কালো ত্বক ফর্সা করার উপায়

অনেকে আছেন যাদের গায়ের রং কালো বলে তারা ত্বক ফর্সা করার সঠিক উপায় খোঁজেন। তবে প্রত্যেক মানুষের গায়ের রঙ একেক রকম। কারো গায়ের রং কালো আবার কারো গায়ের রং শ্যমলা, আবার এমন কেউ আছে যাদের গায়ের রং উজ্জ্বল ফর্সা।

সৃষ্টিকর্তার সেরা জীব হিসেবেই মানুষ জন্ম থেকেই একেক জনের গায়ের রঙ একেক রকম থাকে। যা ধীরে ধীরে বড় হওয়ার সাথে সাথে ফুটে উঠতে থাকে। 

তবে আজকের পোস্টে জানার চেষ্টা করবো কিভাবে নিজের শরীরের যত্ন নিলে অল্প সময়ের মধ্যে কালো বা শ্যামলা রঙের ত্বক থেকে অধিক ফর্সা হওয়া যায়। এছাড়া ঘরোয়া উপায়ে ফর্সা হওয়ার উপায় জানবো কোনো প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই। 

ঘরোয়া পদ্ধতিতে কালো ত্বক ফর্সা হওয়ার উপায়

শরীরের রঙ বা ত্বকের রঙ অধিক উজ্জ্বল হোক এটা যেমন সবার কাম্য ঠিক তেমন শরীর সুস্থ রাখতে চাওয়াও সবারই কাম্য। তাই ঘরোয়া পদ্ধতিতে বৈজ্ঞানিক উপায়ে জেনে নেওয়া যাক ফর্সা হওয়ার উপায়। যাতে শরীরের উপর পরবে না কোনো ইফেক্ট এবং ফর্সা হবে ত্বক। 

অনেকে আবার ফর্সা হয়ে জন্মেও দিনের দিন কালো হতে থাকে। এর জন্য সে নিজেই দায়ী। এধরনের সমস্যায়ও এই  বৈজ্ঞানিক উপায় একমাত্র সমাধান যেখানে সাপও মরবে লাঠিও ভাংবেনা। অর্থাৎ, ত্বকের ফর্সা হওয়াও হবে ত্বকে কোনো পার্শ্বপতিক্রিয়াও হবে না। 

ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধির জন্য মন ও শারীরিক সুস্থ্যতা থাকা চাই

মানুষ তার নিজের ত্বক ভালো রাখতে সবচেয়ে বেশি খুজে কালো থেকে ফর্সা হওয়ার উপায় তো বটেই। তাছাড়া প্রাকৃতিকভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় নিয়ে এমনকি অ্যালোভেরা দিয়ে ত্বক ফর্সা হওয়ার উপায় আছে কি না তাও জানতে চান। আজকের পোষ্টে সবকিছুই থাকবে। 

চলুন জেনে নেওয়া যাক, ত্বক ফর্সা হওয়ার উপায় সম্পর্কে।

এখন আমরা আলোচনা করবো কি কি উপায় ত্বক ফর্সা করা যায় এবং কিভাবে আপনারা ত্বকের যত্ন নিতে পারেন সেই সম্পর্কে।

প্রাকৃতিকভাবে লেবু দিয়ে কালো ত্বক ফর্সা করা যায়

লেবুর রস ব্যবহার করেও কালো থেকে ফর্সা হওয়া যায়। সে জন্য আপনাকে প্রথমে একটি লেবুর রস ভালোভাবে চিবিয়ে বের করে নিতে হবে। এর থেকে দুই চা চামচ লেবুর রসের সাথে এক চা চামচ পানি মেশাতে হবে। অর্থাৎ যতটুকু লেবুর রস নিবেন তার অর্ধেক পানির প্রয়োজন পড়বে। 

এরপর এই লেবু এবং পানির মিশ্রনটি শরীরের যে সব জায়গায় কালো সেখানে লাগিয়ে দিন। এখানে লেবুর রসের সাথে সমান পরিমাণ মধু মিশিয়ে নিলে খুব অল্প সময়ে ফলাফল পাওয়া সম্ভব। 

এই মিশ্রণটি শরীরে লাগানোর মিনিট দশেক পরে ধুয়ে ফেলুন। তবে এই মিশ্রণটি আপনার শরীরের জন্য উপকারী কি না তা বুঝতে প্রথমে জায়গা ভেদে একটু একটু করে লাগিয়ে কিছুক্ষন দেখে নিন।

আমরা জানি সবকিছু সবার শরীরে ঠিকভাবে মানান সই হয় না। কোনও পার্শ্বপতিক্রিয়া দেখা না দিলেই এটি আপনার ব্যবহারের জন্য ঠিকঠাক।

লেবুতে ভিটামিন সি থাকে। এটি নিয়মিত ব্যবহারের ফলে ফর্সা হওয়ার পাশাপাশি ত্বকের শুষ্কতা দূর হয়। আর ঠিক একারনেই ত্বকের উজ্জ্বলতা কয়েকগুন বেশি পাওয়ার সম্ভবনা থাকে। তবে রোদের অতিরিক্ত তাপের ফলে মুখের দাগ দূর হয়ে যায় খুব অল্প সময়ের মধ্যে। 

ত্বকের ভেতর থেকে স্থায়ীভাবে ফর্সা হওয়ার উপায় হিসেবে হলুদ ব্যবহার

এক চা চামচ কাচা হলুদ বাটা সাথে ২ চামচ লেবুর রস। ২ চামচ লেবুর রস এবং কাঁচা হলুদ বাটা ভাল করে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার শরীরের যেসব জায়গায় কালো দাগ রয়েছে সেখানে লাগিয়ে দিন। এভাবে মিশ্রণটি ১৫ থেকে ২০ মিনিট রেখে দিন। সময় অতিক্রম হওয়ার পর হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। 

এভাবে সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করলে দ্রুতই ফল পাওয়া যায়। ১ মাসের মধ্যেই ফল পেতে শুরু করবেন এই পদ্ধতিতে।  

হলুদে থাকা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল এবং আন্টি ইনফ্লামেটরি উপাদান ত্বককে সব ধরনের জীবাণু থেকে দূরে রাখে। একইসাথে ত্বককে দ্রুত ফর্সা করতে কাজ করে। হলুদের এই উপায়ে ব্যবহারের ফলে ত্বকের ভেতর থেকে পরিস্কার হয়ে থাকে। এমনকি এটি ব্যবহারে আমাদের শরীরে বয়সের ছাপ পরতে দেয় না। যার ফলে শরিএর ত্বক থাকে টানটান।

এর থেকেও বেশি ফল পাওয়া সম্ভব যদি, এর সাথে যদি প্রতিনিয়ত খালি পেটে এক টুকরো কাঁচা হলুদ খেতে পারেন। অবিশ্বাস্য হলেও সত্য ত্বকের কালো রঙের জন্য দায়ী টক্সিন বের করে দিতে এটি মারাত্মকভাবে কাজ করে।

এখন জেনে নেই ত্বক ফর্সা করতে দুধের কার্যকারিতা সম্পর্কে

১ চা চামচ দুধ এবং ১ চা চামচ মধু ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে। মিশ্রণটি মুখের ত্বকের কালো অংশে লাগিয়ে দিন। এভাবে ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করবেন। এবার শুকানোর পরে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। ত্বকে এর ব্যবহার প্রতিদিন করতে হবে। তাহলে ত্বকের উজ্জ্বলতা খুব তাড়াতাড়ি বৃদ্ধি পাবে। 

ত্বকের যত্নে দুধের ব্যবহার

দুধের প্রাকৃতিক উপাদানগুলো ত্বকের ভেতর থেকে ত্বকের রঙ কে হালকা করে দেয়। একইসাথে দুধ ত্বককে আদ্র এবং মসৃণ করে রাখতে সাহায্য করে। যার ফলে ত্বক আরও অনেক গুন বেশি উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। 

প্রাকৃতিক উপায়ে ফর্সা হওয়ার উপায় হিসেবে টমেটোর ব্যবহার 

দুটি টমেটোর রস এবং দুই চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে নিন। এবার মিশ্রণটিকে মুখ মণ্ডলে সহ শরীরের ত্বকে লাগিয়ে অপেক্ষা করুন। বিশ থেকে বাইশ মিনিট অপেক্ষা করুন শুকানোর জন্য। এবার শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।   এটি গোসলের আগে ব্যবহার করা উত্তম।

টক দই দিয়ে ফর্সা হওয়ার উপায়

টক দই ত্বকের ক্ষুদ্র লোমকূপে জমে থাকা ময়লা দূর করে। নিয়মিত নিয়ম করে ত্বকে ত্বকে টক দই ব্যবহার করলে শতভাগ ফর্সা হবে আপনার ত্বক। 

ফর্সা হওয়ার জন্য আরও অনেক ঘরোয়া উপায় থাকলেও এগুলি সবথেকে বেশি পরীক্ষিত এবং বৈজ্ঞানিকভাবে গ্রহণযোগ্য। এবার, আপনার ত্বক ফর্সা করার আগে একটু গভীরভাবে ভাবুন কোন উপায়টি বেছে নেওয়া প্রয়োজন।

নিজের ত্বক ফর্সা করতে চাওয়া মানুষের পরিমাণ অগণিত। যাদের টার্গেট করে ব্যবসায়ীরা কঠিন উপাদান সমৃদ্ধ প্রসাধনী বাজারে নিয়ে এসেছে এতে ৯৯% ত্বকের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এর থেকে নিজেদের রক্ষা করতে ঘরোয়া পদ্ধতিতে বৈজ্ঞানিক পরামর্শ মতো ত্বক ফর্সা করার উপায়ের বিকল্প নেই। 

ত্বকে কোনও কারণে দাগ থাকলে তা দূর করার জন্য আশে পাশের কিছু মানুষ নানা ধরণের চিকিৎসা পরামর্শ দিয়ে থাকেন। তবে আপনি সঠিক পরামর্শ নিতে একজন চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে পারেন। 

নানা কারণে দেশের অনেক ত্বক ফর্সা করার প্রসাধনীতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সরকার। সঠিক প্রসাধনী ব্যবহার করুন। সব সময় পরিষ্কার পরিছন্ন থাকুন। রোদের তীব্র তাপ থেকে দুরে থাকার চেষ্টা করুন।

পরিশেষে

সর্বোপরি বলতে চাই, আপনার গায়ের রং কালো হলে কোন রকম মন খারাপ করে বসে থাকলে চলবে না। মনে রাখতে হবে এটি সৃষ্টিকর্তা প্রদত্ত। আর সাথে এটিও মনে রাখতে হবে যে মানুষের বড় সৌন্দর্য তার মন। মনকে ফর্সা রাখার চেষ্টা করুন। আপনিই সবচেয়ে সুন্দর মানুষ হতে পারবেন। 

সূত্র:- Right News BD

One thought on “কালো ত্বক ফর্সা করার উপায়

Comments are closed.

en_USEnglish