রুদ্ধশ্বাস লড়াইয়ে খুলনা টাইগার্স শেষ ওভারে বরিশালকে হারিয়েছে। আসলে এই ম্যাচটি বিশাল গুরুত্বহীন একটি ম্যাচ ছিল। কারণ ফরচুন বরিশাল প্লে-অফে শীর্ষ দুই থেকে ছিটকে গেছে। এদিকে খুলনা টাইগাররা পূর্বেই বিদায় নিয়েছে। কিন্তু জয় পেয়েছে মিরপুর শেরে বাংলা গ্রুপ পর্বের এই গুরুত্বহীন ম্যাচে ।
লড়াইটা ছিল শ্বাসরুদ্ধকর। খুলনা টাইগার্স শেষ ওভারে ৬ উইকেট ও ৩ বল রেখে ম্যাচ জিতে নিয়েছে। ইয়াসির আলী রাব্বিরের দল ১২টি ম্যাচে তিনটি জয় নিয়ে শেষ করেছে।
পঞ্চম ম্যাচে হেরে গেলেও প্লে-অফে আগমন করেছে বরিশাল। চার নম্বরে থেকে গ্রুপ পর্ব শেষ করে সাকিবের দল।
১৭০ রানের উদ্দেশ্য ছিল। ১১ ওভারে ৩ উইকেটে ৭৬ রান করতে পারে খুলনা। সেখান থেকে মাহমুদুল হাসানের ভয়ানক ইনিংস এবং শেষ পর্যন্ত হাবিবুর রহমান সোহানের ক্যামিওতে দুর্ধর্ষ ইনিংস নিয়ে মাঠ ছাড়ে গেছে খুলনা।
জয় হয় ৪৩ বলে ৫ চার আর ২ ছক্কায় ৬৪ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। ২টি চারে ৩টি ছক্কায় ৯ বলে ৩০ রানের দুর্দান্ত ঝড় তোলেন হাবিবুর রহমান। তিনি দুর্দান্ত ঝড়ে ম্যাচটি শেষ করেন ছক্কা দিয়ে।
এর পূর্বে টসে জিতে ব্যাটিং নিয়ে ফরচুন বরিশাল ৮ উইকেটে ১৬৯ রান করে। টস করলেন মেহেদি হাসান মিরাজ টসে চমক ছিল, সাকিবের পরিবর্তে। চমৎকার ছিল উদ্বোধনী জুটিতেও। মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ এনামুল হকের জয়ে ইনিংস আরম্ভ করেন।
তবে খুব একটা সুবিধা নিতে পারেনি রিয়াদ। ৯ বল ৯ রান করে সাজঘরে ফিরে যান তিনি। ১৩ বলে ১৪ রান করেন চতুরঙ্গ ডি সিলভা ওয়ান ডাউনে নেমে । ১৪ বলে ২২ রানের ছোট একটি ঝড় নিয়ে ফেরেন সাকিব আল হাসান।
এরপর ২৯ বলে ২৮ রানে ফিরে গেলে বিপদে পড়ে বরিশাল ধীরগতির এনামুল বিজয়। ৪ উইকেটে ৭৭ রানে হারায়। সাকিবের দল সেখান থেকে ডোয়াইন প্রিটোরিয়াসের ব্যাটের লড়াইয়ে সঞ্চয় গড়েছে।
এই ম্যাচের পূর্বেই দলের সাথে যোগ দেন প্রিটোরিয়াস। তবে পরিস্থিতর সাথে মেনে নিতে কোনো সমস্যা হয়নি প্রোটিয়া অলরাউন্ডারের। তিনি ২৯ বলে ৪৮ রানের একটি লম্বা ইনিংস খেলেন, যেখানে তিনি ২ চার এবং ৪টি ছক্কা মেরেছিলেন।
এছাড়াও করিম জানাত ৯ বলে ১৮ আর ইব্রাহিম জাদরান ১৫ বলে ২১ রানের ইনিংস খেলেন।
মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন খুলনার সবচেয়ে সার্থক বোলার। ২০ রান দিয়ে একাই ৪টি উইকেট তুলে নেন। হাসান মুরাদ ও নাসুম আহমেদ দুটি করে উইকেট নেন।
সূত্র:- Right News BD