দর্শনীয় স্থান সুন্দরবন ভ্রমণে যা দেখলাম

পৃথিবীর বৃহত্তম দর্শনীয় স্থান বনগুলোর মধ্যে আমাদের দেশেও একটি বন রয়েছে যার নাম সুন্দরবন। পৃথিবীর বৃহত্তম বন হিসেবে এই সুন্দরবনটি দর্শনীয় স্থান হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।

কিন্তু আফসোসের বিষয় হলো দর্শনীয় এই সুন্দরবন কখনো নিজের চোখে দেখতে যাইনি। তবে শত আফসোস বুকে চেপে না রেখে কয়েকজন বন্ধু মিলে ঘুরতে গেলাম পৃথিবীর এই বৃহত্তম বন সুন্দরবনে। প্রথমে দর্শনীয় এই সুন্দরবনটি দেখে অবাক হয়েছি। এখানকার অনেক সুন্দর এবং বৈচিত্রময় প্রাকৃতিক সৌন্দর্য গাছপালা, পশুপাখি ও জীবন্ত সব জীবজন্ত সুন্দরবনের পরিবেশকে অনেক রোমাঞ্চকর দৃশ্য করে রেখেছে।

সুন্দরবনের এই বৈত্রিময় মনোরম পরিবেশ নিয়ে একটি ৩০০ পাতার গল্প লিখা সম্ভব। কেননা এখানকার সব দর্শনীয় স্থান দেখতে খুবই সুন্দর। সে জন্য গল্প লিখাটাও অনেক সহজ হবে।

 সুন্দরবন যাত্রার সময়-দর্শনীয় স্থান

সুন্দরবন যাত্রার সময়-দর্শনীয় স্থান

সুন্দরবন যাওয়ার জন্য দিনাজপুর থেকে আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে একটি হায়েস গাড়ী ভাড়া করি। সকাল ৮টার সময় সেই গাড়িতে সুন্দরবন দেখার জন্য যাত্রা শুরু করি। যাত্রা শুরুতে গাড়ির ভিতরে কয়েক জন বন্ধু মিলে অনেক আনন্দ করতে করতে পৌছে গেলাম খুলনায়, তারপর গাড়ী থেকে নেমে হালকা কিছু নাস্তা খেয়ে নিলাম।

নাস্তা শেষ করার পর আবার গাড়িতে করে মোংলা সমুদ্রবন্দরে পৌছে গেলাম। তারপর সেখানে জাহাজে উঠলাম। জাহাজে সব রকম সুবিধাজনক ব্যবস্থা ছিল খুব ভালো লেগেছিল জাহাজের ভ্রমণটি।

প্রতিদিন একসাথে সুন্দরবনে ঘুরে বেড়াতাম আর মাঝে মধ্যে নীল আকাশের নীচে বসে আনন্দ ফুর্তি করতাম। এভাবে চলতে থাকল কয়েক দিন ধরে। তাছাড়া রাত শেষে সকাল বেলা ঘুম ভাঙ্গত সুন্দরবনের পাখিদের ডাকে। সেখানে ভ্রমণ করার সময়টুকু মনে হচ্ছিল শৈশব বেলার কথায়।

সুন্দরবনের আমাদের কয়েকজনের সাথে তিনজন নিরাপত্তাকর্মী বন্ধুকধারী গাইড করেছিলেন। তাদের সঠিক পরামর্শ অনুযায়ী আমরা ক’জন বন্ধু সেখানে খুব ভালোভাবে ঘুরতে থাকি। সুন্দরবনের আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে সব দর্শনধারী জায়গাগুলো ঘুরে দেখেছি। জাহাজ সকাল বেলায় সুন্দরবনের যাওয়ার উদ্যোশ্যে যাত্রা করে, আমাদের সবার মনে এক আনন্দ উল্লাসের ঝড় উঠেছিল। এ যেন স্বপ্নের দেশে ছুটে চলেছি নীল আকাশের নিচে সাগরের ঢেউয়ের সাথে।

আয়তনের দিক দিয়ে সুন্দরবনের স্থান

আয়তনের দিক দিয়ে সুন্দরবনের স্থান

এছাড়াও এই সুন্দরবনটি আয়তনের দিক দিয়ে ১০ হাজার বর্গকিলোমিটার, যা কিনা বাংলাদেশের ভিতরে রয়েছে প্রায় ৬ হাজার ১৭ বর্গকিলোমিটার।

সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, বরগুনা, খুলনা জেলার এলাকা নিয়ে এই বাংলাদেশের দৃষ্টিনন্দন সুন্দরবন।

সুন্দরবনের এই ১ হাজার ৮৭৪ বর্গকিলোমিটার জুড়ে রয়েছে অনেক বড় বিল, নদী-নালা সহ আরো অনেক বড় অঞ্চল। এই নদীতে রয়েছে প্রায় ৩৫০ প্রজাতির প্রাণি, ৪২ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, ৩৫ জাতীর সরসৃপ, ২৭০ প্রজাতির নানা রকম পাখি এবং ৮ ধরণের উভর প্রাণী। অনেক সুন্দন সুন্দর গাছের জন্য এই বনের নাম দেয়া হয়েছে সুন্দরবন।

এই বনের সবথেকে হারবাড়িয়া স্থান নাম একটি জায়গা আছে সেই জায়গাটি অনেক বড় বিপদজনক স্থান। দর্শনীয় এই সুন্দরবনের স্থানগুলো মধ্যে কটকা বিচ সব থেকে উন্নতমানের দর্শনীয় স্থান। সব সময় এই স্থানে সবুজের বৈচিত্রের সমাহার বৈতে থাকে।

এছাড়াও আরো বিভিন্ন ধরণের প্রাকৃতিক পরিবেশ উপভোগ করা যায়। যা কিনা নিজের চোখে না দেখলে কখনো অনুভব করা সম্ভব নয়। তাই জীবনে নতুন কিছু প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখতে এবং আনন্দ উপভোগ করতে একবার হলেও দর্শনীয় এই সুন্দরবনে ঘুরতে যাওয়া প্রয়োজন।

সূত্র:- রাইট নিউজ বিডি

en_USEnglish