সম্প্রতি সময়ে ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে প্রচণ্ড চাপে রয়েছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগান। জানুয়ারির শেষের দিকে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলে বুরসায় যুব সম্মেলনে যোগ দেন এরদোগান । এই সম্মেলনে তিনি বলেন, আসছে ১৪ মে তুরস্কে সরকার ও সংসদ নির্বাচন প্রসিদ্ধ হবে। এ তথ্য ঘোষনা করা হয়েছে ওয়াশিংটন পোস্টের এক প্রতিবেদনে।
সেই প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, তার রাজনৈতিক জীবনের সবচেয়ে বড় গবেষণা হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে আগামীর এই নির্বাচনকে। তবে নির্বাচনের ৩ মাস পূর্বেই ভয়াবহ ভূমিকম্পের জন্য প্রচণ্ড চাপে পড়েছেন তিনি।
গত ৬ জানুয়ারি (সোমবার) সিরিয়া দেশের সীমান্তবর্তী তুরস্কের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে ৭.৮ মাত্রার এই ভয়াভহ ভূমিকম্প করাঘাত হেনেছে। এই দুই দেশে প্রায় ২৩ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন ভয়াবহ এই ভূমিকম্পে । শুধুমাত্র তুরস্কেই ২০ হাজার ২১৩ জন মানুষ নিহত হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়েছে অনেক মানুষ।
এই ভূমিকম্প এরদোগানের জন্য ভয়াবহ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি ২০০৩ সাল থেকে তুরস্কের ক্ষমতায় রয়েছেন। তিনি প্রথম প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। তিনি প্রধানমন্ত্রী পদে রয়েছেন ২০১৪ সালের আগস্ট মাস থেকে। যে আসন্ন নির্বাচনের জন্য এরদোগানের সহজসাধ্য হবে না। ভূমিকম্পের পূর্বেই তুরস্কে চালিত ভোটে লক্ষ্য করা গেছে।
এরদোগানকে অনেক কঠিন বিরোধিতারর মুখে পড়তে হবে এই নির্বাচনে। এরদোগানকে একের পর এক সংকট মোকাবেলা করতে হয়েছে এছাড়াও ভূমিকম্পের বিপর্যয়ের পূর্ব থেকেও । অর্থনীতিতে তার দেশে স্প্রীলিং মুদ্রাস্ফীতির ভিতরে সমাহিত করেছিল। সর্বশেষ বছর এদেশে ভোগ্যপণ্যের মূল্য বেড়ে গিয়ে দাড়ায় প্রায় ৮৫ শতাংশ।
একই সময়ে, এরদোগানকে আগুন সহ অন্যান্য পরিস্থিতিগত দুর্যোগ মোকাবেলা করতে হয়। তার সরকারের বিপরীত অবস্থানে স্বজনপ্রীতি আর দুর্নীতির গুরুতর বিক্ষোভ রয়েছে। এদিকে এরদোগান সমালোচিত হয়েছেন নগরবাসীর স্বাধীনতা খর্ব করার জন্য ।.
এদিকে তিনি নিজেও জানেন, অনেক অভিযোগ রয়েছে। সে অনুসারে কাজ করছিলেন এরদোগান। সোমবার ভয়াবহ ভূমিকম্পের কিছুক্ষণ সময় পর রাজধানী আঙ্কারায় এক পরামর্শ সভায় উপস্থিত হন এরদোগান। কিছুক্ষণ পরে তাকে কার্যকর হতে পরিদর্শন করা যায়।
৮ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) এরদোয়ান ভয়াবহ ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোতে পরিদর্শন করেন। কাহরামানমারাস এবং হাতায় এসব স্থানগুলির ভিতরে রয়েছে। তারা ভয়াবহ ভূমিকম্পের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানগুলির ভিতর একটি। তিনি কাহরামানমারাসে একজন ভূমিকম্প-অসুস্থ যেকাউকে জড়িয়ে ধরে আরামদায়ক প্রভাব দেন।
ভাষ্যকার গানুল তোল বলেন, তিনি মানুষের ভিতর অশান্তি দেখেছেন। জনগণের বিপক্ষের ক্ষমতা নির্বাচনে পড়বে বলে তিনি জানিয়েছেন। ১৯৯৯ সালের ভয়াবহ ভূমিকম্পের পর, তুরস্কের সুশীল সমাজের সংঘটিত ক্ষতি কবলিত মানুষদের সাহায্য করার জন্য ক্লান্তিহিন কঠোর চেষ্টা করেছে। মার্কিন ভিত্তিক মিডল ইস্ট ইনস্টিটিউটের তুর্কি প্রোগ্রামের পরিচালক গানুল বলেছেন।
কিন্তু এবার তা কমে গেছে। কারণ, ২০১৬ সালের অকার্যকর অভ্যুত্থানের পর এরদোগান অনেকের বিপরীত অবস্থানের জন্য যথাযথ ব্যবস্থা নিয়েছেন।
ভাস্যকার গানুল বলেছেন, ১৯৯৯ সালের ভয়াবহ ভূমিকম্পের দুই দশকেরও প্রচুর সময় চলে গেলেও তুরস্ক সন্তোসজনক হিসেবে যাচ্ছে না। এরদোগান শুধু রাষ্ট্রীয় সংগঠনকেই অক্ষম করেননি, তিনি তুরস্কের ভালো সমাজকেও অক্ষম করেছেন।
সূত্র:- Right News BD