বিভিন্ন যানবাহনের চেয়ে বিমানে ভ্রমণের সময় বিষয়টি একটু আলাদা। এতে যেমন অনেক কিছু নিয়ম-কানুন মেনে চলতে হয়, যেমন ছোট যানবাহনের বিষয়ে অনেক যাত্রী একসঙ্গে যাতায়াত করেন, এবং কিছু নিয়ম মেনে চলতে হয়। এ অবস্থায় অন্যথায় কাউকে আঘাত করার ভয় থাকে।
বিমান ভ্রমণ: বিমান এয়ারলাইন্স, যা বিমান নামে পরিচিত, এটি একটি সরকারি এবং জাতীয় পতাকাবাহী বিমান পরিবহন সংস্থা। এটি প্রধানত বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা শহরে অবস্থিত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে কার্যক্রম করে বিভিন্ন দেশে ভ্রমণের জন্য যাতায়াত করে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক বিমানে ভ্রমণের সময় যেসব কাজ ভুলেও করা উচিৎ নয়:
করিডোর বন্ধ করবেন না: ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টদের দ্বারা অভ্যর্থনা জানানোর পরে বিমানে উঠার পরে, দুই পাশের আসনের মধ্যে বেশিক্ষণ দাড়ানো ঠিক নয়। ওভারহেড বিনে আইটেম রাখার সময় সাবধানতা অবলম্বন করা উচিত যাতে অন্যদের অপেক্ষা করতে না হয়। তাই ভ্রমণের সময় প্রয়োজনীয় যে সব জিনিস লাগবে তার সবই আগে থেকে তৈরি করে রাখতে হবে। কার্ডিগান, ল্যাপটপ, বই বা খাবার ক্যারি-অন ব্যাগে রাখতে হবে, যা সামনের সিটের নিচে সহজেই প্রবেশযোগ্য।
ফোনে জোরে রিংটোন দিবেন না: অনেক সময় দীর্ঘ ভ্রমণের সময় কাটানোর জন্য অনেকেই ঘুমের পথ বেছে নেন। তবে ইঞ্জিনের গুঞ্জন, বাচ্চাদের দুষ্টুমি সহ অন্য লোকের গল্পের শব্দের জন্য এটি সর্বদা সহজ নাও হতে পারে। ঘুমানোর পর কারো ফোন বেজে উঠলে বিরক্ত হওয়াটাই স্বাভাবিক। ফোনটি সাইলেন্ট মোডে রাখা উচিত, যদি আপনি ঝামেলা সৃষ্টি করতে না চান। সে জন্য জাপানিরা একে ‘ম্যানার মোড’ বলে কারণ এটি বোর্ডে থাকা সকলের জন্য শান্তি ও নীরবতাকে সম্মান করে।
হেডফোন ছাড়া গান/ভিডিও দেখবেন না: অনেকে আছে তাদের পছন্দের গান শুনতে ভালোবাসে। কিন্তু ভেবে দেখুন, যাত্রার ক্লান্তি কমাতে একটি বিমানের ৫০০ যাত্রী যদি একই সঙ্গে স্পীকারে তাদের পছন্দের গান শোনে, তা হবে অসহনীয়। তাই এ ক্ষেত্রে হেডফোন ব্যবহার অপরিহার্য। নিশ্চিত করুন যে আপনার বাচ্চারাও এই নিয়ম মেনে চলে। কারণ শিশুদের আওয়াজও বিরক্তির কারণ হতে পারে। এছাড়াও, জোরে কথা না বলার চেষ্টা করাটাই উত্তম।
ঝুঁকে পড়ার সময় সতর্ক: বিমানের সিটে সীমিত জায়গার কারণে অনেকে আবার সিটে হেলান দিতে পছন্দ করেন। দীর্ঘ সময় যাত্রা করার কারণে ঘুমাতে চাইলে আপনার আসনটি খাড়া রাখলে আরাম নাও হতে পারে। তবে, এটি পিছনের যাত্রীদের জন্য অসুবিধার কারণ হতে পারে। তাই তাদের দিক অনুসরণ করে, সিটে হেলান দেওয়ার আগে, পিছনের দিকে তাকান এবং পিছনের সিটে থাকা ব্যক্তিকে সংকেত দিন। অথবা তারা সিটের পিছনে ল্যাপটপ বা ট্রে টেবিলে খাবার রেখে হঠাৎ হেলে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে।
গন্ধযুক্ত খাবার: অবশ্যই মনে রাখবেন, বিমানের স্থান খুবই সীমিত। তীব্র গন্ধযুক্ত খাবার খাওয়ার ফলে গন্ধ ছড়ার আশঙ্কা বেশি থাকে, এতে করে অনেকে বিরক্ত বিরক্ত বোধ করতে পারে। তাই এগুলো এড়িয়ে চলা উচিত।
জুতা এবং মোজা খুলবেন না: যাত্রার সময় পা থেকে জুতা, মোজা খুলবেন না এতে দুর্গন্ধ ছড়াতে পারে। এছাড়াও প্লেনের মেঝে নোংরা হলেও তা কিন্তু পায়ে লেগে যেতে পারে। তাই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে এবং অন্যদের বিরক্ত না করার জন্য পা থেকে জুতা ও মোজা খোলাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে।
এছাড়াও, বিমানে যাত্রা করার সময় অন্যদের সাথে সদা আচরণ করা উচিত। অবতরণের কিছুক্ষণ পরে করিডোরে ভিড় না করার চেষ্টা করুন। এবং নিজেকে নিরাপদ রাখার জন্য অন্যদের নিরাপদ রাখতে, আপনাকে অবশ্যই বিমান চলাচলের সকল নিয়ম-কানুন মেনে চলাই কাম্য।
সূত্র:- Right News BD