চা উৎপাদন কমেছে যে কারণে, গত বছরে সর্বোচ্চ রেকর্ড

গত বছরের তুলনায় দেশে চা উৎপাদন কমেছে, এ বছরে বৃষ্টি না হওয়া এবং গত আগস্ট মাসে চা শ্রমিকদের ধর্মঘটকে দায়ী করেছেন চা উৎপাদনকারীরা। এ বছরে আবহাওয়া অনুকূল হওয়ার কারণে চায়ের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলে আশা করছেন তারা।

চা বোর্ডের সঠিক তথ্য অনুযায়ী, গত ২০২২ সালে এ দেশে ৯ কোটি ৩৮ লাখ কেজি চা উৎপাদিত হয় ১৬৭টি বাগান থেকে । উৎপাদন হিসেবে লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ কোটি কেজি। এদিকে ৬২ লাখ কেজি কম চা এ বছরের শেষে উৎপাদন হয়। ২০২১ সালের চেয়ে উৎপাদন অনেক কম ৩ শতাংশ বা ২৭ লাখ কেজি চা।

চা বোর্ড কর্তৃক নির্ধারিত চা উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হবে না বলে পূর্বেই ধারণা করা হয়েছিল। চা উৎপাদন কমেছে গত আগস্টে চা শ্রমিকদের ধর্মঘটের কারণে অন্তত্য ১৫ দিন চা উৎপাদন বন্ধ হয়ে ছিল। ১৩ আগস্টে সারাদেশে অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট পালন করেন চা শ্রমিকরা। শ্রমিকদের দাবী অনুযায়ী দিন মজুর ১২০ টাকা থেকে বাড়িয়ে ৩০০ টাকা।

তবে গত ২৭ আগস্ট প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চা বাগান মালিকদের সাথে বৈঠকে শ্রমিকদের দিন মজুরি ১৭০ টাকা করার সিদ্ধান্ত হয়। এরপর ধর্মঘট পরিত্যাগ করে চা শ্রমিকরা কাজে যোগ দেন।

যে কারণে কমেছে চা উৎপাদন কমেছে

যে কারণে কমেছে চা উৎপাদন কমেছে

শ্রমিক ধর্মঘট হলে চা উৎপাদন কমেছে গত আগস্ট মাসে মাত্র ১ কোটি ৭ লাখ কেজি চা উৎপাদন হয়েছে। যা পূর্বের বছর সময় অনুযায়ী ৩৬ লাখ কেজি চা উৎপাদন কম হয় । বাংলাদেশ চা সমিতির সভাপতি এম শাহ আলম বলেন, ধর্মঘট হওয়ার কারণে চা উৎপাদন কমে গেছে। বাগান থেকে চা পাতা সংগ্রহ করা যায়নি।

এছাড়া গত বছরের শুরুতে বৃষ্টি কম হওয়াযর কারণে চা চাষের অবস্থা ছিল বিপরীত। প্রথমত এ ২টি কারণে চা উৎপাদন কমে গেছে। এতে অনেক বাগান ক্ষতির মুখে পড়েছে।

২০২১ সালে চা উৎপাদন রেকর্ড করা হয়। সে বছরে ৯ কোটি ৬৫ লাখ কেজি চা উৎপাদিত হয়। ২০১৯ সালে চা উৎপাদনে দ্বিতীয় রেকর্ড হয়। সে বছর ৯ কোটি ৬০ লাখ কেজি চা উৎপাদন হয়েছিল। সে হিসেবে গত বছর ৩য় সর্বোচ্চ উৎপাদন ছিল।

সূত্র:- Right News BD

en_USEnglish