কুয়াকাটার সমুদ্রসৈকতে নতুন প্রজাতির শামুক এর দেখা পাওয়া গেল। কিন্তু কুয়াকাটার সমুদ্রসৈকতে বিভিন্ন ধরণের মাছের দেখা পাওয়া যায় ফ্রাই মার্কেটে। এখানে ছোট বড় সহ বিভিন্ন জাতের সামুদ্রিক মাছের দেখা পাওয়া যায়। তবে আর একটি বড় বিষয় হচ্ছে নতুন এই শামুকগুলো দেখতে অনেক সুন্দর হওয়ার কারণে অনেকে শখ করে খাচ্ছেন। এছাড়াও অনেক পর্যটক কিনেও নিয়ে যাচ্ছেন।
এদিকে কুয়াকাটার এই ফ্রাই মার্কেটের চারিদিকে ঘুরে লক্ষ্য করা যায়, সন্ধ্যার পরেই বিভিন্ন ধরণের রকমারি মাছের দেখা পাওয়া যায়। সাজিয়ে রাখা হয় সমুদ্রের সব বিভিন্ন প্রজাতির মাছগুলো। কিন্তু এসব মাছের সাথে এবার দেখা পাওয়া গেল নতুন প্রজাতির শামুক। সেই শামুকগুলো দেখতে দেশী প্রজাতীর শামুকের থেকে অত্যন্ত সুন্দর ও বড় সাইজের। এ নতুন শামুকগুলির এক একটির ওজন প্রায় এক থেকে দুই কেজি। এগুলো শামুক বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ৮০০ টাকা থেকে ১ হাজার টাকা পর্যন্ত। এই শামুকগুলো দেখতে অনেক পর্যটক ভিড় করছেন ।
এগুলো শামুক খাওয়ার জন্য প্রথমে গরম পানিতে ফোটানো হয়। এরপর শামুকের ভেতরের অংশে যে মাংসটি আছে সেটি ভালোভাবে ছাড়িয়ে নিয়ে পুনরায় গরম পানিতে ভালোভাবে পরিষ্কার করা হয়। এরপরে পর্যটকদের সামনে পরিবেশন করার জন্য তেল-মসলা দিয়ে এটিকে ফ্রাই করে প্রস্তুত করা হয়।
শামুকগুলি নতুন হওয়ার কারণে অনেক পর্যটকরা দেখতে ভিড় করছেন। কিন্তু এদের মধ্যে অনেকে শখ করে খাওয়ার জন্য অর্ডারও করছেন। দেখতে অনেক সুন্দর তাই অনেকে মোবাইলে বা ক্যামেরা দিয়ে ছবিও তুলছেন। নতুন এগুলো শামুকের বিষয়ে এক পর্যটক বলেন, আগেও অন্যান্য মাছ খেয়েছি। সেগুলো অনেক সুস্বাদু ছিল। কিন্তু আজ হঠাৎ নতুন শামুক দেখলাম। নতুন এই শামুকের ফ্রাই খেতে নাকি অনেক সুস্বাদু তাই অর্ডার করলাম।
খুলনা থেকে আসা আরো একজন পর্যটক বলেন, এ আগেও ২ থেকে ৩ বার কুয়াকাটায় ঘুরতে এসেছি কিন্তু কুয়াকাটায় আসার পর সমুদ্রের পাড়ে সন্ধ্যার সময় ফ্রাই খেতে আসি। এছাড়াও আগে ভ্রমণের সময় এসেও সমুদ্রের বিভিন্ন প্রজাতির সু-স্বাদু মাছও খেয়েছি। কিন্তু আজকে এসে আচমকা নতুন একধরণের শামুক দেখলাম। এই শামুকগুলি খেতে নাকি অনেক সুস্বাদু তাই অর্ডার করে ফেললাম।
নতুন এই শামুকগুলির মালিক রশিদুল ইসলাম বলেন, এই শামুকগুলো সমুদ্রের গভীর প্রান্ত থেকে একজন জেলে ধরেছেন তার কাছ থেকে ৭০০ টাকা প্রতি কেজিতে কেনা হয়েছে। প্রতিটি শামুকের ওজন প্রায় ৮০০ গ্রাম থেকে ১৪০০ গ্রাম পর্যন্ত। এছাড়াও শামুক মালিক জানান এগুলো এই মার্কেটে সর্বপ্রাথম আমিই এনেছি। তবে এ পর্যন্ত ২-৩টি বিক্রি হয়েছে। নতুন এই শামুকগুলি গভীর সমুদ্রে পাওয়া যায়। এগুলো খাওয়ার জন্য আলাদা প্রক্রিয়ায় করতে অন্যান্য মাছগুলো থেকে একটু পৃথকভাবে প্রক্রিয়াজাত করার প্রয়োজন হয়। সঠিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ভালো স্বাদ পাওয়া যায়। যত পর্যটক বাড়বে এগুলোর চাহিদাও অনেকটা বাড়বে বলে আশা করছেন তিনি। এখন পর্যন্ত ১ হাজার টাকা এক কেজি শামুক বিক্রি করা হচ্ছে।
এদিকে নতুন সব শামুকগুলো বড় ভোজ্য সামুদ্রিক শামুক। অন্যান্য দেশের খাবারের তালিকায় এই শামুকগুলো বেশ প্রসিদ্ধ। এগুলো সামুদ্রিক প্রজাতির হলেও এগুলো সাধারণত অনেক কম পাওয়া যায়।
সূত্র:- Right News BD