অকারণে রেগে যাওয়া নিজের জন্য ক্ষতিকর সময় হতে পারে। অনেকে আছেন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর অকারণে মেজাজ খারাপ হয়! সকালের নাস্তা কিংবা দুপুরে খাওয়ার সময় যে কোন ছোট বিষয় নিয়ে আপনার পরিবারের সদস্যের সাথে তর্ক করা।
একটু চাপের কাজ করলেই অল্পতেই মেজাজ গরম হয়ে যাচ্ছে। সেক্ষেত্রে কারণে অকারণে যদি মনের অবস্থা এরকম হয়, তাহলে হঠাৎ রেগে যাওয়াটা সত্যিই চিন্তার বিষয়।
অনেক বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, এরকম সমস্যার জন্য অনেকেই এ ধরনের আচরণকে সঠিক ভাবে গুরুত্ব দেন না।
অকারণে রেগে গিয়ে অনেকে মনে করেন এটা ঠিক হবে। কিন্তু এটা মূলত কি? তবে এমন আচরণ অনেক দিন যাবৎ চলতে থাকলে বড় ধরনের রোগ হওয়ার ঝুঁকি থাকে। কেননা একটু সর্তক হলে এরকম অবস্থা থেকে নিজেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য কার্যকর হতে পারে। সে জন্য কিছু চর্চা করা প্রয়োজন। তাহলে জেনে নেওয়া যাক সেই চর্চাগুলো-
সব সময় রাগ করলে মনের অবস্থা খারাপ হতে দেখা দিতে পারে। বিষয়টি নিয়ে একেবারেই অমনোযোগ হবে না। আমাদের নিশ্চিতভাবে অমনোযোগ থেকে কাটিয়ে ওঠার পদ্ধতি খুঁজে বাহির করার চেষ্টা করতে হবে। আপনি হঠাৎ রেগে যাওয়ার পূর্বে পরিবেশ পরিস্থিতি সম্পর্কে একটু গভীর চিন্তা করুন। গরম মাথা ঠান্ডা রাখার জন্য পরিক্ষা করুন।
রাতে যত তাড়াতাড়ী সম্ভব ঘুমানোর চেষ্টা করুন। অযথা শুয়ে বাজে চিন্তা কিংবা মোবাইল চালাবেন না। ঘুমানোর পূর্বে চোখ বন্ধ করে ধ্যান করার অভ্যাস করুন।
কোনো কারণে মাথা গরম হয়ে গেলে যতটা সম্ভব ভুলে যাওয়ার চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন, আপনার সবকিছু নেই। তুমি চাইলেই সব করতে পারবে না। এটি আপনার রাগ বা মেজাজ নিয়ন্ত্রণে আনবে।
আপনি যদি কোনো সময় পরিবেশ পরিস্থির সাথে নিজেকে খাপ খাইয়ে নিতে না পারেন, তাহলে সেই পরিবেশ থেকে আলাদা স্থানে থাকুন। কিংবা দূরে যাওয়ার চেষ্টা করুন এবং নিজেকে কিছুটা হলেও সময় দিন। এতে মনে শান্তি চলে আসবে। মেজাজও অনেক ভালো থাকবে।
আপনার যদি ডায়েরি লেখার অভ্যাস না থাকে সেক্ষেত্রে ডায়েরি লেখার অভ্যাস তৈরি করুন। সারাদিনটা কেমন গেল সব কিছু ডায়েরিতে লিখে রাখুন। এতে রাগ অনেকটা কমে যাবে। এছাড়াও সবসময় ভালো কিছু নিয়ে চিন্তা করুন।
সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর খোলা আকাশের নীচে কিছুক্ষণ সময় হাঁটুন। প্রকৃতির আলো-বাতাসে সারা দিন কাটবে প্রফুল্ল মেজাজে।
সূত্র:- Right News BD