নিজেকে সুখী করতে গড়ে তুলুন এই ৭টি অভ্যাসে

নিজেকে সুখী করতে এই অভ্যাসগুলি

১. নিয়মিত ব্যায়াম করুন

নিয়মিত ব্যায়াম

শরীরচর্চার সুফল

ব্যায়াম শুরু করার সহজ উপায়

  • হাঁটা: প্রতিদিন ৩০ মিনিট হাঁটার অভ্যাস করুন। এটি শুরু করার সবচেয়ে সহজ উপায়।
  • যোগব্যায়াম: যোগব্যায়াম করলে শরীর ও মন দুটোই সুস্থ থাকে। এটি সহজে করা যায় এবং মনের প্রশান্তি বাড়ায়।
  • হালকা ব্যায়াম: সকালে বা সন্ধ্যায় হালকা দৌড়ানো বা ফ্রি-হ্যান্ড এক্সারসাইজ করতে পারেন। এগুলো শরীরকে সজাগ এবং শক্তিশালী করে।

ব্যায়ামের সময়সূচি তৈরি করুন

মোটিভেশন ধরে রাখুন

২. পর্যাপ্ত ঘুমের অভ্যাস করুন

কেন পর্যাপ্ত ঘুম গুরুত্বপূর্ণ?

পর্যাপ্ত ঘুমের অভ্যাস গড়ে তুলতে করণীয়

  • নিয়মিত সময়ে ঘুমানো ও উঠা: প্রতিদিন একই সময়ে ঘুমানো ও উঠার চেষ্টা করুন, এতে শরীরের বায়োলজিক্যাল ক্লক ঠিক থাকবে।
  • ঘুমানোর পূর্বে ইলেকট্রনিক ডিভাইস এড়িয়ে চলুন: মোবাইল, ল্যাপটপ বা টিভির নীল আলো ঘুমের ব্যাঘাত ঘটাতে পারে। তাই ঘুমানোর ৩০ মিনিট আগে এসব ডিভাইস ব্যবহার বন্ধ করুন।
  • পরিবেশ তৈরী করুন: ঘুমানোর রুম শান্ত ও অন্ধকার রাখুন। আরামদায়ক তাপমাত্রা ও বালিশ ব্যবহার করুন যাতে ভালো ঘুম হয়।
  • রিল্যাক্সিং রুটিন: ঘুমানোর আগে ধ্যান, বই পড়া, বা মৃদু সঙ্গীত শুনে মনকে শান্ত করুন।

৩. ধ্যান করার চর্চা করুন

কেন ধ্যান করা গুরুত্বপূর্ণ?

ধ্যানের চর্চা শুরু করার উপায়

  • নিয়মিত সময় নির্ধারণ করুন: প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে ধ্যান করার চেষ্টা করুন, যেমন সকালে বা রাতে।
  • শান্ত পরিবেশ বেছে নিন: ধ্যান করার জন্য একটি শান্ত এবং নিরিবিলি স্থান নির্বাচন করুন যেখানে কোন ব্যাঘাত ঘটবে না।
  • শ্বাস-প্রশ্বাসের উপর মনোযোগ দিন: ধ্যানের সময় গভীর শ্বাস নিন এবং শ্বাসের গতির উপর মনোযোগ দিন। এতে মন সহজেই প্রশান্ত হবে।
  • শুরুতে ছোট সময় নির্ধারণ করুন: শুরুতে ৫-১০ মিনিট ধ্যান করুন, তারপর ধীরে ধীরে সময় বাড়ান।
  • গাইডেড মেডিটেশন ব্যবহার করুন: বিভিন্ন গাইডেড মেডিটেশন অ্যাপ বা ভিডিও ব্যবহার করে ধ্যানের চর্চা শুরু করতে পারেন।

৪. কাজের ফাঁকে বিশ্রাম নিন

কেন বিশ্রাম গুরুত্বপূর্ণ?

কীভাবে সঠিকভাবে বিশ্রাম নেওয়া যায়?

  • শরীরের সংকেত শুনুন: আপনার শরীর যখন ক্লান্ত বা অবসন্ন মনে হবে, তখনই বিশ্রাম নিন। নিজেকে অত্যধিক চাপ দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।
  • শান্ত পরিবেশে বিশ্রাম: একটি শান্ত ও আরামদায়ক স্থানে বিশ্রাম নিন যেখানে ব্যাঘাতের সম্ভাবনা কম।
  • মধ্যাহ্নকালীন বিশ্রাম: প্রতিদিনের ব্যস্ত সময়সূচির মাঝে একটু বিশ্রাম নিন। এটি শরীরকে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করবে।
  • সাপ্তাহিক ছুটি: প্রতিদিনের কাজের বাইরে প্রতি সপ্তাহে একদিন সম্পূর্ণ বিশ্রাম দিন। এই দিনটি নিজের জন্য রাখুন।
  • মাইন্ডফুল রিল্যাক্সেশন চর্চা: মাইন্ডফুল মেডিটেশন বা হালকা যোগব্যায়াম করে শরীর ও মনের বিশ্রাম নিতে পারেন।

৫. প্রিয়জনের সাথে সময় কাটান

কেন প্রিয়জনদের সাথে সময় কাটানো গুরুত্বপূর্ণ?

প্রিয়জনদের সাথে সময় কাটানোর উপায়

  • পরিবারের সাথে খাবার সময় ভাগ করুন: প্রতিদিন একসাথে খাবার খাওয়ার চেষ্টা করুন। এতে পারিবারিক বন্ধন আরও মজবুত হয়।
  • বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিন: নিয়মিত বন্ধুদের সাথে দেখা করুন, কফি শপে আড্ডা দিন বা মুভি দেখুন।
  • বাইরে ঘুরতে যান: পরিবারের সদস্যদের নিয়ে পার্কে বা পছন্দের কোনো স্থানে ঘুরতে যান। এতে সম্পর্কের মধ্যে আনন্দের মুহূর্ত তৈরি হয়।
  • একসাথে হবি চর্চা করুন: প্রিয়জনদের সাথে একসাথে কোনো হবি, যেমন খেলাধুলা, পেইন্টিং, বা গান শিখুন। এতে আপনারা আরও বেশি সময় একসাথে কাটাতে পারবেন।
  • প্রিয়জনদের জন্য সময় বরাদ্দ করুন: কাজের ব্যস্ততার মাঝেও প্রিয়জনদের জন্য সময় বরাদ্দ করুন এবং তাদের সাথে খোলামেলা আলোচনা করুন।

৬. নিজেকে সুখী করতে নিজের জন্য সময় দিন

কেন ‘নিজের জন্য সময়’ গুরুত্বপূর্ণ?

কীভাবে ‘নিজের জন্য সময়’ বের করবেন?

  • রোজ একটুখানি সময় বরাদ্দ করুন: প্রতিদিন অন্তত ৩০ মিনিট নিজের জন্য রাখুন। এটি হতে পারে বই পড়া, গান শোনা, বা ধ্যান করা।
  • একটি হবি তৈরি করুন: যে কাজটি করতে আপনি আনন্দ পান, তা চর্চা করুন। এটি পেইন্টিং, রান্না, লেখা, বা ফটোগ্রাফি হতে পারে।
  • ডিজিটাল ডিটক্স করুন: কিছু সময়ের জন্য মোবাইল বা অন্যান্য ডিজিটাল ডিভাইস থেকে দূরে থাকুন এবং প্রকৃতির মাঝে কিছু সময় কাটান।
  • বাইরে হাঁটতে যান: প্রাকৃতিক পরিবেশে কিছু সময় কাটানো এবং একা হেঁটে মনকে প্রশান্ত করতে পারেন।
  • নিজের প্রতি মনোযোগ দিন: নিজের অনুভূতি ও চাহিদার প্রতি মনোযোগ দিন এবং সেই অনুযায়ী কাজ করুন।

৭. কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন

শেষকথা

সূত্র: Right News BD

Leave a Reply

en_USEnglish