আজ শুক্রবার কলকাতা থেকে চেন্নাইগামী ট্রেন দুর্ঘটনা কবলে নিহত ৫০ জন এবঙ ৩ শতাধিক মানুষ আহত হয়েছে। ভারতের ওড়িশায় মালবাহী এবং যাত্রীবাহী ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষটি হয়েছে। দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কলকাতার হাওড়া-চেন্নাইগামী ট্রেন করমণ্ডল এক্সপ্রেস এর সাথে। এ পর্যন্ত নিহত ৫০ জন । তবে এ বিষয়ে পরে আরো আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই দুর্ঘটনায় আহত ৩ শতাধিক মানুষকে উদ্ধার করা হয়েছে। রেল সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদের বালেশ্বরের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে এখনও প্রায় আট শতাধিক মানুষ আটক অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
২ জুন (শুক্রবার) সন্ধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ সীমান্তের কাছে ওড়িশার বলেশ্বর জেলায় এই ট্রেন দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রেনটি পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া জেলার শালিমার স্টেশন থেকে চেন্নাইয়ের উদ্দেশে রওনা হয়েছিল বিকেল ৩টা ২৫ মিনিটে। পশ্চিমবঙ্গ ছাড়াও অনেক বাংলাদেশি চিকিৎসার জন্য দক্ষিণের ভেলোরে নিয়মিত যাতায়াত করেন। ফলে অনেক বাংলাদেশি দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
তবে সন্ধ্যা ৭টার নাগাদ বালেশ্বর স্টেশন থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে বাহানাগা স্টেশনের কাছেই ট্রেনের একাধিক বগি লাইনচ্যুত হয়। মালবাহী গাড়ির সঙ্গে সংঘর্ষে ট্রেনের তিনটি কামরা ছাড়া ১৮টি কামরা লাইনচ্যুত হয়। প্রচণ্ড সংঘর্ষের ফলে মালবাহী গাড়ির ওপর উঠে যায় করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ইঞ্জিন।
এই দুর্ঘটনার পর প্রথমে উদ্ধার কাজে এগিয়ে আসেন সেখানকার স্থানীয়রা। তবে ইতিমধ্যেই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে রেলের কর্মকর্তা, কর্মচারী সহ বিশাল পুলিশ ও উদ্ধারকারী বাহিনী। খবরে বলা হয়েছে, ঘটনাস্থলে দ্রুত গতিতে রিলিফ ভ্যান পাঠানো হয়েছে।
এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় টুইট করেছেন, যে তিনি মুখ্য সচিব এবং আরো অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য বিশেষ পর্যবেক্ষণ করছেন।
সূত্র:- Right News BD