স্বাস্থ্যের দিক দিয়ে বলতে গেলে মানবদেহের কোন না কোন অঙ্গের যেকোন সময় সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর সেই সব অঙ্গের মধ্যে রয়েছে জিহ্বায় ঘা হচ্ছে এক ধরণের সাধারণ সমস্যা।
মূলত এই ঘা’কে ‘এপথাস আলসার’ (Aphthous ulcer) বলা হয়। এই সমস্যা প্রায়ই মানুষ ভোগে থাকেন। যদিও এটি সাধারণত গুরুতর কিছু নয়। তবে এটি কয়েক দিনের জন্য অস্বস্তিকর হতে পারে। তাছাড়া এই সমস্যার কারণে খাবার খেতে অনেকটাই অসুবিধা সৃষ্টি করতে পারে।
এই পোষ্টে আমরা জানবো জিহ্বায় ঘা হওয়ার কারণ, লক্ষণ ও প্রতিকার নিয়ে:
যেগুলো সমস্যার কারণে জিহ্বায় ঘা হয়
পুষ্টির অভাব: ভিটামিন বি১২, ফলিক অ্যাসিড, এবং আয়রনের অভাব এই ঘা হওয়ার প্রধান কারণ হতে পারে।
স্ট্রেস ও উদ্বেগ: মানসিক চাপ ও উদ্বেগও ঘা হওয়ার একটি কারণ হিসেবে কাজ করতে পারে।
অ্যালার্জি: কিছু খাবার বা মাদকদ্রব্যে অ্যালার্জি থাকলে জিহ্বায় ঘা হতে পারে।
বিভিন্ন সংক্রমণ: ভাইরাল বা ব্যাকটেরিয়াল সংক্রমণের কারণেও এই ঘা হওয়ার কারণ হতে পারে।
হরমোনাল পরিবর্তন: বিশেষ করে মহিলাদের জন্য হরমোনাল পরিবর্তনও ঘা হওয়ার কারণ হতে পারে।
লক্ষণ
যন্ত্রণা: ঘায়ের স্থানে তীব্র যন্ত্রণা অনুভূত হতে পারে।
লালভাব: ঘা ঘিরে লাল ভাব থাকতে পারে।
ফুলে ওঠা: ঘার স্থানে কিছুটা ফুলে যাওয়া দেখা যেতে পারে।
খাওয়ার সমস্যা: ঘা থাকলে খাবার খেতে অসুবিধা হতে পারে।
প্রতিকার
পুষ্টিকর খাদ্য: সুষম খাদ্য গ্রহণ করুন যাতে ভিটামিন ও মিনারেলের অভাব না হয়।
স্ট্রেস ব্যবস্থাপনা: মেডিটেশন বা অন্যান্য স্ট্রেস কমানোর কৌশল প্রয়োগ করুন।
মৌখিক পরিচ্ছন্নতা: নিয়মিত দাঁত ব্রাশ করুন এবং মাউথওয়াশ ব্যবহার করুন।
ঘরোয়া চিকিৎসা: লবণ পানিতে মিশিয়ে কুলকুচি করা, মধু ব্যবহার করা অথবা গরম পানিতে স্যালাইন ব্যবহার করে উপশম পাওয়া যেতে পারে।
ডাক্তারি পরামর্শ: যদি ঘা দীর্ঘস্থায়ী হয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত।
পরিশেষে
জিহ্বায় ঘা সাধারণত গুরুতর কিছু নয়, তবে এটি যে কোরোরই পক্ষে অত্যন্ত অস্বস্তিকর হতে পারে। সঠিক প্রতিকার এবং জীবনযাপন ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে এটি প্রতিরোধ করা সম্ভব। যদি এই ঘা দীর্ঘকাল ধরে থাকে বা প্রচণ্ড যন্ত্রণা সৃষ্টি করে, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
সূত্র: Right News BD