মেছতা দূর করার ক্রিম এর নাম ছেলে ও মেয়েদের

ছেলে ও মেয়েদের মুখের মেছতা দূর করার ক্রিম: মেছতা একটি সাধারণ পিগমেন্টেশন ব্যাধি (pigmentation disorder) সে কারণে প্রাথমিকভাবে মুখের ত্বকে ধুসর বা বাদামি দাগ দেখা যায়। মেছতা বিশেষ করে নাকের উপর থেকে শুরু করে কপালে এবং দুই গালে বেশি হয়ে থাকে।

তবে কিছু ক্ষেত্রে এই সমস্যাটি কারো আবার ঠোঁটের উপরেও দেখা যায়।

অনেকেই আছেন তাদের মুখের মেছতার কালো দাগ নিয়ে বিরক্ত বোধ করেন। কারণ মুখের কালো দাগ অনেকটাই সৌন্দর্য নষ্ট করে দেয়। মুখের সৌন্দর্যের গুরুত্বপূর্ণ একটি দিক হল নিখুঁত মুখের ত্বক।

মেছতা শরীরের যেকোন জায়গায় দেখা দিতে পারে। যেমন- গলা বা কাঁধে।

আমেরিকান একাডেমি অফ ডার্মাটোলজি (American Academy of Dermatology) অনুসারে ১০% পুরুষের মুখে মেছতা দেখা যায়। তবে পুরুষের তুলনায় নারীদের ক্ষেত্রে মেছতা বেশি হয়ে থাকে। আবার যেসব মহিলারা গর্ভবতী তাদের মেছতা হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। নারী-পুরুষের অনুপাত ৯:১। প্রতি বছর যুক্তরাষ্ট্রে আনুমানিক ৫ মিলিয়ন মানুষ মেছতা রোগের চিকিৎসা নিয়ে থাকে।

আজকের এই পোষ্টে মেছতা দূর করার ক্রিম নাম এর সাথে থাকছে মেছতার সকল উপসর্গ নিয়ে।

মেছতা দূর করার ক্রিম এর নাম

মেছতার চিকিৎসা সময়সাপেক্ষ। তাই জরুরী ভিত্তিতে চিকিৎসা না করে ধৈর্য ধরুন। বর্তমানে মেছতার দাগ ওঠানোর আধুনিক চিকিৎসা বের হয়েছে। আপনি চাইলে ‘ওকালি কোলাজেন অ্যান্টি স্পট ফেয়ারনেস ক্রিম’ (Fruit of the Wokali Collagen Anti Spot Fairness Cream) টি ব্যবহার করতে পারেন। এটি মেছতা দূর করার প্রাকৃতিক পদ্ধতি ।

তাছাড়া ক্লিনিক্যালি প্রমাণিত, কালো দাগ এবং ত্বকের বিবর্ণতা হ্রাস করে। ত্বকের স্বচ্ছতা পুনরুদ্ধার করে এবং ত্বকের নতুন কোষগুলিকে মেরামত করতে সহযোগীতা করে। ত্বককে ময়শ্চারাইজ করে তীব্র হাইড্রেশন সরবরাহ করে। এটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক ভাবে তৈরি এবং কোন পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।

চিকিৎসকেরা মেছতার চিকিৎসার প্রথম লাইন হিসাবে হাইড্রোকুইনোন ব্যবহার করেন। হাইড্রোকুইনোন লোশন, ক্রিম বা জেল হিসাবে পাওয়া যায়। হাইড্রোকুইন পণ্যটি সরাসরি ত্বকের মেছতায় প্রয়োগ করতে পারেন। হাইড্রোকুইনোন ত্বকের মেছতার রঙ হালকা করতে কাজ করে।

কিছু ক্ষেত্রে, একজন চর্ম বিশেষজ্ঞ সংমিশ্রণ ক্রিম লিখতে পছন্দ করতে পারেন যার মধ্যে একটিতে হাইড্রোকুইনোন, কর্টিকোস্টেরয়েড এবং ট্র্রেটিনইন থাকতে পারে। এগুলিকে ট্রিপল ক্রিম (Triple Cream) বলা হয়।

ত্বকের যত্নে স্কিন কেয়ার রুটিন মেনে চললে মেছতা প্রতিরোধ করা সম্ভব। প্রতিকার হিসেবে বেশি বেশি পানি পান করতে হবে। তাছাড়া পাশাপাশি নিয়মিত ত্বক পরিষ্কার রাখতে হবে। রোদে বের হওয়ার পূর্বে অবশ্যই Sun Cream ব্যবহার করতে হবে।

মেছতার উপসর্গ:

মেছতা কেন হয়? মেছতা হওয়ার উপসর্গ নিয়ে অনেক বিশেষজ্ঞ ডাক্তাররা এখন পর্যন্ত পুরোপুরি বুঝতে সক্ষম হয়নি। এটি ত্বকে মেলানোসাইটস/মেলানিন এর ত্রুটির কারণে হতে পারে যা অত্যাধিক রঙ উৎপাদন করে।

হালকা ত্বকের মানুষের তুলনায় গাঢ় ত্বকের মানুষের শরীরে মেলানোসাইটিস বেশি থাকে বলে গাঢ় ত্বকের টোনযুক্ত মানুষের মেছতা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে।

মুখে মেছতা হওয়ার সম্ভাব্য কারণগুলো হলো:

অনেক মহিলাদের গর্ভাবস্থায় জন্ম নিয়ন্ত্রণের বড়ি খাওয়ার কারণে হরমোনের পরিবর্তন হয়।

প্রখর সূর্যের আলো।

ত্বকের যত্নের জন্য কঠিন উপাদান পণ্য ব্যবহারের ফলে স্কিনে জ্বালা করে।

বিশেষ করে বংশগত কারণেও মেছতা হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। অর্থাৎ যাদের বংশে মেছতা হওয়ার সমস্যা রয়েছে।

মেছতার লক্ষণ সমূহ:

মেছতার প্রাথমিক লক্ষণ হলো ত্বকে হালকা ধুসর রং। যদিও এটি অন্য কোন সমস্যা সৃষ্টি করে না কিন্তু বিরক্তিকর অনুভতি সৃষ্টি করে।

মেছতা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই মুখে প্রকাশ পায় যার মধ্যে গালে, নাকের উপর এবং কপালে দেখা যায়। কিছু কিছু ক্ষেত্রে হাত বা ঘাড়ে দাগ দেখা যায়।

মেছতার জন্য চিকিৎসা সবসময় প্রয়োজন হয় না। যদি গর্ভাবস্থাকালীন বা জন্মনিয়ন্ত্রণ বড়ি গ্রহণের সময় হরমোনের পরিবর্তন ঘটে মেছতা হয়, তবে প্রসবের পরে বা বড়ি খাওয়া বন্ধ করে দিলে এটি বিবর্ণ হয়ে যায় ।

অন্যান্য ক্ষেত্রে মেছতা বছরের পর বছর বা এমনকি সারাজীবন স্থায়ী হতে পারে। সময়ের সাথে সাথে মেছতা যদি ঠিক না হয় তবে চিকিৎসা নিতে পারেন।

পরিশেষে মেছতা দূর করার ক্রিম জানতে চেয়ে যেসব প্রশ্ন করেন

বর্তমানে যারা মেছতা সমস্যায় ভুগছেন তারা হয়তো মনে মনে ভাবছেন- মেয়ে কিংবা ছেলেদের মুখের মেছতা দূর করার ক্রিমের নাম কি? মেছতার কালো দাগ চিরতরে দূর করার সহজ উপায় কি? মুখের মেছতা দূর করার ঔষধের নাম কি? মেছতা প্রতিকার করার উপায় কি? মেছতা হলে করণীয় কি? মুখে মেছতা কেন হয়? মেছতা দূর করার সহজ উপায় কি? মেছতা দূর করার প্রাকৃতিক উপায় , মেছতা প্রতিকারের উপায় কি? মুখে মেছতা হলে দূর করার উপায় কী?

সূত্র:- Right News BD

en_USEnglish