বেনাপোল পোর্ট থানায় বালুন্ডা গ্রামে এক এসএসসি পরিক্ষার্থীকে `মোবাইল ফোনের আসক্তি’ বাঁধা দিতে রাগ করে নিজের ‘গলায় ফাঁসি’ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। আজ বুধবার বেনাপোল পৌর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো: কামাল হোসেন ভূঁইয়া এ তথ্য অনুযায়ী বলেন। কাল মঙ্গলবার দিবাগত রাতে নিজ বাড়িতে ঘরে সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন সেই পরীক্ষার্থী।
নিহত এসএসসি পরীক্ষার্থীর নাম তন্বী মণ্ডল (১৫)। নিহত তন্বী মণ্ডল বালুন্ডা গ্রামের জেলে পাড়ার শ্রীরাম মণ্ডলের মেয়ে। তন্বী ‘বালুন্ডা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়’ থেকে এসএসসি পরীক্ষা-২০২৩ সালে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
এমতবস্থায় নিহত তন্বীর পরিবার জানায়, তন্বী গত মঙ্গলবার রাতে পড়ার সময় মোবাইল ফোনের আসক্তি হয়ে পড়ে। এ সময় ‘মোবাইল ফোন ব্যবহার’ করতে দেখতে পেলে তার মা তাকে ‘গালিগালাজ’ করে। তার মায়ের গালিগালাজ শুনে তন্বী মায়ের সাথে অভিমান করে ঘরে গিয়ে ‘সিলিং ফ্যানে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে।
পরের দিন তন্বীর মা বুধবার ভোরে ঘুম থেকে ওঠার পর জানালা দিয়ে ঘরের ভিতর ফ্যানের সঙ্গে মেয়েকে গলায় ফাঁস দেওয়া অবস্থায় ঝুলতে দেখেন। তারপর তার পরিবারের সদস্যরা বাড়ির আশেপাশে লোকজনকে ডাকাডাকি করে তন্বীর ঝুলন্ত ‘মরদেহ’ নামানো হয়।
এ ঘটনায় সেই উপজেলার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কামাল হোসেন ভূঁইয়া জানান, বুধবার ভোর রাত্রে তন্বী নামে এক এসএসসি পরীক্ষার্থীর গলায় ফাঁস দিয়ে ‘আত্মহত্যার’ করে। এমতবস্থায় সংবাদ পাওয়ার পর তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরে ‘চিরুনি তল্লাশি’ করার জন্য যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হামপাতালের মর্গে তার লাশ পাঠানো হয়েছে। তন্বী কি কারণে গলায় ফাঁস দিয়ে ‘আত্মহত্যা’ করেছে তা জরুরী ভিত্তিতে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
সূত্র:- Right News BD