নিয়মিত রাতে শরীরে ঘুমের ঘাটতি দেখা দিলে হতে পারে বিভিন্ন সমস্যা। তাছাড়া দৈনন্দিন জীবনযাপনে সুস্থ থাকার জন্য শরীরের ঘুমের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি।
অনেকেই আছেন সারা দিন কাজ শেষে রাতে বিছানায় গিয়ে না ঘুমিয়ে চোখের সামনে ধরে রাখেন মুঠোফোন।
রাতে ঘুমানের সময় দীর্ঘক্ষণ চোখের সামনে মোবাইল ফোনের দিকে তাকিয়ে থাকার কারণে শরীরের বিভিন্ন সম্যসায় পড়েন অনেকে। সে কারণেই মানুষের শরীরে সৃষ্টি হয় নানা রোগের প্রভাব।
একজন প্রাপ্ত বয়সী মানুষকে সুস্থ থাকতে হলে রাতে অন্তত ৬ থেকে ৭ ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন হয়। অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায়, বিনা কারণে অতিরিক্ত রাত জাগার কারণে পর্যাপ্ত বিশ্রাম পায়না শরীর। পরের দিন ক্লান্ত শরীর নিয়েই নিয়মিত কাজ করেন অনেকে।
আর সে কারণে জমে থাকা ঘুমের ঘাটতি আর পূরণ হয় না। ফলে কিছুদিন যেতে না যেতেই প্রভাব পড়ে শরীরের উপর। রাতে কম ঘুমের কারণে কিছু দিন পর শরীরে নানা রকম ভয়াবহ সমস্যা দেখা দেয়।
সাধারণত আমাদের শরীরে ঘুম ও জেগে থাকার একটি নির্দিষ্ট নিয়ম থাকে। এটিকে মূলত ইংরেজিতে বলা হয় ‘বায়োলজিক্যাল ক্লক’ (Biological clock)। এই দেহঘড়ি অনুযায়ী প্রতিদিন নির্দিষ্ট একটা সময় রাখতে হয় ঘুম বা বিশ্রামের জন্য।
চলুন তাহলে জেনে নেই রাতে শরীর পর্যাপ্ত বিশ্রাম না পেলে কোন কোন নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করে।
কীভাবে বুঝবেন, আপনার শরীরে ঘুমের ঘাটতি দেখা দিচ্ছে?
রাতে ঘুম হওয়ার পরও সকালে কাজের জন্য যথেষ্ট পরিমাণ শক্তি পাচ্ছেন না। আগে যে কাজ অনায়াসে সম্পন্ন করতে পারতেন, সেই কাজ করতে দুনিয়ার সব ক্লান্তি ভর করছে শরীরে।
ঘুমের অভাব দেখা দিলেই শরীরে ভর করতে পারে ক্লান্তিবোধ।
কাজে মনোযোগ না আসা
ঘুমের অভাব আপনার মনোযোগের ওপরও প্রভাব ফেলে। ঘুমের অভাব দেখা গেলে কাজে মনোযোগ দেওয়া, সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হয়ে পড়ে, যা প্রভাব ফেলে আপনার কর্মক্ষেত্রে।
হঠাৎ মাথাচাড়া দিয়ে উঠছে
ঘুম কম হলে তার প্রভাব পড়তে থাকে শরীরের প্রতিটি অঙ্গে। ঘুম কম হলে উচ্চ রক্তচাপ এবং ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আর আগে থেকেই যদি এ রকম সমস্যা থাকে, তাহলে ঘুমের অভাব সমস্যাগুলোর মাত্রা আর বাড়িয়ে তোলে।
কম ঘুম রক্তচাপ বাড়াতে ভূমিকা রাখে। অন্যদিকে ঘুমের অভাবের কারণে হরমোনের মাত্রার পরিবর্তন হয়।
সারা দিন খিটখিটে মেজাজ
ঘুমের অভাব আপনার মন-মেজাজের ওপরও প্রভাব ফেলতে শুরু করে। ঘুমের অভাবে ছোট ছোট বিষয় নিয়ে রাগ করা, মেজাজ খিটখিটে থাকা, এমনকি বিষণ্ন বোধ করতে পারেন যে কেউ।
ঘন ঘন জ্বর-সর্দি
নিয়মিত রাতে ঘুমের অভাবের কারণে রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা ধ্বংস করে দিতে পারে। যে কারণে ছোটখাটো অসুস্থতা, যেমন জ্বর, সর্দি, কাশি লেগেই থাকে।
আর সেগুলো কোনভাবেই সহজে ছেড়ে যেতে চায় না।
পরিশেষে:
মনে রাখবেন, নিজের মস্তিষ্ককে সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখার জন্য প্রতিদিন রাতে শরীরে ঘুমের ঘাটতি সঠিকভাবে মেটানো একান্ত প্রয়োজন।
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ফুরফুরে মেজাজে সকালটা শুরু করলে বোঝা যায়, ঘুমের অভাব সঠিকভাবে পূরণ হয়েছে।
সূত্র:- Right News BD