বাংলাদেশের আকাশপথে আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশে বিমান ভ্রমণের জন্য প্রায় সাড়ে ৮ শতাংশ হারে বৃদ্ধি হতে পারে বলে আশা করছে বোয়িং।
বাংলাদেশের আকাশ পথের দৈর্ঘ্য অনুযায়ী আগামী এক দশকে যাত্রীর সংখ্যা বর্তমান সময়ে তুলনামূলকভাবে বৃদ্ধি পেতে পারে বলে পূর্ব লক্ষণ দিয়েছে উড়োজাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান বোয়িং।
বাংলাদেশে আকাশপথে বিমান ভ্রমণের গতিশীলতার চাহিদা এবং সক্ষমতা বিষয় অনুসারে বোয়িংয়ের বাণিজ্যিক বাজারে দৃষ্টিভঙ্গিকে (সিএমও) এ পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছে। গতকাল ১০ মে (বুধবার) রাজধানীর ঢাকার একটি হোটেল রেস্তোরায় আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিকভাবে বিষয়টি সিএমও’টি প্রকাশ করা হয়। বর্তমান পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী ১০ বছরে বাংলাদেশে প্রতিবছরই আকাশপথে যাত্রী বেড়ে গিয়ে হার হবে প্রায় সাড়ে ৮ শতাংশ।
এছাড়াও অনুষ্ঠানে এশিয়া প্যাসিফিক ও ভারতের বোয়িং বাণিজ্যিক বাজারের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডেভ শাল্টে বলেন, ‘গত বছরের চেয়ে ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা শিথিল হওয়াতে বাংলাদেশে কর্মদক্ষতা বছরে ১১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। মধ্যপ্রাচ্য ও ভারতের আঞ্চলিক ট্রাফিক মোতাবেক, আগামী ১০ বছরে আকাশপথে বাংলাদেশের বিমান ভ্রমণ দ্বিগুণ হতে পারে বলে আমরা মনে করি।
এদিকে সিএমও’র পূর্বাভাস অনুযায়ী, বিমান যাত্রী ভ্রমণ ও এয়ার কার্গোর জোরালো উদ্যোগ চাহিদা মেটানোর জন্য দক্ষিণ এশিয়ার ক্যারিয়ারদের আগামী ২০ বছরে ২ হাজার ৩ শত টির বেশি নতুন বাণিজ্যিক বিমানের প্রয়োজন হবে। সে কারণে দক্ষিণ এশিয়ার বর্তমান ইন-সার্ভিস বিমানবহর (৭‘শ টি) তিন গুণ বেশি বড় হবে বলে জানানো হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে আরো জানানো হয়, বোয়িং ৭’শ ৩৭ টির মতো সিঙ্গেল-আইল উড়োজাহাজগুলো দক্ষিণ এশিয়ার ভবিষ্যৎ বিমানবহরের জন্য প্রায় ৯০ শতাংশ এবং বহরের বাঁকি ১০ শতাংশ এবং ৭’শ ৮৭টির মতো প্রশস্ত উড়োজাহাজ দ্বারা গঠিত হবে।
সূত্র:- Right News BD