একজন মানুষের বিবাহবিচ্ছেদ হলে জীবনের অনেক কিছুর বিচ্ছেদ তৈরী হতে শুরু করে। বিষয়টি অনেক বড় ব্যাপারোও হতে পারে । মাথায় রাখুন আপনার বিবাহবিচ্ছেদ হওয়ার পর নিজের পথ চলার জন্য নিজেকেই তৈরী করতে হবে। সেই পথে চলতে গেলে অনেক মানুষ বাঁধার সৃষ্টি করতে। বিবাহবিচ্ছেদের পর নিজের কষ্ট বুকে চেপে রেখে ঘুরে বেড়াতে হয়। ইতিমধ্যে এই অভ্যাসটাও তখন নিজেকেই তৈরী করতে হয়। নিজেকে ভালো রাখতে কষ্ট করা একান্ত প্রয়োজন। এখন জেনে নেয়া যাক বিবাহবিচ্ছেদ হয়েগেলে কিভাবে ভালো থাকা যায়।
বিবাহবিচ্ছেদ হলে যা করবেন
১. একাকী নীরবতা পালন করতে হবে। নিজের নিরবতাই হতে পারে একমাত্র বিবাহবিচ্ছের অপর এক নাম। ছেলেমেয়ে এবং দুই জন স্বামী-স্ত্রী সহ একটি বাড়িতে বসবাস করছেন। সেক্ষেত্রে এ রকম চলমান জীবনে বিবাহবিচ্ছেদ হলে একাকি নিরবতা আসবেই। এ রকম নীরবতাকে মেনে নিতে হবে। সেক্ষেত্রে একটি গবেষণায় জানা যায়, শরীরের শান্তি এবং সুস্থতার জন্য নীরবতা অনেক কার্যকর। এককী নীরবতাকে কোন ভাবেই ভয় পেলে চলবে না। বিভিন্ন গল্পের মধ্যে দিয়ে এবং বাচ্চাসহ যেকোন বয়সের মানুষের সাথে আনন্দ পাওয়ার বিষয়ে কথা বলতে হবে।
২. বিবাহবিচ্ছেদ হওয়ার পর একা থাকার জন্য একটি নিয়ম অনুযায়ী রুটিন তৈরী কিরে নিন। তবে অনেকে রুটিন করা পছন্দ করে না। একা থাকার জন্য ক্ষেত্রে রুটিন তৈরী করা অতিব প্রয়োজন। একাকি থাকার সব থেকে বড় বিষয় হচ্ছে নিজের স্বাধীনতা। তবে নিজের দায়িত্ব এবং স্বাধীনতাই নিজের নীরবকে অবহেলা তৈরী করে। কালকের কিছু কাজ জমে রাখা নিজের অবহেলা মাত্র। জমে রাখা কাজ আগামী কালের জন্য অনেক সমস্যায় পরিণত হতে পারে। মানসিক স্বাস্থ্যের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে। প্রত্যেক দিন কাজের জন্য একটি তালিকা তৈরী করতে পারেন। এক সপ্তাহ ধরে যে সব কঠিক কাজগুলো করার প্রয়োজন হবে তা রুটিন করে ফেলুন।
৩. প্রত্যেকদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর বিছানা ভালোভাবে গুছিয়ে ফেলুন। নিজের বিছানা নিজেই গুছানো একটি অনেক বড় গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এসব ছোট ছোট কিছু কাজ হাসিরপাত্র হলেও এগুলো আসলে ভালো নিয়মের জন্য সঠিক কাজের সাহায্য করে থাকে। যা কি না প্রত্যেক দিনেই করা একান্ত প্রয়োজন।
৪. বিবাহবিচ্ছেদ হওয়ার পর যদি আপনি একা থাকতে শুরু করেন, তাহলে আপনার জীবনে কি রকম পরিবর্তন হচ্ছে সে সব বিষয় নিয়ে অযথা সময় অপচয় করে খুব বেশি চিন্তা-
করার প্রয়োজন নেই। কারণ সময় এবং অর্থ কোন ভাবেই ব্যয় করতে যাবেন না। নিজের প্রধান বিষয়গুলো ভালোভাবে লক্ষ্য করুন। পড়াশুনার মাধ্যমে একা থাকার জন্য ভালোভাবে মনোযোগ দেয়া শুরু করুন।
৫. চেষ্টা করুন নতুন নতুন বিষয়ে জানার জন্য। সেটা হতে পারে বাহিরের কোন কাজ বা বাড়ির কাজ। এগুলো কাজে সঠিকভাবে মন দিয়ে ফেলুন। বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গেলে বলে একাকি কোন ভাবেই বসে থাকালে চলবে না।
৬. বুঝতে পেরেছি (হঁ্যা) শব্দটি নিজের মনের ভিতর বেশি বেশি জাগ্রত করতে হবে। বিবাহবিচ্ছেদ হয়েছে বলে জীবনে না শব্দটা প্রত্যেক কাজেই বাাঁধা গ্রস্ত হয়ে যায়। এরকম অবস্থায় আপনী কখনো একঘরে বসে থাকবেন না। এমতবস্থায় বাড়ির চারপাশের আত্মিয় স্বজন এবং একই ক্লাসে পড়া বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করে মেলামেশা করার চেষ্টা করুন। নিজের মনকে ভালো রাখার জন্য এসব বিষয় মাথায় রাখুন। মনে শান্তি আসে সে জন্য বাড়ির বাহিরের মানুষের সাথে মন খুলে আনন্দ সূচক কথা বলুন।
৭. আগে যেমন আমাকে অনেকে দেখতে আসত সেই কথা কোন ভাবেই নিজের মনের ভিতর চিন্তা করবেন না। নিজের মনকে আনন্দ দেয়ার জন্য তাদেরকে দাওয়াত করুন এবং তাদের সাথে সময় ব্যয় করুন। এতে করে শরীর স্বাস্থ্য, মন দুটোই ভালো থাকবে। নিজেকে ভালো রাখার চেষ্টা করুন।
৮. সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে, মনে শাস্তি পায় এমন কোন বড় বিষয় নিয়ে না ভাবাই ভালো। সময়ের সাথে সাথে নীরবতা, দায়িত্ব এবং অনুপস্থিত পরিবর্তন করতে কিছুটা হলেও সময় লাগবে। সময় পরিবর্তনের সাথে সাথে আপনার জীবনও পরিবর্তন হয়ে সহজে পরিনত হবে।
সূত্র:- রাইট নিউজ বিডি