সম্প্রতি সময়ে রাজশাহীর রিক্সা চালক সেন্টু অক্সিজেন নল লাগিয়ে চিকিৎসা সহায়তা পাচ্ছেন। তাঁর চিকিৎসা সহায়তা দিচ্ছেন শ্রম ও কর্মসংস্থাপন প্রতিমন্ত্রী বেগম মন্নুজান সুফিয়ান। গতকাল ১৮ মে (বৃহস্পতিবার) বিকেল বেলা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা মো: আকতারুল ইসলাম এই তথ্য জানান।
এছাড়াও মো: আকতারুল ইসলাম জানান, নাকে অক্সিজেন নল লাগিয়ে রিক্সা চালক সেন্টু বর্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন বলে গতকাল সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে শ্রম প্রতিমন্ত্রীর নজরে আসে। তাৎক্ষণিক রিক্সা চালক সেন্টুর চিকিৎসার জন্য খোঁজখবর নেওয়ার নির্দেশ দেন। এর পাশাপাশি শ্রম ও কর্মসংস্থাপন মন্ত্রণালয়ের অধীনে থাকা বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশনের তহবিল থেকে সেন্টুর চিকিৎসা সহায়তার ঘোষণা দেওয়া হয়। রাজশাহীর কলকারখানার প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মো. আরিফুল ইসলাম রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ফুসফুস সমস্যার জন্য ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন মাইনুজ্জামান সেন্টুর চিকিৎসার সকল খোঁজখবর রাখছেন।
শ্রমজীবী মানুষের সহায়তা করার জন্য বাংলাদেশ শ্রম আইন অনুযায়ী সরকার শ্রমিক কল্যাণ ফাউন্ডেশন তহবিল গঠন করেছে। এ ফাউন্ডেশন তহবিল হতে প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক খাতের শ্রমিকদের কর্মস্থল সহ দুর্ঘটনাজনিত আহত, মৃত্যু, দুরারোগ্য ব্যাধি আক্রান্ত হওয়া শ্রমিকদের চিকিৎসা ও শ্রমিকের মেধাবী সন্তানদের উচ্চশিক্ষায় সহায়তা দেওয়া হয়।
গত পাঁচ বছর থেকে একটি বেসরকারি সংস্থা থেকে আশি হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিল। সেই ঋণের টাকা দিয়ে একটি রিকশা কিনেছিলেন মাইনুজ্জামান। ঠিক দুই বছর পর নগরের ঘোষপাড়ার মোড়ে সেই রিকশাটি চুরি হয়েছে। তারপর আবারও ঋণ করে আরো একটি রিকশা কিনে সেটি চালাতেন।
এসবের মধ্যে আবার হার্নিয়ার অস্ত্রোপচারের চিকিৎসার জন্য আরও ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন তিনি। প্রতি সপ্তাহে (সাত) দিনে দুই জায়গায় ১ হাজার ৩৫০ টাকা করে কিস্তি দিতে হত রিক্সা চালক সেন্টুকে। দিনে তিনটি করে অক্সিজেন সিলিন্ডার লাগে সেন্টুকে। ওষুধ ও অক্সিজেন মিলে দিনে ৬০০ টাকা খরচ হয় তাঁর।
এ যাবৎ দুই মাস ধরে রিক্সা চালক সেন্টু শারীরিক দিক দিয়ে বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েন। অক্সিজেন ছাড়া চলাফেরা করা অসম্ভব হয়ে পাড়েছিল। অবশেষে গত দুই দিন ধরে নাকে অক্সিজেনের নল লাগিয়ে রিকশা চালিয়েছেন। গত ১৪ (ফেব্রুয়ারি) রোববার রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হন সেন্টু।
সূত্র:- Right News BD
Bengali 
English