আজকে আপনাদের অত্যন্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। সেটি হচ্ছে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি বা হার্ট সুস্থ রাখতে কি কি খাবার খাওয়া দরকার। প্রতিদিন জীবন ব্যবস্থা বা লাইফ স্টাইল পরিচালনার ক্ষেত্রে হার্ট এর সুস্থ্যতা বজায় রাখাটাও জরুরী।
হার্ট বা হৃদপিন্ড আমাদের শরীরের জন্য অনেকটাই গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। তাছাড়া হার্ট মূলত আমাদের শরীরের প্রধান নিয়ন্ত্রক হিসেবে কাজ করে। সে জন্য হার্ট সুস্থ রাখার জন্য অবশ্যই খেয়াল রাখা প্রয়োজন।
দৈনন্দিন জীবন যাপনে আমরা কিভাবে আমাদের জীবন যাপনটা লিড করছি। কিভাবে প্রতিদিনের খাবারগুলো মেইনটেন্ট করছি?
আমাদের যে অভ্যাসগুলো আছে সেটা আমাদের হার্ট এর জন্য কতটুকু সুস্থতার জন্য ভূমিকা রাখছে। সেই বিষয়গুলো আমাদের মাথায় রেখেই দৈনন্দিন জীবন যাপন পরিচালনা করতে হবে।
আমরা প্রতিদিন যে খাবারগুলো খেয়ে থাকি সেগুলো খাবার আমাদের শরীরের জন্য ব্যালেন্স ডায়েট হচ্ছে কিনা।
আমাদের শরীরের জন্য ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করছে কিনা?
পাশাপাশি শরীরের প্রয়োজনীয় চাহিদাও পূরণ করছে কি না?
এই বিষয়গুলি মাথায় রাখাটাও অনেকটাই জরুরী। আমাদের লাইফ স্টাইল অনুযায়ী প্রতিদিন কিভাবে লিড করছে সেটিও ভেবে দেখা দরকার। যেমন অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার কারণে অতিরিক্ত স্ট্রেট হচ্ছে কি না?
সুস্থ লাইফ স্টাইল মেইনটেন্ট করলে দেখা যাবে শরীরের প্রত্যেক অঙ্গ প্রতঙ্গই সুস্থ থাকবে।
তাই আর দেরি না করে আজকের পেষ্টে হার্ট এর সুস্থ্যতার জন্য কোন কোন খাবারগুলো খেলে জীবন যাপনে সঠিকভাবে ব্যলেন্স ডায়েটগুলো ঠিক থাকবে সেই বিষয়গুলো জেনে নেই।
যেসব খাবারে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে
প্রতিদিন খাবারের মধ্যে অতিরিক্ত ক্যালরি যাতে না থাকে সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে। সে ক্ষেত্রে অবশ্যই একজন পুষ্টি বিদের পরামর্শ নেয়া যেতে পারে।
প্রতিদিন খাবারের তালিকায় পর্যাপ্ত পরিমাণে ফ্রুটস, ভ্যাজিটেবল রাখা জরুরী। এগুলো খেলে শরীরের ভিটামিন এবং মিনারেল মেইনটেন্ট করতে সাহায্য করবে।
সাধারণত হার্ট এর ঝুঁকি হওয়ার প্রধান কারণ হচ্ছে রক্তে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া। খারাপ কোলেস্টেরল যখন বেড়ে যায় আর তখনই হার্ট সঠিকভাবে পাম্প করতে পারে না।
এমতবস্থায় আমাদের শরীরের বিভিন্ন প্রকার সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আমাদের অবশ্যই টার্গেট থাকতে হবে রক্তে যেন অতিরিক্ত কোলেস্টেরল বেড়ে না যায়। সে জন্য আমাদের যা করণীয়- খাবারে পর্যপ্ত পরিমাণে শাক সবজি, ফলমুল রাখতে হবে।
এসব খাবার খেলে ব্লড সারকুলেশন ঠিক রাখতে সাহায্য করবে।
এছাড়াও বিভিন্ন মিনারেলস আছে যেগুলো খাবার খেলে আমাদের ব্লাডের কনট্রাকশন মেইনটেন করতে সাহায্য করবে। যেমন-
বাদাম
বাদামের রয়েছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড রয়েছে। আর এই ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড রক্তের মধ্যে থাকা খারাপ কোলেস্টেরলকে নিয়ন্ত্রণ করবে এবং ভালো কোলেস্টেরল শরীরের পৌঁছে দিতে সাহায্য করবে।
এটি মূলত হার্ট সুস্থ রাখতে অনেকাংশে ভূমিকা রাখে। এছাড়াও আরো খেতে পারেন-
কমলা
বেরি
ডার্ক চকলেট
মাশরুম
টক জাতীয় খাবার (টকদই)
বীজ জাতীয় খাবার
ওটমিল
পরিশেষে
হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমাতে অবশ্যই অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা জরুরী।
কেননা অতিরিক্ত মোবাইল ফোনের না করে সেই সময়ে শারীরিক ব্যায়াম হয় এমন সব হাতের কাজ করার চেষ্টা করতে হবে।
সূত্র:- Right News BD