অবশেষে ভেঙেই গেল বাংলা চলচিত্র নায়িকা পরীমনি ও নায়ক শরীফুল রাজের সংসার। রাজকে ডিভোর্স দিলেন পরীমণি। ১৮ সেপ্টেম্বর (সোমবার) পরীমনি রাজের উদ্দেশে বিবাহ বিচ্ছেদের নোটিশ পাঠান। তাঁর পারিবারিক এক সূত্র সংবাদটি জানা যায়। তবে এ বিষয়ের জন্য পরীমণি বা রাজকে পাওয়া যায়নি।
১০ জানুয়ারি ২০২২ সালের সরাসরি রাজ-পরীর সম্পর্কের খবর আসে। গত বছরের জানুয়ারি মাসের ২২ তারিখে দুই পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে ১০১ টাকার দেনমোহরে তাঁদের বিবাহ সম্পন্ন হয়। ২১ জানুয়ারি তাঁদের গায়েহলুদের অনুষ্ঠান হয়।
রাজের সাথে সংসার জীবনের ১০ মাস পর তাদের একটি সন্তান জন্ম হয়। এর এক দিন পর পরই ছেলের ছবিসহ নাম প্রকাশ করেন পরীমণি। এছাড়াও তিনি জানান, রাজের নামের সাথে মিল রেখে ছেলের নাম রেখেছেন ‘শাহীম মুহাম্মদ রাজ্য’।
তাদের দেড় বছরের দাম্পত্য জীবনে নানা ঘটনা আলোচনায় এসেছে। কখনো বিদ্যা সিনহা মিম, কখনো সুনেরাহ বিনতে কামালসহ অন্য কাউকে ঘিরে রাজের প্রতি সন্দেহের তির ছুড়েছেন পরীমনি।
গত ২০ মে পরীমনির বাসা থেকে নিজের জিনিসপত্র নিয়ে বের হয়ে আসেন শরিফুল ইসলাম রাজ। তারপর মে মাসের ২৯ তারিখে রাজের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে সুনেরাহ, তানজিন তিশা ও নাজিফা তুষির সঙ্গে বেশ কিছু ব্যক্তিগত মুহূর্তের ছবি-ভিডিও ফাঁস হয়। সেই ঘটনায় দু’জনের সম্পর্কে আরও দূরত্ব সৃষ্টি হয়।
তারা দু’জনে ফেসবুক লাইভে এসেও সম্পর্কের তিক্ততা নিয়ে কথা বলেছেন। সে সময় অনেক সমস্যার পরও রাজের সাথে সংসার করার চেষ্টা করে যাচ্ছেন বলে জানান পরীমনি।
রাজকে ডিভোর্স নিয়ে পরীমনি বলেন
সংসারজীবনে অশান্তি এবং এই সমস্যা থেকে সমাধান চান তিনি। পরীমনি তার স্পষ্ট ভাষায় বলেন, ‘আজ থেকে আমি আর রাজের স্ত্রী নই। আমি এই সম্পর্ক মেনে নিতে চাই না।
তাদের দু’জনের আলাদা হয়ে যাওয়ার ব্যাপারে তিনি আরো বলেন, ‘বেশ কিছুদিন ধরেই সমস্যা চলছিল। সমস্যা কাটিয়ে উঠিয়ে সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে একসাথে থাকার চেষ্টা করেছি, কিন্তু পারলাম না। তাঁর আচার-ব্যবহারের কারণে একসাথে থাকার পরিস্থিতি নেই। তাই বাধ্য হয়ে বাসা ছেড়ে আলাদা হয়ে গেলাম। আমার মনমানসিকতা ভালো নাই, সেজন্য আমি আর বেশি কিছু বলতে চাই না।’
এদিকে রাজ বলেন, ‘স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ছোট খাটো ঝামেলা হওয়াটাই স্বাভাবিক এবং আমাদের মধ্যে কোনো কিছু ঘটলে, যখনই ঠিক করতে যাই, তখনই চারপাশ থেকে কোনো না কোনো একটা সমস্যা তৈরি করা হয়। আমি এই বিষয়টি নিয়ে খুবই বিরক্তবোধ করছি। সবকিছুর সমাধান হওয়া প্রয়োজন, শেষ হওয়ারও দরকার।
রাজের বক্তব্য, ‘আমার মনে হয়, চারপাশের কিছু লোকজন এ সবের বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন। মনে হচ্ছে, তাঁরা আমাদের ভালো চান না, তাঁরা আমাদের কোনভাবেই ভালো থাকতে দেবে না।’
এদিকে ১০ আগস্ট ঢাকার পাঁচ তারকা হোটেলে কাছের লোকজনদের নিয়ে আমাদের একমাত্র সন্তানের ১ম জন্মদিন উদ্যাপন করেন চিত্রনায়িকা মা পরীমনি। রাজ্যর ১ম জন্মদিনেও বাবা শরীফুল রাজকে দেখা যায়নি।
সূত্র:- Right News BD