ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয় জেনে নিন

প্রিয় পাঠক, আজকে আমি জেনে দিব রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি কি উপাকার হয় সেই সম্পর্কে। যাদের পেটে অতিরিক্ত গ্যাস, অ্যাসিডিটি আছে তাদের জন্য কিসমিস খাওয়া খুবই উপকারি।

রাতে ঘুমানোর সময় কিসমিস খেলে শরীরে মেলাটোনিন, টিপ্রোফেন এবং ফলেটের পরিমাণ বাড়ায়। যা রাতে গভীর ঘুমানোর জন্য উন্নত করে এবং সেন্স স্বাস্থ্যকে বাড়িয়ে তোলে।

এছাড়াও যারা সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর শরীরে ব্যথা অনুভব করেন তাদের জন্য কিসমিস খাওয়া উপকারি।

সবেমাত্র কিসমিস খাওয়ার ১টি উপকারিতা ছাড়াও আরো বিভিন্ন উপকারিতা রয়েছে।

আজকের এই পোষ্টে কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা সম্পর্কে জানতে হলে পুরো পোষ্টটি A টু Z পর্যন্ত পড়ুন।

ঘুমানোর আগে কিসমিস খেলে কি হয় জেনে নিন

রাতে ‍ঘুমানোর আগে কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা

কিসমিস অন্ত্রের আন্দোলন সহজ করতে সাহায্য করে।

এগুলি কেবল অন্ত্রেত্রের স্বাস্থ্যের উপকারি ছাড়াও আপনার মলের সাথে প্রচুর পরিমাণে যোগ করে ময়লা আবর্জনা শরীর থেকে বেরিয়ে যেতে সাহায্য করে।

কিসমিস খাওয়ার ফলে দুর্বল হাঁড় সবল করতেও সাহায্য করে। কিসমিস খাওয়া খাওয়া হাঁড়ের জন্য খুবই উপকারি।

তাছাড়া কিসমিস দুধ দিয়ে সিদ্ধ করে খেলে তা শরীরে পুষ্টি শোষণ করতে সাহায্য করে।

শরীরে ক্ষয় হওয়া হাঁড়ের ঘনত্ব বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। তাছাড়াও ওজন কমাতেও কিসমিস খুবই উপকারি।

কিসমিসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। আর সে জন্যই কিসমিস সামান্য পরিমাণে খেলেই পেট ভরে যায়।

খাবারের পর কিসমিস খাওয়ার স্বাস্থ্য উপকারিতা

রাতের খাবারের পরে কিসমিস খেলে রক্তের শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার পাশাপাশি লালশা প্রতিরোধ করে ফেলে। যতই আপনি অপ্রয়োজনীয় খাবার খান না কেন তাতেও শরীরের ওজন বৃদ্ধি পাবে না।

তাছাড়া কিসমিস খেলে চোখের দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধি করতেও সাহায্য করে।

অতিরিক্ত লবণ খাওয়ার ফলেও রক্ত চাপ বৃদ্ধি পায়। লবণের সোডিয়াম রক্তনালীর পাশাপাশি শরীরের প্রদাহ বাড়াতে সহায়তা করে। আর এই সোডিয়াম শোষন করতে এবং বয়সের ছাপ দূর করতে কিসমিস ভালো কাজ করতে পারে।

কিসমিসের পাটাশিয়াম রয়েছে যা শরীরের শোডিয়াম বজায় রাখতে সাহায্য করে। এই ভাবে দুটোই একসাথে রক্তনালীকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।

Space are available for Ads
Space are available for Ads

রক্ত সঞ্চালন

কিসমিস শরীরের রক্ত সঞ্চালন উন্নত করতে সাহায্য করে।

এছাড়াও হার্টের স্বাস্থ্যের উন্নতির পাশাপাশি কিসমিস এ এন্টিইনকিলোমিটরী এবং এন্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য রয়েছে। আর এই কারণেই শরীরের অনক্রমতা বৃদ্ধি পায়।

আপনি যদি হৃদরোগ বা ডায়াবেটিস এর মত দীর্ঘস্থায়ী রোগে ভোগেন তাহলেও কিসমিস খেলে সেগুলো থেকেও রক্ষা পেতে পারেন।

এছাড়াও এন্টঅক্সিডেন্ট খাবারগুলো ঘুমের জন্য বেশ প্রয়োজনীয়।

এন্টঅক্সিডেন্টগুলি ঘুমের মানের উপর সরাসরি প্রভাব ফেলে। পাশাপাশি আপনার শরীরের বিভিন্ন কোষ এবং টিস্যু সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে।

পরিশেষে:

উপরের বিষয়গুলোর উপর ভিত্তি করে রাতে ঘুমানোর আগে কিসমিস খাওয়া ভিশন উপকারী। আপনী যদি দৈনন্দিন জীবনে সুস্থ থাকতে চান তাহলে রাতে খাওয়ার পর কিসমিস খেতে পারেন।

সূত্র:- Right News BD

en_USEnglish