সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া উপায়

এ বছর সর্দি-কাশি হয়নি এরকম মানুষ আসলে খুব কম দেখা যাচ্ছে। এবং একেকজনের ভোগার সময় একেক রকম। আজকে আমরা জানবো দীর্ঘদিনের বিরক্তিকর সর্দি-কাশি হলে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া উপায় উপায়সমূহ। এই সময়ে আপনার আশেপাশে তাকালেই দেখবেন নিজের বাসায় দেখবেন রাস্তায় দেখবেন মানুষ সর্দি-কাশি দিয়ে যাচ্ছে।

অনেকে ১ মাস ধরে ভুগছেন আবার অনেক হয়তো এক সপ্তাহ ধরে কেউবা অল্প কিছুদিন ধরে ভুগছেন। এ রকম পরিস্থিতে আমাদের করণীয় কি? এটি একটি ইনফ্লুয়েঞ্জা ভাইরাসের নতুন স্ট্রেইন থেকে হতে পারে। যার জন্য আসলে সবাইকে এত ভোগাচ্ছে। 

অনেক সময় সর্দি-কাশি দিতে দিতে অস্থির হয়ে বমি পর্যন্ত করে ফেলছে। একবার কাশি শুরু হলে থামতেই চায় না,  এ রকম পরিস্থিতি থেকে পরিত্রাণের উপায় কী? বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই ভাইরাস দিয়ে কাশিটা শুরু হলেও আস্তে আস্তে দেখা যায় এটার মধ্যে সেকেন্ডারি ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের সৃষ্টি হয়। তার মানে এটা হচ্ছে অনেকটা মরার উপর খাঁড়া ঘায়ের মতো। এই ভাইরাসের ইনফেকশন এমনিতেই ভালো হয়ে যেতে পারে। সে জন্য আসলে তেমন কোন প্রকার ওষুধ সেবনের প্রয়োজন হয় না।

সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া উপায়

কিন্তু যদি ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন হয় সে ক্ষেত্রে এন্টিবায়োটিক এর প্রয়োজন হয়। তবে আমরা অনেকে না বুঝে এন্টিবায়োটিক খাচ্ছি আবার যখন প্রয়োজন হচ্ছে তখন খাচ্ছি না। যদিও খেয়েও থাকি যেই ঔষধ খাওয়ার কথা সেটি খাচ্ছি না। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন কারণে স্ত্রীর সহ অন্যান্য আত্মীয়-স্বজনের থেকে পরামর্শ নিয়ে ঔষধ খেয়ে ফেলেছি। এমতবস্থায় যখন ডাক্তারের কাছে যাচ্ছি তখন সেই সময়ের মধ্যে ডাক্তারের কিছু করার থাকে না যে কোনটা দিবেন বা কোনটা রাখবেন।

তাহলে আমাদের করণীয় কি? প্রথম কথা আমাদের কাশিটা কেন হচ্ছে, বেশিরভাগ সময়ের সাথে আরো কিছু অ্যাসোসিয়েটেড ফ্যাক্টর থাকে যেমন, রাস্তায় বের হলেও সেই রাস্তার ধুলাবালির কারণেও।

সে সময় দেখা যাচ্ছে যে কাশিটা হচ্ছে আসলে দেখা যাবে পরীক্ষা করে। আমরা প্রথমত যেটা করতে পারি সেটা হচ্ছে এই জায়গাগুলোর থেকে দূরে থাকা। সেক্ষেত্রে এখন ঘরবাড়ি বাসা অফিস থেকে দূরে সম্ভব নয়। তাহলে যেসব জায়গায় এলার্জির লুকায়িত স্থান আছে এসব জায়গাগুলোকে পরিষ্কার করে ফেলা।

সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া উপায়

বিশেষ করে যাদের ঘরে কার্পেট বা অফিস রুমে কার্পেট আছে সেই কার্পেট প্রতিনিয়ত পরিস্কার করা। এর থেকে সবচেয়ে ভালো হয় সেই সময়ের মধ্যে কার্পেট ব্যবহার না করা। তাছাড়াও রুমে এসি থাকলে এসি ব্যবহারের পূর্বে যে ফিল্টারগুলো থাকে সেগুলো নিয়মিত পরিষ্কার করা। এছাড়াও বালিশ,তোশক প্রতিনিয়ত ভালোভাবে পরিষ্কার করা এবং রোদে শুকোতে দেয়া। এসব ব্যবহারগুলো হচ্ছে প্রাইমারি প্রিপারেশন।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে ঔষধ তাহলে কি খাব? ওষুধ খাওয়ার প্রয়োজন হলে আমরা বিভিন্ন ঔষধ খাওয়ার পূর্বেই কিছু ঘরোয়া চিকিৎসার ব্যবস্থা নিতে পারি। সেই ঘরোয়া চিকিৎসা প্রথমত মধু খুব ভালো আপনার শুটিং ইফেক্ট দিবে গলায় এবং কাশিও কমিয়ে দিবে। এ অবস্থায় মধু খাওয়ার ফলে লক্ষ্য করা যাবে কাশিটা অনেকটা ভালো হয়ে যাচ্ছে।

এছাড়াও যদি অনেক ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে এই কাশি যাচ্ছে না বা রাতে ঘুমাতে গেলে অস্বস্তি কাশির সমস্যার জন্য ঘুম হচ্ছে না বা শুয়ে থাকা যাচ্ছে না। সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ডাক্তারের সঠিক পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। কারণ হচ্ছে অনেক সময় দেখা যায় যে আমাদের ফুসফুসের ভিতরে যে কোষ ঝিল্লিগুলো রয়েছে সেগুলোর সংকোচনের জন্য এ রকম কাশিগুলো হয় ।

সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া উপায়

এমতবস্থায় ডাক্তার হয়তো এরকম কাশির জন্য কোষ ঝিল্লির জন্য ঔষধ দিতে পারে। এমনকি আপনাকে অনেক সময় ইনহেলার পর্যন্ত ব্যবহার করতে হতে পারে সেই কাশি থেকে মুক্তি পেতে হলে।

এছাড়া যদি দেখতে পান কাশির সাথে কফ বাহির হচ্ছে এবং কফের রং বদলে যাচ্ছে। বিশেষ করে হলুদ সবুজ এরকম বিভিন্ন ধরণের রং হয়ে যাচ্ছে এমতবস্থায় ধরে নিবেন আপনার এই ব্যকটেরিয়াল ইনফেকশন হয়ে গেছে। এ রকম পরিস্থিতিতে আপনাকে এন্টিবায়োটিক ছাড়া কোন উপায় নেই। এছাড়াও এন্টিবায়োটিক আসলে আমাদের কালচার সেনসিটিভিটি করে খাওয়া ভালো। তবে কালচার সেনসিটিভিটি থেকে প্রায় ৩ থেকে ৫ দিন সময় লাগে তিন থেকে পাঁচ দিন আমরা ওয়েট না করে আমরা এই পরীক্ষা দিয়ে কিন্তু ডাক্তার আপনাকে এ্যাজেমশন অনুযায়ী সাধারণত সেনসিটিভ হচ্ছে সেটার ঔষধ দিয়ে দিতে পারেন।

তবে আজকাল অনেকেই না জেনে বুঝে বিভিন্ন গ্রুপের বিভিন্ন রকম ওষুধ খেয়ে ফেলছেন। সুতরাং আমাদের উচিত ডাক্তারের কাছে গিয়ে সঠিক পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করা। তাহলে দেখা যাবে এসব ছোট ছোট ভাইরাস জনিত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।

সূত্র:- Right News BD

en_USEnglish