শীতের সময় ঠান্ডা আবহাওয়ায় যেন আপনার শিশুর সর্দি-কাশি হওয়া থেকে শুরু করে নাক বন্ধ, নাক দিয়ে পানি পড়া শুরু হয়। এতে করে সর্দি জমে থাকার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। শিশুর সর্দি-কাশি সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ওষুধ ব্যবহার না করে আপনার একটু যত্নই তাদের সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি হতে পারে।
চলুন জেনে নিই আপনার শিশুর সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পাওয়ার ঘরোয়া টোটকা-
হালকা গরম পানি
আধা কাপ হালকা গরম পানিতে এক চামুচের ৪ ভাগের ১ ভাগ লবণ গুলে স্যালাইন ড্রপ তৈরি করে ফেলুন। তাছাড়া বাজারে স্যালাইন ও নাকের ড্রপ কিনতে পাওয়া যায়।
স্যালাইন দেওয়ার সময় শিশুর মাথায় তোয়ালে বা কাপড় রোল করে চিত করে শোয়ান। তারপর ৩০ থেকে ৬০ মিনিট পর ২ বা ৩ ফোঁটা ড্রপ দিয়ে আপনার শিশুর নাক পরিষ্কার করে দিন। ড্রপ দেয়ার পর একদিক কাত করে শুয়ে রেখে সর্দি বের হতে দিন। সর্দি বের হলে টিস্যু দিয়ে মুছে দিন। এটি করতে আপনাকে বিরক্তির মনে হলেও শিশুর নাকের ভেতর কটন বাড ঢোকাবেন না।
২ বছর বছর শিশুর নাকের নিচে ডিকনজেসটেন্ট ড্রপ বা স্প্রে ব্যবহার করবেন না। ডিকনজেসটেন্ট জাতীয় ওষুধ নাকের শিরাগুলোকে সংকুচিত করে, পাশাপাশি এটি নাক দিয়ে পানি পড়া বন্ধ করবে না। বরং এটি শিশুদের ৩ দিনের বেশি ব্যবহার করা যাবে না।
আদা ও মধু
আপনার শিশুর সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পেতে আদা ও মধুর উপকারিতা অনেক বেশি। এই দুটি উপাদান থেকে উপকৃত পেতে হলে আপনার শিশুকে আদার রসের সাথে মধু মিশিয়ে দিনে ২ থেকে ৩ বার খাওয়ান।
সরিষার তেল
সরিষার তেলের উপকারিতার কথা জানে না এমন মানুষ খুজে পাওয়া যাবে না বলেই চলে। যে কোন বয়সের ক্ষেত্রেও সরিষার তেল বেশ উপকারী।
শিশুর সর্দি হলে সরিষার তেল কার্যকর। সে জন্য আপনাকে প্রথমে দুই কোয়া রসুন সরিষার তেলে গরম করুন। তেল গরম হয়ে গেলে আপনার শিশুর পায়ের পাতা থেকে শুরু করে পিঠ, হাতের তালু ও বুকে ভালোভাবে মালিশ করুন। এটি ২ থেকে ৩ দিন ব্যবহার করলে শিশুর সর্দি থেকে উপশম হবে।
কর্পূর ও নারকেল তেল
নারকেল তেলে অল্প পরিমাণে কর্পূর দিয়ে গরম করে নিন। তারপর এটি আপনার শিশুর বুক, পিঠ ও গলায় আলতোভাবে লাগান। এতে আপনার শিশুর সর্দি-কাশি থেকে মুক্তি পাবে।
সূত্র:- Right News BD