ডায়াবেটিস কি ডায়াবেটিস হচ্ছে মেলাইটাস একটি বিপাকীয় বা মেটাবোলিক রোগ। ডায়াবেটিস রক্তের স্বাভাবিকের চাইতে গ্লুকোজের মাত্রা যদি বেড়ে যায়, তাহলে নানাবিধ জটিলতা হয় এবং এই অতিরিক্ত গ্লুকোজের মাত্রা যদি স্থায়ীভাবে থাকে তখন আমরা তাকে ডায়াবেটিস মেলাইটাস বলি। দেহে প্যানক্রিয়াস নামক অর্গানের আইলেটস অব ল্যাঙ্গারহ্যান্স এর বিটা সাল থেকে ইনসুলিন নির্গত হয়।
এই ইনসুলিন রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। যদি ইনসুলিন কম থাকে অথবা অকার্যকর থাকে তাহলে উচ্চ রক্তচাপ কিংবা গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়। সেইবে এটা একটা ইনসুলিন ডেফিসিয়েন্সি অথবা ইনেফেক্টিভ ডিজঅর্ডার।
রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা যদি খালি পেটে ৭ মিলিমোল অথবা তার বেশি থাকে অথবা একটা নির্দিষ্ট পরিমাণ গ্লুকোজ খাওয়ার দুই ঘন্টা পরে যদি ইলেভেন অথবা তার বেশি থাকে তাহলে এটাকে ডায়াবেটিস বলে ধরা হবে। ডায়াবেটিস অথচ ব্লাড সুগার খুব বেশি নয় এ সমস্ত রোগের সাধারণত কোনো লক্ষণ থাকে না। তবে ব্লাড সুগার অনেক বেশি হয়ে গেলে ঘন ঘন পিপাসা হওয়া সাথে সাথে ঘনঘন প্রস্রাব হওয়া অতিরিক্ত ক্ষুধা এবং বেশি খাওয়া এবং শরীর দুর্বল ও ক্ষয় হওয়া লক্ষণগুলো দেখা দেয়।
আবার কখনও কখনও রোগী কোনো লক্ষণ ছাড়াই ডায়াবেটিস কি ধরণের জটিলতা সম্পর্কিত রোগ নির্ধারণে উপস্থিত হয়। যেমন স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক অথবা পেরিফেরাল বস্কুলার ডিজিজ বায়োগ্রীন এগুলো সমস্যা নিয়ে উপস্থিত হতে পারে। ডায়াবেটিস রোগী সাধারণত সংক্রামক ব্যাধিতে আক্রান্ত হয়, ফলে কোন ইনফেকশন নিয়ে আসার পর পরীক্ষা করলে দেখা যায় তার ডায়াবেটিস এবং সেটা অনেক দিন ধরে। অথবা ডায়াবেটিসের কিছু আরিজুয়াল রয়েছে যেমন বাচ্চা না হওয়া, মিসক্যারেজ বা গর্ভপাত, শরীরের ঘা না শুকানো।
আরেকটা হল সবচেয়ে ফ্রিকোয়েন্টলি দেখা যায় সেটা হল অল্প পরিশ্রমে হাঁপিয়ে ওঠা সংক্ষেপে ডায়াবেটিস চার প্রকার টাইপ ১ ডায়াবেটিস, টাইপ ২ ডায়াবেটিস, জেস্টেশনাল ডায়াবেটিস এবং এ স্পিসিফিক ডায়াবেটিস।
এ রোগের সচেতনতা বা প্রতিরোধ করার জন্য প্রত্যেকটা নিজের স্পিসিফিক ব্যবস্থা রয়েছে যেমন, টাইপ ১ ডায়াবেটিসে এর বিষয়ে যেহেতু এটা এমেরুজিক্যাল ডিজঅর্ডার এবং বিটাসেলগুলো এমেরুজিক্যাল ডিসফার হয়ে যায় ফলে শৈশ্যবকালে বাচ্চাদের ইউমিউনিটি বাড়ে সেই ব্যবস্থা করা। বিসিজি ভ্যাকসিন দেওয়া, বাচ্চাদের রোদে নেওয়া ভিটামিন ডি কমে না যাওয়া় সেটা দেওয়া ইত্যাদি। টাইপ ২ হচ্ছে ২ প্রকার একটা হলো অবেজ ভ্যারাইটি আরেকটা হল লিন ভ্যারাইটি। তার লিন ভ্যারাইটি তার ইনসুলিন সিক্রেশন অনেক কম।
এ সমস্ত রোগীদের মা গর্ভাবস্থায় মেল নিউট্রিশন ভুগেছিল। সে কারণে গর্ভাবস্থায় পর্যাপ্ত নিউট্রিশন সাপ্লাই করা গর্ভবতী মায়েদের জন্য ডায়াবেটিস না হওয়ার পূর্বশর্ত। এছাড়াও যে সমস্ত বাচ্চা অবেজ তাদের নিয়মিত খেলাধুলা করা ওজন যাতে না বেড়ে যায় সে ব্যবস্থা করা।
কায়িক পরিশ্রম বাড়ানো, নিয়মিত এক্সাসাইজ, ফাস্টফুড না খাওয়া এবং যে সমস্ত রোগের অবস্থায় ব্লাড সুগার বাড়ে এবং যেগুলো ঔষধ খেলে ব্লাড সুগার বাড়ে সে সমস্ত ব্যবস্থা চলাকালীন সময় মাঝে মাঝে রক্ত পরীক্ষা করে দেখতে হবে তার সীমার বাইরে চলে গেছে কিনা।
এছাড়াও নিরোগ শরীরের কমপক্ষে বছরে ২ বার ব্লাড সুগার পরীক্ষা করে দেখা, তাতে করে এটা সীমার বাইরে গিয়েছে কিনা তা জেনে নেয়া।
সূত্র:- Right News BD