হাঁসের ডিম আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারি একটি খাবার। তাছাড়া শরীরে শক্তি কমে গেলে ডিম খেলে সহজে সেই হরানো শক্তি ফিরে পেতে সাহায্য করে। বিশেষ করে শীতে হাঁসের ডিম খেলে আমাদের শরীরের পুষ্টির চাহিদা পুরণ করতে সহায়তা করে। তবে জেনে রাখা ভালো ডিম আবার কারো ক্ষেত্রে সম্যসা হতে পারে। তাই সতর্কতা মেনে ডিম খাওয়া উচিত।
স্বাস্থ্য রক্ষায় প্রতিদিন শীতে হাঁসের ডিম খাওয়ার উপকারিতা
১. উচ্চ পুষ্টিমূল্য
হাঁসের ডিমে প্রোটিন, ভিটামিন, এবং খনিজ পদার্থ প্রচুর পরিমাণে থাকে। এতে ভিটামিন বি১২, ভিটামিন ডি, এবং সেলেনিয়াম থাকে যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে।
২. শক্তি ও তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ
শীতের সময় কমবেশি সবার শরীরের উষ্ণতা কমে যায়। তাই এ সময় হাঁসের ডিমের ক্যালরি আমাদের শরীর গরম রাখার জন্য এটি গ্রহণ করা উচিৎ। কারণ এটিতে ক্যালরি বেশি থাকে বলে সহজেই আমাদের শরীরে শক্তি বৃদ্ধি করতে সহায়তা যোগায়।
৩. মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষায় সহায়ক
হাঁসের ডিমে থাকা ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে সহায়ক। শীতকালে মানসিক বিষণ্ণতা প্রতিরোধে এটি কার্যকর।
৪. ত্বকের যত্ন
ভিটামিন ই এবং প্রোটিন ত্বকের স্বাস্থ্য উন্নত করতে সহায়ক। শীতকালে ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়, তাই হাঁসের ডিমের ফ্যাট এর শক্তি আমাদের ত্বককে ময়েশ্চারাইজ করতে সাহায্য করে।
হাঁসের ডিমের অপকারিতা
১. কোলেস্টেরল বৃদ্ধি
হাঁসের ডিমে বেশি কোলেস্টেরল বলে নিয়মিত খেলে রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। তাই উচ্চ কোলেস্টেরল মাত্রা হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ায়।
২. অ্যালার্জি
কিছু মানুষের হাঁসের ডিমে অ্যালার্জি থাকতে পারে। শ্বাসকষ্ট, চুলকানি বা ত্বকে র্যাশ দেখা দিতে পারে। অ্যালার্জি থাকলে হাঁসের ডিম এড়িয়ে চলা উচিত।
৩. ওজন বৃদ্ধি
হাঁসের ডিমে ক্যালরি ও ফ্যাট বেশি থাকায় অতিরিক্ত খেলে ওজন বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
যারা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, তাদের পরিমিতভাবে খাওয়া উচিত।
৪. হরমোনাল সমস্যা
কিছু গবেষণায় হাঁসের ডিমে হরমোনাল ভারসাম্যের পরিবর্তনের সম্ভাবনা পাওয়া গেছে। বিশেষ করে নারীদের ক্ষেত্রে বেশি খাওয়া ক্ষতিকর হতে পারে।
ডিম খাওয়া নিয়ে শেষে কিছু অতিরিক্ত পরামর্শ
হাঁসের ডিম খাওয়া কিছু লোকের জন্য অসুবিধা রয়েছে। তাই শীতে হাঁসের ডিম সতর্কভাবে এবং পরিমিত পরিমাণে উপভোগ করুন।
ডিমে বেশি পরিমাণে কোলেস্টেরল উপাদান রয়েছে, তাই একদিনে বেশি ডিম খাওয়া শরীরের জন্য বিপজ্জনক হতে পারে।
এমনও ব্যক্তি আছেন যারা নিয়মিত কোলেস্টেরল সমস্যায় ভোগেন, তাদের ক্ষেত্রে খাবার টেবিলে ডিম যোগ করা থেকে এড়িয়ে চলা উচিত।
যাদের হাঁসের ডিম খেলে অ্যালার্জি দেখা দেয়, তাদের ক্ষেত্রে ডিম খাওয়ায় ভালো। তবে স্বাস্থ্য রক্ষার্থে ডিম খাওয়ার প্রয়োজন হয় তাহলে অবশ্যই একজন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞে পরামর্শ নিয়ে খেতে হবে।
সূত্র: Right News BD