২৪ এপ্রিল (সোমবার) রাত ঠিক সাড়ে ৮টার সময় উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের চাকমারকুল ২১ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আবারো আগুন ধরার ঘটনা ঘটেছে। এদিকে হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য জালাল আহমদ এ বিষয়ে জানিয়েছেন, রাত সাড়ে ৮টার কিছুক্ষণ সময় পরেই এই আগুন ধরার সূত্রপাত হয়েছে।
এছাড়াও রাত ঠিক সাড়ে ৯টার সময় এখানকার ফায়ার সার্ভিসের সকল নিরাপত্তা কর্মীরা আগুন নিয়ন্ত্রণ করেন। এমতবস্থায় বাঁশ ও প্লাস্টিক দ্বারা তৈরি রোহিঙ্গাদের শতাধিক বসবাসরত ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
সেই উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত থাকা ভারপ্রাপ্ত নির্বাহী কর্মকর্তা (এসিল্যান্ড) মো: এরফালুন হক চৌধুরী এ বিষয়ে জানিয়েছেন, চাকমারকুল রোহিঙ্গা ক্যাম্পে এনজিও’র নারী উন্নয়ন কেন্দ্রে আগুনটি লেগেছে। আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ চলছে। তবে এখন পর্যন্ত নিশ্চিতভাবে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ সঠিকভাবে বলা যাচ্ছে না।
কক্সবাজারের ফায়ার সার্ভিস স্টেশনের একজন কর্মকর্তা অতিশ চাকমা জানান, চাকমারকুল রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পে আগুন লাগার সংবাদ পাওয়া মাত্র ফায়ার সার্ভিসের নিরাপত্তাকর্মীরা টেকনাফ এবং উখিয়া স্টেশনের ইউনিট দ্রুত ছুটে যায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য। ফায়ার সার্ভিসের প্রায় এক ঘণ্টার মত চেষ্টা চালানোর পর সেই আগুন নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আনে। প্রাথমিকভাবে সেখানকার সঠিক তথ্য অনুযায়ী যানা যায় তাদের আনুমানিক শতাধিক বসবাসরত ঘর আগুনে পুড়ে যাওয়ার সংবাদ পেয়েছি।
এছাড়াও এর পূর্বে ১৮ এপ্রিল রাতের সময় লেদার রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও আগুন ধরে প্রায় ৫০টি ঘর পুড়ে গেছে। এর আগেও গত ৫ মার্চ মাসে ঠিক দুপুর বেলায় উখিয়ার বালুখালী ১১ নম্বর ক্যাম্পেও এরকম অগ্নিকাণ্ডের কারণে বসবাসরত ঘরসহ ২ হাজার ৮ শত ৫ টি নানা স্থাপনা এবং প্রায় ১৫ হাজার ৯২৫ জন রোহিঙ্গা গুরুত্বরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল।
সূত্র:- Right News BD