বর্তমান সময়ের বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ মিজানুর রহমান আজহারী, মৌসুমিকে নিয়ে কিছু মতপ্রকাশ করলেন। ফেসবুক লাইভ অনুষ্ঠানে ৩ এপ্রিল (মঙ্গলবার) রাত ১০টার সময় চিত্রনাইকা মৌসুমির নাম সরাসরি উল্লেখ না করে তার বিশেষ আকুতির কথা বলেন তিনি। মৌসুমি বলেছেন যে, আমার মৃত্যুর পরে আমার ছবির ভিডিও সবাই ডিলিট করে দেবেন।
এ বিষয়ে তিনি কিছু প্রশ্ন রেখে বলেছেন, ‘সারা জীবন পাপের পথে চলার পরেও, এ রকম কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত থাকেও শেষ জীবনে এটা বলার পরোও কি এসব কর্মকাণ্ড ডিলিট হয়?
এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে এ রকম কিছু বলাতে, এ সব ভিডিওগুলো ডিলিট করা সম্ভব। তাই সর্ব শেষ সময়ে এসে না বুঝে, শুশিলতার পথে, সত্যের পথে এবং কল্যাণের পথে এখন থেকেই যেন থাকি। কিন্তু আমরা বুঝি না সময় চলে যাওয়ার পরেও। এছাড়াও আজাহারী আরও বলেন, ‘বাংলাদেশ চিত্রনায়িকা’ মৌসুমি যে আকুতি পেশ করেছেন, আসলেই কি পুরো বিশ্বের দর্শক-শ্রোতাদের কাছে তার ছবির, ভিডিওগুলোর দৃশ্য রয়েছে। এ সব সিনেমার দৃশ্যগুলো ডিলিট করা কি সম্ভব? তার মৃত্যুর পরও দেখা যাবে বিভিন্ন চ্যানেলে সেগুলো চলতেই থাকবে।
চলচিত্রের সকল নায়িকাদের জন্য শিক্ষা জানিয়ে আজহারী বলেন, এ বোনের (মৌসুমী) কথাগুলো শুনে, চলচিত্রের রূপালী পর্দার সকল বোনেরাও যেন একটু হলে তারাও উপলদ্ধি করার চেষ্টা করতে পারে। কারণ আমরাও কি রকম পথে হাঁটে চলেছি? আমার বর্তমান কাজগুলো কি রকম ক্যারিয়ারে আল্লাহর সন্তুষ্টির পথে আছে? এ রকম পর্যায়ে আসলে কি আল্লাহ তা’য়ালার বান্দাদের কল্যাণ হচ্ছে? নতুবা অশ্লীলতার দিকে ধারবরত হচ্ছি? যদি একটু মনোযোগ সহকারে চিন্তা করি আমরা। একটু গভীরভাবে আমাদের লাইফস্টাইল সম্পর্কে চিন্তা করি।
এছাড়াও তিনি কোরআনের আলোকে ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, “মানুষের হৃদয়ের মাঝে একটি নূর থাকে আর কুরআন-এ হচ্ছে একটি নুর, এই দুই নূর মিলে হয় নুরুন আলা নুর বা আলোর ওপর আলো। মনোযোগ সহকারে একটু চিন্তা করলেই এ বিষয়টি বেরিয়ে আসবে। তাহলেই সঠিক উত্তর পেয়ে যাবেন।
চলচ্চিত্রের জগতের আগমনটা কেমন। বর্তমান সময়ে চলচিত্রগুলি অশ্লীলতার দিকে ধাবিত করে। শেষ বিচারের দিনে আমরা কী রকম জবাব প্রস্তুত করেছি এগুলোর জন্য। এছাড়াও তিনি এই আলোচনার শেষে বলেন, আমাদের যে বোন (মৌসুমি) সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে আকুতি জানিয়েছেন, মৃত্যুর পর তার লাশ যেন কেউ না দেখে। তার মৃত্যুর পর যেন তার সব ভিডিওগুলি সম্পূর্ণ ডিলিট করে দেওয়া হয়।
এফ এ কিউ
বিশিষ্ট ইসলামি চিন্তাবিদ মিজানুর রহমান আজহারী একজন বর্তমানে মালয়েশিয়ার ইন্টারন্যাশনাল ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব মালয়েশিয়াতে পিএইচডি অধ্যয়নরত। ইসলামি আলোচক হিসেবে তিনি জনপ্রিয় সমগ্র পৃথিবীর একজন শ্রেষ্ট ইসলামী আলোচক।
আরিফা পারভিন জামান মৌসুমী, তিনি ৩ নভেম্বর ১৯৭৩ তিনি বাংলাদেশের খুলনা জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বর্তমান সময়ে ‘মৌসুমী’ নামে অধিক পরিচিত। বাংলাদেশী জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী তিনি।
সোহানুর রহমান সোহান পরিচালিত, ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’ সিনেমায় চলচ্চিত্র জগতে ১৯৯৩ সালে প্রথম পদার্পণ করেন ‘মৌসুম‘। তবে অকাল প্রয়াত অভিনেতা সালমান শাহ তার প্রথম চলচ্চিত্রে বিপরীতে ছিল ।
সূত্র:- Right news BD