সুন্দর ও সাদা ঝকঝকে দাঁত শুধু মুখের সৌন্দর্যই বাড়ায় না, বরং নিজের সম্মান ও আত্মবিশ্বাসকেও অনেকগুণ বাড়িয়ে দেয়।
অনেকেরেই নানা কারণে দাঁতে হলদে দাগ পড়ে যায়, যেমন কিছু খাবার, কোমল পানীয় এমনকি ধূমপানের কারণে নিয়মিত দাঁত ব্রাশ না করার কারণেও।
ঐ সমস্ত আপনার দাঁতের কালো দাগ বা হলদে হওয়া দাঁতকে ঘরোয়া কিছু সহজ উপায় বা প্রাকৃতিকভাবে সাদা করতে পারেন।
কালো দাঁত ঝকঝকে সাদা করার কার্যকারী ৮টি ঘরোয়া উপায় সম্পর্কে জেনে নিন:
১. বেকিং সোডা ও লেবুর রস
বেকিং সোডা প্রাকৃতিকভাবে দাঁতের হলদে দাগ দূর করতে পারে। এক চিমটি বেকিং সোডার সঙ্গে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করে এটি দিয়ে দাঁত ব্রাশ করুন।
এই মিশ্রণটি সপ্তাহে একবারের বেশি ব্যবহার করবেন না, কারণ এতে দাঁতের এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।
২. নারকেল তেল
নারকেল তেল দিয়ে নিয়মিত দাঁত মাজলে দাঁত সাদা হয়। প্রতিদিন সকালে এক চামচ নারকেল তেল মুখে নিয়ে ১০-১৫ মিনিট ধরে চিবোতে থাকুন। এরপর কুলি করে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
এটি মূলত মুখের মধ্যে থাকা ব্যাকটেরিয়া দূর করে পাশাপাশি দাঁত সাদা করতে সাহায্য করে।
৩. হাইড্রোজেন পারক্সাইড
হাইড্রোজেন পারক্সাইড একটি প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক এবং দাগ দূর করতে কার্যকর।
এক টেবিল চামচ হাইড্রোজেন পারক্সাইড এক চামচ পানির মিশ্রণ দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলতে পারেন।সপ্তাহে কয়েকবার ব্যবহার করলে ভালো ফল পাবেন।
৪. স্ট্রবেরি ও বেকিং সোডা পেস্ট
স্ট্রবেরিতে ম্যালিক অ্যাসিড থাকে যা দাঁতের দাগ দূর করতে সহায়ক। কয়েকটি স্ট্রবেরি ব্লেন্ড করে তাতে এক চিমটি বেকিং সোডা মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করার পর দাঁত ব্রাশ করুন।
এটি সপ্তাহে একবার ব্যবহার করুন।
৫. আপেলের খোসা
আপেলের খোসা প্রাকৃতিকভাবে দাঁতের কালো দাগ সহ হলদেভাব পরিষ্কার করে। প্রতিদিন আপেল খাওয়ার সময় খোসা দিয়ে দাঁত ঘষতে পারেন।
এটি দাঁতের এনামেল মজবুত করার পাশাপাশি সাদা করতে সহায়ক।
৬. কলার খোসা
কলার খোসায় রয়েছে পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, এবং ম্যাঙ্গানিজ যা দাঁতের ফাঁকে থাকা কুচকুচে কালো দাগ দূর করার পাশাপাশি মুখের দুর্গন্ধ দূর করতে বেশ কার্যকরী।
প্রতি দিন কলার খোসা দিয়ে দাঁত ঘষুন এবং এক সপ্তাহের মধ্যেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন।
৭. অ্যাপেল সিডার ভিনেগার
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার একটি প্রাকৃতিক জীবাণুনাশক হিসেবে কাজ করে। এক চামচ অ্যাপেল সিডার ভিনেগার এর সাথে পানি মিশিয়ে কুলি করতে পারেন।
অ্যাপেল সিডার ভিনেগার নিয়মিত ব্যবহারে দাঁতের এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, তাই সতর্ক থাকুন।
৮. ব্রাশ ও ফ্লসিংয়ের সঠিক নিয়ম মেনে চলা
প্রতিদিন কমপক্ষে দুইবার দাঁত ব্রাশ করা এবং ফ্লস করা অত্যন্ত জরুরি। দাঁতের ফাঁকে জমে থাকা খাদ্যকণা দূর করতে ফ্লসিং করা উচিত।
এটি দাঁতের দাগ পড়া রোধে কার্যকরী।
পরিশেষে:
দাঁত ঝকঝকে সাদা রাখার জন্য ঘরোয়া উপায়গুলো খুবই কার্যকরী। তবে এগুলোর অতিরিক্ত ব্যবহারে দাঁতের এনামেল ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে, তাই সাবধানতা অবলম্বন করুন।
নিয়মিত দাঁতের যত্ন এবং পরিমিত ব্যবহার আপনাকে উজ্জ্বল, সাদা দাঁত পেতে সাহায্য করবে।
সূত্র: Right News BD