দৈনন্দিন জীবন যাপনে সুস্থ্য থাকতে হলে জানতে হবে হার্ট অ্যাটাক কি এবং এর লক্ষণগুলো সম্পর্কে? আপনি যদি এই বিষয়ে সঠিকভাবে না জেনে থাকেন তাহলে জেনে নিতে পারেন। আপনার গ্যাসের ব্যথায় কি মাঝেমধ্যে অস্বস্তি ও অস্থিরতা অনুভব হয়? কখনো ওষুধ খেয়ে ব্যথা সাময়িকভাবে কমছে, পরে আবার কখনো কমছেই না? হার্টের ব্যথা অনেক সময় এই ব্যথা শুধু গ্যাসের নয়ও হতে পারে , যাকে বলা হয় স্টেবল এনজাইনা (Stable angina)।
বিশেষ করে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণগুলো জানা থাকলে দ্রুত হাসপাতালে পৌঁছানো ও চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব। তবে মনে রাখতে হবে, সব সময় হার্ট অ্যাটাকের পূর্বলক্ষণ নাও থাকতে পারে।
What is a heart attack? হার্ট অ্যাটাক কি? এর লক্ষণগুলো কি কি?
বুকে ব্যথা হওয়ার লক্ষণ ?
হার্ট অ্যাটাক কি? হার্ট অ্যাটাক হচ্ছে বুকের ঠিক মাঝখানে শুরু হয় এবং অনেক সময় তা তীব্র হয়ে ওঠে। মনে হতে পারে, বুক চেপে যাচ্ছে বা কোনো ভারী বস্তু বুকের ওপর চাপ দিচ্ছে। চিকিৎসাবিজ্ঞানে একে বলা হয় “সেন্ট্রাল কমপ্রেসিভ চেস্ট পেইন” (Central compressive chest pain)।
ব্যথা ধীরে ধীরে বাড়তে থাকে এবং তীব্রতার কারণে রোগী প্রায়ই মৃত্যু ভয়ের শিকার হন। এই ব্যথা ঘাড়, চোয়াল বা বাঁ হাতে ছড়িয়ে পড়তে পারে, যাকে রেডিয়েটিং পেইন বলা হয়। কারও কারও ক্ষেত্রে পিঠেও ব্যথা অনুভূত হতে পারে।
অতিরিক্ত ঘাম ও বমি
বুকের ব্যথার পাশাপাশি অতিরিক্ত ঘাম হতে পারে এবং রোগী অস্থির হয়ে পড়েন। অনেক সময় হার্ট অ্যাটাকের সময় বুক ধড়ফড় করে বা প্যালপিটেশন দেখা দেয়। তীব্র বুকে ব্যথার সঙ্গে বমি বমি ভাব বা বমি হওয়াও হার্ট অ্যাটাকের আরেকটি সাধারণ লক্ষণ।
শ্বাসকষ্ট
অনেক লোকের হার্ট অ্যাটাকের পর হৃদযন্ত্রের কার্যক্ষমতা কমে যাওয়ায় হার্ট ফেইলর হয়। এতে শরীরের বিভিন্ন স্থানে, বিশেষত ফুসফুস, পেট ও পায়ে পানি জমে যায়। ফুসফুসে পানি জমলে শ্বাসকষ্ট শুরু হয় এবং অনেক সময় কাশিও হতে পারে।
অকারণে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
হার্টের ধমনিগুলোয় রক্তপ্রবাহ কমে বা বন্ধ হয়ে গেলে হৃদযন্ত্র দুর্বল হয়ে যায়, যার ফলে অনেকেই অজ্ঞান হয়ে বা হঠাৎ ধসে পড়েন।
হৃৎস্পন্দন এলোমেলো হয়ে যাওয়া
হার্ট অ্যাটাকের পরবর্তী একটি জটিলতা হলো হৃৎস্পন্দন অনিয়মিত হয়ে যাওয়া। যাঁদের পালস এলোমেলো থাকে, তাঁদের দ্রুত চিকিৎসা না করলে অবস্থা গুরুতর হওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে।
বেশির ভাগ মানুষের ক্ষেত্রে কোনো পূর্বলক্ষণ ছাড়াই হার্ট অ্যাটাক ঘটে। আবার, কিছু মানুষের ক্ষেত্রে অল্প কিছু উপসর্গ দেখা যায়, যা বিশ্রাম নিলে কমে যায়। একে স্টেবল এনজাইনা বলে। তবে কিছু ক্ষেত্রে এই ব্যথা বিশ্রাম নিলেও কমে না এবং জিবের নিচে জিটিএন ওষুধ স্প্রে করলে আরাম হয়। একে আনস্টেবল এনজাইনা বলা হয়।
বিশেষ করে হার্ট অ্যাটাকের লক্ষণ যেকোনো ধরনের হোক না কেন, লক্ষণগুলো শনাক্ত হলে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালে নেওয়া জরুরি। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব চিকিৎসা শুরু করা যায়, রোগীর জটিলতা এবং মৃত্যুঝুঁকি তত কমানো সম্ভব।
সূত্র: Right News BD