রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলায় আমন ধান কাটার পর বোরো ধান লাগানোর পূর্বে এই সময়টায় আলুর ফসল হয়। তবে রংপুরে ফসলি জমিতে আশে পাশের কিছু ইটভাটার ক্ষতিকর ছাই ও ধুলা উড়ে আসছে।
কয়লার ধোঁয়ার পরিবর্তে আসছে কাঠের সব ধোঁয়া। সঠিকভাবে কোন প্রকার প্রতিবাদ না করার কারণে চুপচাপ করে থাকে সেখানকার কৃষকরা।
রংপুরে ফসলি জমিতে অবৈধ্য ভাটা স্থাপন করার সব প্রয়োজনীয় কাগজপত্র না থাকলেও এমতবস্থায় পরিবেশ অধিদফতরে যেতে পরামর্শ দেন সেখানকার ভাটা কর্তৃপক্ষ।
ইট ভাটায় কয়লা পোড়ার অনুমতি থাকলেও বেশি লাভের আশায় এসব ভাটায় ইট তৈরির জন্য কাঠ পোড়ানো হচ্ছে।
ম্যানেজার আব্দুস সালামের তথ্য অনুযায়ী
সেখানকার ইট ভাটার কর্মরত ম্যানেজার মোঃ আব্দুস সালাম স্থানীয় সাংবাদিক তদন্তে গেলে এই বিষয়টি বলেন। বর্তমান সেখানে থাকা সব ইট ভাটা বেশি লাভের আশায় কয়লা না পুড়িয়ে পোড়া হচ্ছে কাঠ।
তিনি আরো বলেন অন্যেরা যেহেতু কয়লা না পুড়িয়ে ইট তৈরি করছে সেহেতু আমরাও ইট তৈরিতে কয়লা ব্যবহার নাকে ব্যবহার করছি কাঠ।
বর্তমানে যমুনেশ্বরী নদীতে প্রচুর পরিমাণের বালু উত্তোলনের কাজ চলছে। দীর্ঘদিন ধরে ক্ষমতার অপ্যব্যবহার করে সেখানকার প্রশাসনের কিছু খারাপ ব্যক্তিকে হাতে নিয়ে নিয়ম না মেনে নদী থেকে মেশিন দিয়ে অবৈধভাবে বালু তোলার কাজ চলছে।
এখানকার স্থানীয় সকল মানুষরা এই বিষয়ে অভিযোগ জানান, অনেক ক্ষমতার অপ্যব্যবহার করে প্রত্যেকদিন অনেক গাড়ী বালু ঢলাই করছেন।
সেখারখানকার স্থায়ী বাসিন্দারা যমুনেশ্বরী নদী থেকে অহেতুক বালু তোলা বন্ধের জন্য বাবার সেই ইউনিয়নের চেয়ারম্যানের কাছে আবেদন জানিয়েও কোন প্রকার প্রতিকার হয়নি।
সেই উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণের উপপরিচালক আব্দুল্লাহ আল মামুন বলেন, অবৈধভাবে যে সব ফসলি জমিতে যে সব ব্যক্তিরা অন্যায়ভাবে ইটভাটা তৈরি করেছে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সেখানকার সরকারি কর্মকর্তা সৈয়দ ফরহাদ হোসেন বলেন, সকল প্রকার পরীক্ষার করে দেখে যে এই সব জমিগুলো তিন ফসলি জমি কিনা। পরে সিদ্ধান্ত দেয়া হয় ইট ভাটা স্থাপনের জন্য। এরকম অবস্থাতে অবৈধভাবে তৈরি হওয়া সেই সব ইট ভাটার বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থার সময় লেন্দি হচ্ছে।
এগুলো অবৈধ ইটভাটার বিষয়ে জেলা প্রশাসক ড. চিত্রলেখা নাজনীন বলেন, এসব ইটভাটার ব্যাপারে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়েছেন।
সূত্র:- রাইট নিউজ বিডি