শ্যামলা ত্বক ফর্সা করার দুর্দান্ত উপায়

শ্যামলা ত্বক ফর্সা করবেন যেভাবে: বর্তমান সময়ের মানুষ একটু সুন্দর মানুষকে বেশি ভালবাসেন। তাছাড়া সবাই উজ্জ্বল ফর্সা ত্বকের প্রতি দুর্বলতা রয়েছে। অনেকে আছেন কাজের ব্যস্ততার জন্য ত্বকের যত্ন নেওয়ার সুযোগ পান না।

তাছাড়া জন্ম থেকে ফর্সা ত্বক পেয়েও ধুলো ময়লা আর রোদের তীব্র তাপের কারণে ত্বকের উজ্জ্বলতা হারিয়ে বসেন অনেকেই।

এরকম পরিস্থিতির কারণে অনেকে নিজের শ্যামলা ত্বক রাতারাতি ফর্সা করার জন্য বেছে নেন বিভিন্ন কেমিক্যালযুক্ত ক্রিম। কিন্তু এই ক্রিম কেমিক্যালযুক্ত হওয়ার কারণে শ্যামলা ত্বক ফর্সা করার জন্য উপকারী নাও হতে পারে।

শ্যামলা ত্বক ফর্সা করার উপায়

আজকের এই পোষ্টে আপনাদের সামনে এমন কিছু প্রাকৃতিক উপায় তুলে ধরেছি যা আপনার শ্যামলা ত্বক ফর্সা করার একমাত্র উপায় হতে পারে।

শ্যামলা ত্বক ফর্সা করতে দুধ ও কলা

অল্প সময়ে ত্বক উজ্জ্বল করতে কলার কোনও বিকল্প হয় না বললেই চলে। দুধ ও কলার প্যাকটির জন্য অর্ধেক পাঁকা কলা ও ২ চা চামচ কাঁচা দুধ লাগবে। কলা খুব ভালো করে ম্যাশ করে নিতে হবে। এর সাথে অল্প অল্প করে কাঁচা দুধ মিশিয়ে একটি থকথকে মিশ্রণ বানাতে হবে। 

তবে খেয়াল রাখবেন পেস্টটা যেন একেবারে মিহি হয়ে যায়। দুধ ও কলা প্যাকটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধির সাথে সাথে ত্বককে ময়শ্চারাইজও করবে। এজন্য এটি ধোয়ার পর আলাদা করে ময়শ্চারাইজার লাগানোর কোন দরকার নেই।

লেবু আর মধু দিয়ে শ্যামলা ত্বক ফর্সা করার উপায়

এই ২টি প্রাকৃতিক উপাদান শ্যামলা ত্বককে উজ্জীবিত রাখে। বিশেষ করে লেবুর রস মুখের ত্বক পরিষ্কার করে। তাছাড়া মধু নিয়মিত ব্যবহারের ফলে মুখের ফর্সাভাব ধরে রাখে।

এটি করার জন্য প্রথমে আপনাকে ২ চামচ মধু ও ২ চামচ লেবুর রস নিতে হবে। এই ২টি উপকরণ ভালোভাবে মিশিয়ে মুখে ২০ থেকে ৩০ মিনিট লাগিয়ে রাখুন। সপ্তাহে অন্তত ৩ দিন এটি ব্যাবহার করলে সহজেই পেয়ে যাবেন শ্যামলা ত্বক থেকে উজ্জ্বল ফর্সা ও লাবন্যময় একটি প্রাকৃতিক ত্বক।

দুধ, মধু ও লেবুর রস

দুধ আর মধুর সাথে লেবুর রস মিশালে একটি প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে কাজ করে। কোন ধরণের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই ত্বকের রঙ হালকা করে। ২ চামচ দুধ, ২ চামচ লেবুর রস, এক চামচ মধু ভালো ভাবে মিক্স করে প্যাক তৈরি করে ব্যবহার করতে পারেন। তারপর এই প্যাক মুখে মাখুন। শুকোতে দিন আর গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।

এটি ব্যবহারের ফলে আপনার ত্বকের উজ্জ্বলতা দেখে নিজেই নিজেই অবাক হবেন। সেই সাথে এটি আপনার ত্বককে মসৃণ করে তোলে।

টমেটো ও লেবু

এই ২টি উপাদানে লাইকোপেন নামক একটি উপাদান রয়েছে। ২টি টমেটো আর ২ চা চামচ লেবুর রস নিন। টমেটো ব্লেন্ড করে রসটুকু বের করে নিন। এরপর পরিমাণ মতো টমেটোর রস নিয়ে লেবুর রস মিশিয়ে নিন।

এই মিশ্রনটা ভাল করে মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট অপেক্ষা করতে হবে। যা সব ধরনের ত্বকের দাগ মিলিয়ে দেওয়ার পাশাপাশি মৃত কোষেদের সরিয়ে দেয় ত্বক ফর্সা হয়ে উঠতে সময় লাগে না।

টক দই ও মধু

দুই টেবিল চামচ টক দই ও এক চা চামচ মধু নিন। দই ও মধু উপাদান ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। তারপর সেই পেস্টটা কম করে ১৫ মিনিট মুখে মাসাজ করুন সময় হয়ে গেলে মুখটা ধুয়ে নিন।

বিশেষ করে দই আমাদের ত্বকের ক্ষুদ্র লোমকূপে জমে থাকা ময়লা দূর করতে সাহায্য করে ফলে ত্বক গভীর থেকে পরিষ্কার হয় এবং ফর্সা করে তুলতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

ডাবের পানি

ডাবের পানি ত্বককে ভেতর থেকে সুন্দর করে তুলতেও কোনও বিকল্প নেই। ত্বকের উজ্জ্বলতা ফিরিয়ে আনতে, কালো ছোপ দাগ দূর করতে এর জুড়ি মেলা ভার।

যদি দিনে ২ বার ডাবের পানি দিয়ে মুখ ধোয়া যায়, তাহলে শ্যামলা ত্বক ফর্সা হতে খুব একটা সময় লাগে না। ডাবের পানি মুখের কালো দাগ দূর করার পাশাপাশি ত্বক  উজ্জ্বল ফর্সা করে তুলতে সাহায্য করে।

মুলতানি মাটি

এটি মূলত আপনার তৈলাক্ত ত্বক ফর্সা করার জন্য দুর্দান্ত কাজ করে। ২ থেকে ৩ চামচ মুলতানি মাটি, কাঁচা দুধ, হলুদ গুড়ার সাথে মধু মিশিয়ে ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে দিন। তারপর মুখ ঠান্ডা পানি দিয়ে ভালোকরে ধুয়ে ফেলুন। কাঁচা দুধের ল্যাকটিক এসিড (Lactic acid) প্রাকৃতিক ব্লিচের মত কাজ করে। এটি মূলত শ্যামলা ত্বকের রঙ হালকা করে তোলে।

তাছাড়া বেসন আর মুলতানি মাটি ব্যবহারের ফলে আপনার  ত্বকের তৈলাক্তভাব থেকে মুক্তি পাবেন, আর সেই সাথে ত্বককে গভীর থেকে পরিস্কার করতে সাহায্য করবে।

পরিশেষে

আজকের এই পোস্টে আমি আপনাদের সাথে শ্যামলা ত্বক ফর্সা করার উপায় সম্পর্কে একটি গুরুত্বপূর্ণভাবে আলোচনা করেছি। আশা করছি, আজকের আর্টিকেলটি থেকে কিছুটা হলেও ধারণা দিতে পেরেছি।

এ বিষয়ে আপনার যদি কোনো মতামত থাকে তাহলে কমেন্টে জানাতে পারেন।

সূত্র:- Right News BD

en_USEnglish