পহেলা ফেব্রুয়ারি বুধবার বগুড়া-৪ আসনের উপনির্বাচনে মোট ১১২টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ চলছে। সেখানে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দাড়িয়েছেন আশরাফুল আলম ডাকনাম হিরো আলম। তিনি ১১২টি কেন্দ্রের মধ্যে ৬৩টি কেন্দ্রে ১১ হাজার ৪৮০ ভোট পেয়েছেন। সেখানে একতার প্রতীক নিয়ে হিরো আলম নির্বাচনী প্রার্থী।
অন্যদিকে তার প্রতিদ্বদ্বী হিসেবে দাড়িয়েছেন এ কে এম রেজাউল করিম। তিনি এই উপনির্বাচনে তানসেন মশাল প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। তিনি এই প্রতীকে ৯ হাজার ৪০০ ভোট পেয়েছেন।
ভোট গ্রহণ শেষ হলে সন্ধ্যার পর থেকে বগুড়া জেলা প্রশাসক মোঃ সাইফুল ইসলাম এবং নির্বাচনের রিটানিং অফিসার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে এই ঘোষণা প্রকাশ করেন।
এর পূর্বে সকাল ৮ টা ৩০ মিনিট থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত ৪ ও ৬ আসনের ভোটগ্রহণ চলতে থাকে। নির্বাচনী প্রার্থী হিরো আলম এরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে যান। সেখানে বুধবার সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে বগুড়া-৬ আসনে ভোট গ্রহণ চলতে থাকে।
হিরো আলমের বাড়ি বগুড়া-৬ আসনের সদর উপজেলার এরুলিয়া পলিপাড়া গ্রামে। ভোট দেওয়া শেষ হলে হিরো আলম উপস্থিত সাংবাদিকের সাথে নির্বাচন নিয়ে কথা বলেন। বগুড়া-৬ আসনে পূর্বেও ঝামেলার আশঙ্কা ছিল, তা সত্যি হয়েছে।
তিনি আরো বলেন, ভোট গ্রহণের সময় কেন্দ্র থেকে আমার নির্বাচনী এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। তবে বগুড়া-৪ আসনের ভোট শান্তিপূর্ণভাবে হচ্ছে। এর রকমভাবে ভোগ গ্রহণ চললে আমি বিজয়ী হবো।
হিরো আলমের কাছে জানতে চেয়ে বলা হয় কোন কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। হিরো আলম উত্তরে বলেন লাহিড়ীপাড়া একটি ভোট কেন্দ্র থকে এজেন্টদের বের করা হয়েছে। এছাড়াও অন্যান্য কেন্দ্রগুলো নাম পরে বলছি।
বুধবার সারা দেশের ছয়টি আসনে উপনির্বাচন চলছে। এদের মধ্যে দু’জন বগুড়ার। তার মধ্যে হিরো আলম এই দুই আসনের প্রার্থী হিসেবে দাড়িয়েছেন। প্রতীক হিসেবে তিনি সিংহ মার্কা চান। সেক্ষেত্রে তাকে সিংহ প্রতীক এর পরিবর্তে একতা প্রতীক দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও নির্বাচন কমিশন থেকে তাকে বাতিল করেছে। পরে হিরো আলম হাইকোর্টে রিটের মাধ্যমে ফেরত পেয়েছেন।
সূত্র: Right News BD