নাগপুরে একটি ইনিংস আর ১৩২ রান এবং দিল্লি টেস্টে ৬ উইকেটে অস্ট্রেলিয়া প্রথম দুটি টেস্ট ভারতের কাছে বিশাল ব্যবধানে হেরেছে। ব্যাপারটা আরও খারাপ করার জন্য, প্যাট কামিন্স তিন দিনে দুটি ম্যাচেই হেরেছেন। যাকে অস্ট্রেলিয়ার প্রধান কোচ অ্যান্ড্রু ম্যাকডোনাল্ড নিজেই ‘পরীক্ষায় ব্যর্থ’ বলে মন্তব্য করেছেন।
কিন্তু বর্ডার-গাভাস্কার ট্রফি খেলার ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ার দুর্দশার এখানেই শেষ নেই। চার টেস্ট সিরিজের মাঝপথেই তারা খেলোয়াড় হারাতে শুরু করেছে। পা রাখলেন জশ হ্যাজেলউড গোড়ালির চোট নিয়ে ভারতে।
আশা করা হয়েছিল ১ম টেস্ট খেলতে না পারলে পরের তিনটি টেস্টের জন্য পাওয়া যাবে। কিন্তু দ্বিতীয় টেস্ট শেষের পরদিনই জানা যায় এই সফরে তার মাঠে নামার কোনো রকম ঝুঁকি নেই। এই ৩২ বছর বয়সী পেসারকে দেশে পাঠানো হচ্ছে।
অস্ট্রেলিয়ার ডেইলি টেলিগ্রাফ জানায়, ডেভিড ওয়ার্নারকেও ভারত থেকে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। দিল্লি টেস্টের প্রথম ইনিংসে বাঁহাতি ওপেনার মোহাম্মদ সিরাজ মাথায় আঘাত পান। চোটের কারণে দিল্লি টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করেননি। কিন্তু এর বরাবর কনুইতেও চোট পান তিনি। ম্যাট রেনশ দিল্লি টেস্টে কনকশন বিকল্প হিসেবে খেলেছিলেন।
সিডনি মর্নিং হেরাল্ড জানান, যে ম্যাট রেনশ এবং অ্যাস্টন অ্যাগার ওয়ার্নার, হ্যাজেলউড এবং অস্ট্রেলিয়ার সাথে বিমানে উঠতে পারেন। কিন্তু এই দুজনের যাওয়ার কারণ প্রত্যক্ষ করা হয়নি।
ফক্স স্পোর্টসের মতে, টড মারফিরও ছোটখাটো আঘাতের সমস্যা রয়েছে। নাগপুরে টেস্ট অভিষেক পাওয়াতে অফ স্পিনার ১ম দুই ম্যাচে ১০টি উইকেট নিয়েছিলেন। বিপদ এড়াতে লেগ-স্পিনার মিচেল সোয়েপসনকে অতি তাড়াতাড়ি ভারতে ফেরত পাঠানো হচ্ছে। সন্তান প্রসবের সময় স্ত্রীর সাথে থাকতে ২য় টেস্টের পূর্বেই ভারত থেকে চলে যান তিনি।
দিল্লি টেস্ট ৩ দিনে শেষের পরের ম্যাচের পূর্বে ১০ দিনের বিরতি ছিল। পারিবারিক সমস্যার কারণে সিডনিতে চলে যান অধিনায়ক, ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার (সিএ) এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে। ব্যক্তিগত গোপনীয়তার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে সিএ বিস্তারিত কারণ দেয়নি।
৩য় টেস্ট খেলার প্রথমেই কামিন্স ভারতের কাছে ফিরবেন বলে আশা করা যাচ্ছে। ক্রিকইনফো জানান, ডানহাতি পেসার ঠিক সময়ে না আসলে অস্ট্রেলিয়ার পরিচালনা করবেন সহ-অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। কামিন্স ২০২১ সালের টেস্ট খেলার অধিনায়ক হওয়ার পর, স্মিথ তার অনুপস্থিতিতে দুটি স্পেলের জন্য অধিনায়কত্ব করেছেন।
সূত্র:- Right News BD