরোগীদের মাংস খাওয়ার নিয়ম
  • উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের খাবারের নিয়ম
  • ডায়াবেটিস রোগীর খাওয়ার নিয়ম
  • শরীরে ইউরিক এসিড থাকলে খাওয়ার পরিমাণ
কোরবানী ঈদে গরুর মাংস কতটুকু খাবেন-কিভাবে খাবেন

দিনে কতটুকু মাংস খাওয়া প্রয়োজন

প্রতিটি মানুষের শরীরের গঠন আলাদা, সে কারণেই খাবারের চাহিদাও আলাদা। স্বাভাবিক ওজন এবং উচ্চতার একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তির ওজন ৭০-৭২ কেজি হলে, তার উপর নির্ভর করে সারা দিনে প্রায় ৩০০ গ্রাম পর্যন্ত মাংস খেতে পারেন। যে কোন প্রোটিনের উৎসের জন্য আমিষের পরিমাণ কমিয়ে দিতে হবে। ১ বারে না খেয়ে সারাদিনে অন্তত দুই-তিনবার ভাগ করে খেতে হবে। এছাড়াও প্রতি ঘন্টায় কিছু সবজি বা সালাদ টেবিলে রাখতে হবে।

কিডনী রোগিদের জন্য মাংস খাওয়ার পরিমাণ

যদি বাড়িতে কিডনির রোগী থাকে তাহলে তার জন্য খাবারে বৈচিত্র্য আনতে হবে। কিডনি রোগীদের প্রথম শ্রেণীর প্রোটিনের পরিমাণ কমাতে হবে। তাই কিডনি রোগে আক্রান্ত ব্যক্তির জন্য মাংস কম খাওয়াই উচিত। লাল মাংসে সোডিয়ামের পরিমাণ কিছুটা বেশি । তাই গরুর মাংস বা মুরগির মাংসের পরিবর্তে মুরগি খাওয়াই ভালো। গরু বা ছাগলের মাংস যদি এক বেলায় খেতে হয় তবে লবণ কম দিয়ে রান্না করে ঝোল দিয়ে পরিবেশন করতে হবে। এ ছাড়া ডাল ও অন্যান্য খাবার (দ্বিতীয় শ্রেণীর প্রোটিন) বা এগুলো দিয়ে তৈরি করা খাবার পরিহার করতে হবে।

হৃদরোগীদের মাংস খাওয়ার নিয়ম

গরুর মাংস এবং মাটন খাওয়া হৃদরোগে আক্রান্তদের জন্য যথেষ্ঠ নয়। মুরগি বা হাঁসের মাংস চামড়া ছাড়াই খাওয়া যায়। তবে গরু কিংবা খাসির মাংসে যেসব সাদা চর্বি লেগে থাকে তা কম তেলে রান্না করে ঝোল ছাড়া পরিমিতভাবে খাওয়া যেতে পারে।

উচ্চ রক্তচাপ রোগীদের খাবারের নিয়ম

যাদের উচ্চ রক্তচাপ বা উচ্চ রক্তে কোলেস্টেরল রয়েছে তাদের জন্য গরুর মাংস না খাওয়াই ভালো। কিন্তু যে কোন উৎসবের দিনে খেতে চাইলে অল্প পরিমাণে খান। কাঁটাচামচ বা ছুরি দিয়ে মাংস থেকে সাদা চর্বি আলাদা করুন। তারপর মাংস রান্না করে ঝোল রেখে খেয়ে নিন।

ডায়াবেটিস রোগীর খাওয়ার নিয়ম

যাদের যাদের ডায়াবেটিস রয়েছে সেসব ব্যক্তিদের মিষ্টি ও চিনিযুক্ত খাবার খাওয়া নিষিদ্ধ। সাধারণ কার্বোহাইড্রেটের পরিবর্তে জটিল কার্বোহাইড্রেট খান। সেই সঙ্গে তৈলাক্ত ও চর্বিযুক্ত খাবার অল্প পরিমাণে খেতে হবে। কারণ তেল ও চর্বিতে ক্যালরি বেশি থাকে। তবে বেশিরভাগ ডায়াবেটিস রোগীদের উচ্চ রক্তচাপ, ফ্যাটি লিভার এবং উচ্চ কোলেস্টেরল থাকে। সেক্ষেত্রে আরও সচেতন হোন।

শরীরে ইউরিক এসিড থাকলে খাওয়ার পরিমাণ

অনেকের রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি, তাদের জন্য গরুর মাংস খাওয়া মোটেও উচিত নয়। তবে যাদের রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকলে তাঁদের জন্য গরুর মাংস পরিমিতভাবে খাওয়া যেতে পারে।

সূত্র:- Right News BD

en_USEnglish