সৃষ্টিকর্তার প্রাকৃতিক নিয়ম অনুসারে গ্রীস্মের পর শীত শুরু হয়। আর এই শীতে মধু খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে সারা জাগে মধু প্রেমীদের।
মধু, এমন একটি খাবার যা ইতিহাসের শুরু থেকে অপরিবর্তিত রয়েছে। এটি দুধ, দই এর মত খাবারগুলোকে মিষ্টি করতে ব্যবহৃত হয়, তবে এটি শরীরকেও মিষ্টি করে তোলে। মধু শীতকালে খাওয়ার জন্য অন্যতম স্বাস্থ্যকর খাদ্য।
মধু কেবল বিভিন্ন রেসিপিতে ব্যবহার করা যায় না, এর পুষ্টি সমৃদ্ধ উৎস আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারিতা প্রদান করে।
মধুতে রয়েছে ভিটামিন বি১, বি২, বি৩, বি৫, বি৬, আয়োডিন, জিংক ও কপার সহ অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান।
শীতকালের মাঝামাঝি সময়েও তাপমাত্রার উঠানামা করে। আমাদের শরীর এই পরিবর্তনগুলি অনুভব করে এবং ঠান্ডা বা ফ্লু, ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, অনিদ্রা, হাঁপানি, ফুসফুসের সমস্যা, অরুচি, বমিভাব ও বুক জ্বালা হওয়ার প্রকোপ বেড়ে যায়।
এমন পরিস্থিতিতে মধু তাপমাত্রার পতনের মোকাবেলায় অন্যতম সেরা সহায়ক হিসেবে বিবেচিত হয়।
শীতে মধু খাওয়ার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ
মধুর প্রাকৃতিক শক্তির উৎস
মধুর পুষ্টিগুণ: দৈনিক শারীরিক ব্যায়াম করা মানুষের জন্য এক বিশাল প্রাকৃতিক শক্তির উৎসে পরিণত করে।
শরীরের জন্য ১০০ গ্রাম মধু প্রায় ৩০০ ক্যালোরি সরবরাহ করে।
প্রতিদিন এক চামুচ মধু গ্রহণ উপকারী হতে পারে এবং এটি চিনির আদর্শ বিকল্প হিসেবে কাজ করে।
শীতকালে শ্বাসযন্ত্রের রোগের বিরুদ্ধে কার্যকর
মধুতে রয়েছে বালসামিক, অ্যান্টিসেপটিক এবং প্রদাহবিরোধী গুণ, যা ঠান্ডা, গলা ব্যথা, ল্যারিংজাইটিস এবং সাধারণ সর্দি ইত্যাদির জন্য আদর্শ।
শীতকালে প্রতিদিন এক চামচ মধু গ্রহণ গলা শক্তিশালী করতে এবং শরীরকে বাহ্যিক সংক্রমণ ও ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সহায়ক।
রাতে ঘুমানোর আগে
শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তির ক্ষেত্রে রাতে মধু খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। গ্লুকোজ ফলের চিনি (ফ্রুকটোজ) থেকে আগে শোষিত হয়, যা পেশিগুলিকে প্রাণবন্ত করতে সাহায্য করে এবং ক্র্যাম্প, পেশি সংকোচন ও শক্ত হয়ে যাওয়া প্রতিরোধ করে।
মধু রক্তে শর্করার মাত্রা স্থিতিশীল করতেও সহায়ক।
শীতের রাতে ঘুমানোর আগে এক চামচ মধু গ্রহণ আপনাকে আরও গভীর ও প্রশান্তির ঘুম দিতে সাহায্য করতে পারে।
শীতকালে ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে
মধু সেবন শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে।
খালি পেটে মধু খেলে কি হয়? গবেষণায় দেখা গেছে, মধু খালি পেটে খেলে শরীরকে বহিরাগত সমস্যা থেকে রক্ষা করে।
নিয়মিত গলা ব্যথা, কাশি এবং গলা শুষ্কতার মতো সমস্যাগুলো মুক্তি পেতে হলে মধু খাওয়া শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারি। এগুলো ছাড়াও মধুর উপকারিতা এর চেয়েও অনেক বেশি।
শীতকালে মধু সেবনের উপকারিতাগুলোর পাশাপাশি মধু তার চিকিৎসা, অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণাবলির জন্যও পরিচিত।
এটি শরীরের ক্ষত ও পোড়া সারাতে সাহায্য করে, এমনকি যাদের ব্রণের সমস্যা রয়েছে তাদের মূলত এটি ব্যবহার করার জন্য সুপারিশ করা হয়।
শীতে মধু খাওয়ার উপকারিতা নিয়ে শেষ কথা
মধু সেবন ১৮ মাসের কম বয়সী শিশুদের জন্য সুপারিশ করা হয় না, কারণ শীতে মধুর উপকারিতা পাওয়া যায় তা শিশুদের পাকস্থলীর অ্যাসিড ধ্বংস করতে সক্ষম নয়।
সূত্র: Right News BD
One thought on “শীতে মধু খাওয়ার উপকারিতা জানা আছে কি?”
Comments are closed.