৮ জয়ে প্লে অফে পৌঁছেছে মাশরাফির দল

২০২৩ বিপিএল খেলার খবর আপডেট – ১০ ম্যাচে ৮ জয়ে প্লে অফে পৌঁছেছে মাশরাফির দল। সিলেট থেকে গ্যালারি জুড়ে গোলাপি রঙ্গের আভাস। সিলেট স্ট্রাইকার্সের জার্সি পরা হাজারো মানুষের সমর্থন।

এক অবিশ্বাস্য পরিবেশ। এটা সচরাচর বিপিএলে দেখা যায় না। তবে একেবারেই হতাশ হতে হয়নি স্বাগতিক ভক্তদের। নিজেদের মাঠে তিন ম্যাচের প্রথমটিতে হেরেছে সিলেট। ঢাকায় ফেরার পূর্বে শেষ ম্যাচে জিতে প্লে অফ নিশ্চিত করেছে তারা। প্রথমে দলের হয়ে জুটি বাঁধেন তৌহিদ হৃদয় ও জাকির হাসান। রায়ান বার্ল এবং থিসারা পেরেরা শেষ দিকে ঝড় তোলেন। বল হাতে অবশিষ্টটা করেন রুবেল হোসেন-রেজাউর রহমান রাজারা।

ম্যাচ শেষে অবশ্য সিলেটের জন্য অসুবিধা, চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন রাজা আর অধিনায়ক মাশরাফি। ২০ জানুয়ারি (সোমবার) সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে বিপিএলের ম্যাচে খুলনা টাইগার্সকে ৩১ রানে হারিয়েছে সিলেট স্ট্রাইকার্স।

পূর্বে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৯২ রান করে সিলেট। ৯ উইকেট হারিয়ে ১৬১ রানের বেশি করতে পারেনি খুলনা। মাশরাফি বিন মুর্তজার দল ৮ জয়ে প্লে অফে পৌঁছেছে।

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ভালো করতে পারেনি সিলেট স্ট্রাইকার্স। শেষ ম্যাচে জয়ী নাজমুল হোসেন শান্ত ১২ বলে ৬ রান করে সাজঘরে ফেরেন মার্ক দেয়ালের বলে শাই হোপের হাতে ক্যাচ দিয়ে। এরপর দলের হাল ধরেন জাকির হাসান আর তৌহিদ হৃদয়। দুজন মিলে গড়ে তোলেন ১১৪ রানের বড় জুটি।

৮ জয়ে প্লে অফে পৌঁছেছে মাশরাফির দল

বেশ স্বাচ্ছন্দ্যে খেলেছেন এই দুই ব্যাটসম্যান। তৌহিদ হৃদয় ইনজুরি থেকে ফিরে দুই ম্যাচে রান পাননি তৌহিদ হৃদয়। কিন্তু এদিন খুলনার বিপক্ষে ৪৯ বলে ৯ চারে ৭৪ রান করে আউট হন নাহিদ।

হাফ সেঞ্চুরি করেন জাকির হাসানও। ৩৮ বলে ২ চার আর ৪ ছক্কায় ৫৩ রান করে নাহিদুলের বলে বোল্ড হন তিনি। শেষে ক্যামিও ইনিংস খেলেন রায়ান বার্লে ও থিসারা পেরেরা। বারল ১৪ ও ২ ছক্কায় ২২ রান করেন আর পেরেরা ৭ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ১৭ রানে অপরাজিত থাকেন। খুলনার হয়ে ওয়াল ৪ ওভারে ৪০ রান দিয়ে দু’টি উইকেট তুলে নেন। একটি করে উইকেট তুলে নেন নাহিদুল ইসলাম ও নাহিদ রানা।

তবে জবাবটা দিতে নেমে শুরুটা ভালো হয়নি খুলনার। ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই দুই উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানকে হারায় তারা। রুবেল হোসেনের বলে তামিম ইকবালের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরান মাশরাফির ও বলবর্নি জাকির হাসান। তারা ১০ বলে ১২ রান আর ৭ বলে ৭ রান করেন। পাওয়ার প্লেতে ছয় ওভারে খুলনার সঞ্চয় ৪০ রান।

এর মধ্যে শাই হোপ কিছুক্ষণের জন্য ইনিংস ক্ষতিপুরণের চেষ্টা করেন। কিন্তু এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটসম্যানও রেজাউর রহমান রাজার বলে বার্লের হাতে ধরে দিয়ে ২২ বলে ৩৩ রান করেন। আজম খান যাওয়ার পর খুলনার আশা জাগিয়েছেন।

পাকিস্তানি ব্যাটাররা ঝড় তোলে। কিন্তু ১৭ বলে ৪ চার আর ২ ছক্কায় ৩৩ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি। ইমাদ ওয়াসিমের বলে বোল্ড হন আজম। এরপর ক্রিজে মার্ক ডেয়ালকে ফিরিয়ে তৃতীয় উইকেট পান রুবেল হোসেন। বিপিএলে এই অভিজ্ঞ পেসারের শততম উইকেট।

ইয়াসির আলী রাব্বির বিদায়ের পর খুলনার আশা শেষ হয়ে গেল। রেজাউর রহমানের বলে নিজের হাতে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফিরে গেলে ৮ বলে ৪ রান করেন বাংলাদেশি এই ব্যাটসম্যান। এরপর ১৬১ রানে থামতে হয় খুলনাকে। সিলেটের হয়ে ৪ ওভারে ৩৭ রান দিয়ে ৪ উইকেট নেন রুবেল। ২ ওভারে ১২ রান দিয়ে উইকেটহীন থাকা মাশরাফি বোলিং করতে গিয়ে ব্যথা পান।

আর ৪ ওভারে ২৯ রান দেওয়ার পর ফিল্ডিং করতে গিয়ে চোট পান রাজা।

সূত্র:- Right News BD

bn_BDBengali