অক্ষয় কুমার শুধু বলিউড সুপারস্টারই নন, পাশাপাশি শরীরকে ফিট থাকার আসল রহস্যের জন্য তিনি বেশ পরিচিত। অসংখ্য মানুষের মধ্যে স্বাস্থ্য বিষয়ক সচেতনতা তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন অক্ষয়।
অক্ষয় কুমার ব্যায়াম থেকে শুরু করে সুশৃঙ্খল জীবনযাপন-শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য ধরে রাখার ক্ষেত্রে অনেক কিছু শেখার আছে।
ফিটনেস বিষয়ে অক্ষয় কুমারের কাছ থেকে আমরা যে বিষয়গুলো শিখতে পারি-
বাড়ির তৈরি খাবার খাওয়া
বর্তমানে জাঙ্ক ফুড বা অতিরিক্ত তেল-চর্বিযুক্ত খাবার খাওয়া সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে। কিন্তু এসব খাবার খুবই অস্বাস্থ্যকর, সেটি আমরা সবাই ভালো করে জানি। অক্ষয় মনে করেন খাবারের মান আমাদের সুস্বাস্থ্যের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তিনি ওজন-সম্পর্কিত সমস্যাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য সমস্যায় পুষ্টিকর খাবার গ্রহণের ওপর গুরুত্ব দেন।
বাড়িতে তৈরি খাবার যে তার পছন্দ, তা বিভিন্ন সময় জানিয়েছেন অক্ষয়। এক সাক্ষাৎকারে তিনি কলার পুষ্টিকর গুণের ওপর জোর দিয়েছিলেন।
তিনি বিশ্বাস করেন, কলা অন্যতম নিরাপদ একটি ফল। তাই ক্ষুধা লাগলে অস্বাস্থ্যকর খাবারের পরিবর্তে কলা খেয়ে ফেলেন তিনি।
মানসিক সহনশীলতা গড়ে তোলা
মানসিক সহনশীলতা গড়ে তোলা শারীরিক সুস্থতার মতোই গুরুত্বপূর্ণ। নিজের অভিনীত চলচ্চিত্র ভালো না করলে বা ক্যারিয়ারে ব্যর্থতাসহ নানা চ্যালেঞ্জের মুখেও তিনি কখনো হতাশ হন না।
একসময় মার্শাল আর্ট শিল্পী ছিলেন অক্ষয় কুমার। এছাড়াও তিনি হতাশাগ্রস্ত না হওয়ার শিক্ষা সেখান থেকেও পেয়েছেন।
মার্শাল আর্টিস্ট হওয়ার অন্যতম সুফল এটাই। যত বাধাই আসুক না কেন, এটি আপনাকে সামনের দিকে এগিয়ে যেতে অনুপ্রেরণা যোগাবে।
তাই শৃঙ্খলার চর্চা করুন, বাস্তবসম্মত লক্ষ্য নির্ধারণ করুন এবং আপনার সু-স্বাস্থ্যের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকুন। আপনার মনই অনেক সময় আপনার সাফল্যের নির্ধারক হতে পারে।
সময়মতো ঘুমানো আর সকালে ঘুম থেকে উঠা
সুস্বাস্থ্যের জন্য দৈনিক অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা ঘুমানো প্রয়োজন। ঘুমানোর সময়সূচি নিয়ে অক্ষয় কুমার এক সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন-
তিনি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার মধ্যে রাতের খাবার সেরে ফেলেন, রাত ৯ থেকে ১০টার মধ্যে ঘুমাতে যান এবং ভোর ৪-৫টার মধ্যে ঘুম থেকে উঠে যান।
শারীরিক ধকল যায়, এমন কাজ করার পর শরীরের পেশীগুলো আগের অবস্থায় ফিরে যেতে কিছুটা সময় নেয়। এই পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়া ঘটে যখন আমরা বিশ্রামে থাকি অথবা ঘুমে থাকি।
এজন্যই অক্ষয় কুমার নিয়মিত সঠিক সময়ে ঘুমান এবং আমাদেরও সেটাই করা উচিত।
সময়ের সদ্ব্যবহার ও নিজের যত্ন
সময় খুবই অমূল্য সম্পদ এবং হারানো সময় আর কখনো ফিরে পাওয়া যায় না। তাই, ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে সাফল্যের জন্য সময়ের সদ্ব্যবহার করাটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অক্ষয়ও সময়ের যথার্থ ব্যবহারের পরামর্শ দেন।
আমাদের পেশাগত জীবনের প্রভাব যেমন ব্যক্তিগত জীবনে পড়া উচিত নয়, তেমনি ব্যক্তিগত জীবনও পেশাগত জীবন থেকে আলাদা থাকা উচিত। এভাবেই ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনের মধ্যে সমন্বয় রাখতে হবে।
প্রযুক্তি থেকে কিছুটা সময় বিচ্ছিন্ন হয়ে নিজেদের সঙ্গে পুনঃসংযোগ স্থাপনের ওপরও জোর দিয়েছেন অক্ষয়।
নিজের যত্ন নেওয়াকে গুরুত্ব দিন। এটি আপনাকে উৎফুল্ল থাকতে ও কাজে মনোযোগী হতে সাহায্য করবে। মানসিকভাবে ফিট থাকলে ফিট থাকবেন শারীরিকভাবেও।
স্মরণ রাখুন, বয়স শুধু একটি সংখ্যা
৫৬ বছর বয়সেও তিনি নিজে স্টান্ট করছেন এবং এমন ফিটনেস বজায় রেখেছেন যা অনেক তরুণ অভিনেতাকেও হার মানিয়ে দেবে। তিনি প্রমাণ করেছেন, বয়স কেবল একটি সংখ্যা।
সঠিক জীবনযাপনের মাধ্যমে একজন মানুষ এই বয়সেও সক্রিয় ও ফিট থাকতে পারেন।
এই বয়সেও অক্ষয় কুমার যেভাবে নিজেকে ফিট রেখেছেন, ফিটনেস সম্পর্কে সামাজিক ধারণা ভেঙে ফেলতে উৎসাহিত করে। আপনার বয়স যা-ই হোক না কেন, এখন থেকেই নিজের স্বাস্থ্যের প্রতি যত্ন নেওয়া শুরু করুন।
চাইলেই আমরা ফিট থাকার আসল রহস্য যেকোনো বয়সেই অক্ষয়ের কাছ থেকে শিখতে পারি ।
সূত্র:- Right News BD