আজ কথা বলব সিসিটিভি ক্যামেরা প্যাকেজ নিয়ে। কেন আপনি সিসিটিভি প্যাকেজ নিবেন, এর উপকারিতা কি এবং সুবিধা কি কি পাবেন, এর সম্পর্কে জানতে পুরো লিখাটি পড়ুন।
একটি সিসিটিভি ক্যামেরা হ’ল ক্লোজ-সার্কিট টেলিভিশন ক্যামেরা, বা খুব কাছে থেকে দেখার জন্য ক্যামেরা । এই ক্যামেরা শুধুমাত্র বাসা, অফিস, এলাকা, কারখানার সার্বিক নিরাপত্তার কাজে বাবহৃত হয়। সিসিটিভি প্যাকেজ যাকে ইংলিশে “CCTV Camera Full set” ও বলে।
সিসিটিভি প্যাকেজ কত প্রকার
জেনে রাখা ভাল যে কত প্রকারের এই প্যাকেজ গুলো হয়। সাধারনত এই প্যাকেজ গুলো সাজানো হয় ১টা ক্যামেরা প্যাকেজ থেকে ১৬ টা ক্যামেরার প্যাকেজ। তবে সবথেকে বেশি জনপ্রিয় ৪টি সিসিটিভি প্যাকেজ আর ৩টি ক্যামেরার প্যাকেজ।
সিসিটিভি প্যাকেজ এর দাম কত?
মূলত আমরা যে যেভাবেই চিন্তা করি না কেন প্যাকেজের দামটাই হল আসল ব্যাপার, তার কারণ হলো, ক্রেতারা সব সময়ই কমদামে পণ্য কিনতে চাইবেন এটাই স্বাভাবিক। সাধারণত ৪টি ক্যামেরা প্যাকেজ দাম ১৪,০০০ টাকা থেকে ১৭,০০০ টাকা পর্যন্ত হয়ে থাকে। আবার কোন কোন প্যাকেজের সাথে সিসিটিভি বিক্রেতারা মনিটর সহ অফার করে।
আমাদের একটা বিষয় অবশ্যই মনে রাখতে হবে, যখন আমরা আমাদের নিরাপত্তার জন্য কোন ইলেকট্রনিক পণ্য কিনবো। নিরাপত্তার কাজে বাবহৃত সকল পণ্যই সার্ভিস দরকার পড়ে, আর তাই দাম নির্ধারণ করার সময় এই বিষয়টাও মাথায় রাখতে হবে।
এখানে কিছু ব্র্যান্ডের নাম ও প্যাকেজের দাম তুলে ধরছি।
- এভিটেক ৪ ক্যামেরা প্যাকেজ এর দাম – ২০ হাজার থেকে ২২ হাজার পর্যন্ত।
- ডাহুয়া ৪ ক্যামেরা প্যাকেজ এর দাম – ১৪ হাজার থেকে ১৭ হাজার পর্যন্ত।
- হিকভিসন ৪ ক্যামেরা প্যাকেজ এর দাম – ১৫ হাজার থেকে ১৮ হাজার পর্যন্ত।
- জভিশন ৪ ক্যামেরা প্যাকেজ এর দাম – ১২ হাজার থেকে ১৪ হাজার পর্যন্ত।
সিসিটিভি ক্যামেরা প্রাইস ইন বাংলাদেশ লিখে গুগল এ সার্চ করলে ফলাফল দেখতে পারবেন।
সংগৃহীত সিসিটিভি ক্যামেরা বিক্রেতাদের ওয়েবসাইট থেকে।
সিসি ক্যামেরার নজরদারি এখন মোবাইলে
সিসিটিভি প্যাকেজ ব্র্যান্ডের নাম
বাংলাদেশে সাধারণত চারটা ব্র্যান্ড, প্যাকেজ হিসেবে পাওয়া যায়, তা হলো, এভিটেক, ডাহুয়া, হিকভিসন, এবং জভিশন।
প্যাকেজ কিনলে উপকারিতা কি?
প্যাকেজ কিনলে আপনার প্রথম লাভ হচ্ছে, মূল আইটেমগুলো একই ব্র্যান্ড হচ্ছে, তাতে ব্যবহার করার সময় ঝামেলা কম হবে। ভাল ব্র্যান্ডের পণ্য হলে আরও ভাল সুফল পাওয়া যাবে। তবে খেয়াল রাখতে হবে, অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ান দ্বারা ব্যবহার না করলে, সুফল নাও পাওয়া যেতে পারে । দ্বিতীয় লাভ হচ্ছে সিসিটিভি ক্যামেরা সেটিং এর জন্য বিক্রেতারাই করে দিয়ে যাবে, আপনার ঠিকানায় গিয়ে। আর তৃতীয় লাভ হচ্ছে, বিক্রেতা যেহেতু নিজেই সিসিটিভি ক্যামেরা সেটিং করছে, সে জানবে, সে কোথায় কোনটা সেটিং করছে, আর তাই সার্ভিস নিয়ে কোন ঝামেলা হবেনা।
প্যাকেজে কি ধরনের ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়?
প্যাকেজ গুলোতে সাধারণত এইচডি ক্যামেরা (HD Camera) ব্যবহার করা হয়। আর এইচডি মানে হাই ব্রিড ক্যামেরা। তবে এটা কোন ভাবেই হাই ডেফিনেশন ক্যামেরা হবে না, আর হাই ডেফিনেশন মানে আইপি অথবা নেটওয়ার্ক ক্যামেরা। আবার আই পি ক্যামেরাকে ওয়াইফাই ক্যামেরা ধরা যাবে না, যা কিনা পৃথক টেকনোলজি পৃথক পৃথক কাজে ব্যবহার করতে হয়।
প্রতিটি ক্যামেরাই নাইট ভিশন থাকে, যা ঘরের ভিতর ও বাহিরে ব্যবহার করা যায়। ঘরের বাহিরে বাবহৃত ক্যামেরা গুলো পানি ও আদ্রতা রোধক হয়। ঘরের ভিতরের জন্য মিনি নাইট ভিশন ক্যামেরা বা ডোম ক্যামেরা আর বাহিরের জন্য বুলেট বা বক্স ক্যামেরা প্যাকেজে পাওয়া যায়।
প্যাকেজের ক্যামেরা গুলো কোন দেশের তৈরি?
আমাদের দেশে সব প্যাকেজ গুলো চায়নার তৈরি হয়, তবে গুণগত মান খুবিই ভাল। চায়নার তৈরি বদনাম হয়, অদক্ষ টেকনিশিয়ান দ্বারা সেটিং করলে, তবে ভাল মানের টেকনিশিয়ান দ্বারা সেটিং করলে ভাল ফল পাওয়া যায়।
সর্বশেষ
নিরাপত্তার বিষয় কোন ভাবেই কোয়ালিটি ও ভাল সিসিটিভি সরবরাহকারী নিয়োগ দিতে আপস করা ঠিক হবেনা। তার কারণ সিসিটিভি ক্যামেরা প্যাকেজ স্থাপিত জায়গাতে কোন রকম দুর্ঘটনা ঘটলে, আইনশৃঙ্খলা বাহিনি এই প্রযুক্তির সাহায্যে (ভিডিও রেকর্ড) অপরাধীকে খুজে বের করবে, আর সেই ভিডিও রেকর্ড করা না থাকলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেক কষ্ট হবে অপরাধীকে খুজে বের করতে।
সূত্র:- Right News BD