ত্বক ফর্সা করার জন্য কোন ভিটামিন ভালো?

আপনার ত্বক ফর্সা রাখতে ভিটামিন ও খনিজের মত উপাদান বেশ কার্যকরী। পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন না পেলে ত্বকে দ্রুত বলিরেখা পড়া সহ চামড়া কুঁচকে যাওয়ার সম্ভবনা বেশি থাকে। এতে অল্প বয়সেই ত্বক বিবির্ণ দেখায়, পাশাপাশি ত্বকে শুষ্কতা দেখা দেয়। পর্যাপ্ত ভিটামিন ও খনিজের অভাবেও ত্বকে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। সে জন্য আমাদের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় প্রয়োজনীয় ভিটামিন যুক্ত খাবার রাখা জরুরী।

আজকের নিবন্ধে কোন ভিটামিন আপনার ত্বক ফর্সা করে, সেই বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে যাচ্ছি।

যেসব ভিটামিন ত্বক ফর্সা করে

  • ভিটামিন-এ (Vitamin A)
  • ভিটামিন-বি (Vitamin B)
  • ভিটামিন-সি (Vitamin-C)
  • ভিটামিন-ডি (Vitamin D)
  • ভিটামিন-ই (Vitamin E)
  • ভিটামিন-কে (Vitamin K)

ভিটামিন-এ (Vitamin A)

ভিটামিন-এ (Vitamin A)- এর অভাবে ত্বকের খসখসে ভাব, রুক্ষ ও শুষ্ক হয়ে পড়তে পারে। ব্রণ ও সোরিয়াসিসের রোগীদের ক্ষেত্রে এই ভিটামিন এ বেশি প্রয়োজন। ডিম, দুধ, সবুজ ও হলুদ শাকসবজি সহ ফলমূল ও কলিজায় প্রচুর ভিটামিন এ  (Vitamin A) রয়েছে।

ত্বক ফর্সা রাখতে ভিটামিন-এ‘ এ’র পর্যাপ্ত গুণাগুণ রয়েছে। যা কিনা ত্বকের কালো দাগ, ছোপ দূর করে উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি এবং দাগহীন ত্বকের জন্য ভিটামিন-এ দুর্দান্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। পালংশাক, ব্রকোলি, মিষ্টি আলু, ফলমূল, ডিম, দুধ সহ চর্বিযুক্ত মাছে পর্যাপ্ত ভিটামিন-এ রয়েছে।

ভিটামিন-বি (Vitamin B)

ভিটামিন-বি সূর্যের তাপে পুড়ে যাওয়া ত্বককে রক্ষা করে। তবে সানস্ক্রিনের মধ্যেও এই ভিটামিন দেওয়া থাকে। এ ছাড়া ভিটামিন-বি বিরক্তিকর অ্যালার্জির হাত থেকেও রক্ষা করে। ভিটামিন-বি ত্বকের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে। যেমন, ডিমের সাদা অংশ, কলিজা, দুধ, গাজর, টমেটো এবং গ্রিন টি তে ভিটামিনি-বি অন্তর্ভূক্ত।

ভিটামিন-সি (Vitamin-C)

শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে যেমন ভিটামিন সি দরকার হয়, তেমনই ত্বকের বেলায়  ভিটামিন সি সবচেয়ে বেশি দরকার হয়।

ত্বকের উজ্জ্বলতা এবং তারুণ্যভাব ধরে রাখতে ভিটামিন সি বেশ কার্যকর। আর ভিটামিন সি এর মধ্যে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। যা ত্বককে বিভিন্ন প্রকার ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে, পাশাপাশি দীর্ঘদিন ত্বকের ফর্সাভাব ধরে রাখতে সাহায্য করে।

শুধু তাই নয়, ভিটামিন-সি-এর অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট কোলাজেন বৃদ্ধি করে। এতে ত্বক টান টান ও সতেজতা ধরে রাখে। টক জাতীয় ফল যেমন, লেবু, কমলা, মালটা, টমেটো, শসা ও সবুজ শাক-সবজিতে ভিটামিন-সি সমৃদ্ধ।

ভিটামিন-ডি (Vitamin D)

ভিটামিন-ডি’র অভাবে ত্বকে শুষ্কতার প্রভাব দেখা দেয়। এতে ত্বক ফ্যাকাসে ও বিবর্ণ হয়ে ত্বকের ক্ষত শুকাতে চায় না। যেমন, একজিমা, সোরিয়াসিস হতে পারে। স্যামন, টুনা, পনির, ডিম, মাশরুম, সয়া, দুধ, অ্যাভোকাডো, চিকেন এবং পিনাট বাটারের মতো চর্বিযুক্ত খাবার থেকেও ভিটামিন-ডি পাওয়া যায়। তবে প্রতিদিন কিছু সময় সকালে সূর্যের আলো থেকেও ভিটামিন-ডি পাওয়া সম্ভব।

ভিটামিন-ই (Vitamin E)

ভিটামিন-ই মূলত ত্বকে অ্যান্টি-এজিং হিসেবে কাজ করে। তাছাড়া এই ভিটামিন সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি থেকেও রক্ষা করতে সাহায্য করে।

ভিটামিন-ই’র অভাবে চুল পড়া ছাড়াও দ্রুত ত্বকে বলিরেখা দেখা দেয়। এতে ত্বক নিষ্প্রাণ হয়ে আর্দ্রতা হারিয়ে ফেলে। ভিটামিন-ই ত্বককে সজীব ও উজ্জ্বলময় করে তোলে। ভিটামিন-ই পাওয়ার জন্য বাদাম, জলপাই, উদ্ভিজ্জ তেল, শাক-সবজি, সূর্যমুখীর বীজ ইত্যাদি।

ভিটামিন-কে (Vitamin K)

ভিটািমিন-কে ত্বকের উজ্জ্বলতা ধরে রাখা ছাড়াও ত্বকের অবাঞ্ছিত কালো দাগ, ছোপ ছোপ দাগ, লালচে দাগ কমাতে সাহায্য করে। তাছাড়া চোখের নিচের কালো দাগ দূর করতেও বিশেষ কার্যকারিতা পালন করে।  ভিটামিন-কে ত্বকে কেটে যাওয়া, ক্ষত বা কালশিটে দাগ দূর করতে দুর্দান্ত কার্যকরী। যেমন ব্রকোলি, বাঁধাকপি ও পালংশাক থেকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন-কে পাওয়া যায়।

সূত্র:- Right News BD

One thought on “ত্বক ফর্সা করার জন্য কোন ভিটামিন ভালো?

Comments are closed.

en_USEnglish