সম্প্রতি সময়ে আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুল শহরে বিয়ের হলে গান বাজানো পুরোপুরীভাবে নিষেধাজ্ঞা জারী করার জন্য প্রস্তুতি গ্রহণ করতে যাচ্ছে তালেবান সরকার। তাদের মতে, এ রকম গান বাজানা করা ইসলামি নিয়মের পরিপন্থী।
এদিকে গত ১১ জনু (রবিবার) আফগানিস্তানের পাপ ও পুণ্য মন্ত্রণালয় থেকে অনলাইনে বলা হয়েছে, যে কোন বিয়ের অনুষ্ঠানে কোনো রকম গান বাজনা করা যাবে না। ইতিমধ্যেই সরকারি এই নির্দেশনা স্থানীয় মালিকদের জানানো হয়েছে। জার্মান বার্তা সংস্থা ডিপিএ এই বার্তাটি জানিয়েছে।
এছাড়াও গত বছর, তালেবান সরকার স্থানীয় মালিকদের জনসমাবেশে গান না বাজানোর পরামর্শ দিয়েছিল। কিন্তু তখন বিষয়টি নিয়ে জোরালোভাবে তা কার্যকর হয়নি।
কাবুলে বিয়ে সহ যেকোন সামাজিক অনুষ্ঠান ভাড়া দেওয়া একটি ভেন্যুর একজন ম্যানেজার ডিপিএকে বলেন, “যদি বিয়েতে কোনো গান বাজানো না হয়, তাহলে বিয়ে এবং শেষকৃত্যের মধ্যে পার্থক্য কী?” তার এই উত্তরের জন্য নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে ওই ব্যক্তির নাম প্রকাশ করা হয়নি।
এদিকে গত ২০২১ সালের আগস্ট মাসে তালেবান সরকার আফগানিস্তানে ক্ষমতা দখল করার পর পরই, বিভিন্ন সঙ্গীতশিল্পী এবং শিল্পীরা দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। তারা বর্তমানে পশ্চিমা দেশগুলোতে অবস্থান করছেন।
তালেবানরা বাদ্যযন্ত্র বাজানোকে ইসলামী শিক্ষার পরিপন্থী বলে মনে করে। তাদের মতে, শুধুমাত্র মানুষের কণ্ঠেই গাওয়া যায় এবং সেই গানটি গাইতে হবে আল্লাহর প্রশংসার জন্যই।
তবে ১৯৯৬-২০০১ সাল অবধি ক্ষমতায় থাকাকালীন, তালেবান বেশ কিছু কর্মকাণ্ডকে অবৈধ ঘোষণা করেছিল। ঘুড়ি ওড়ানো, টিভিতে সোপ অপেরা, অভিনব চুল কাটা সহ গান বাজানো। তখনও এটা করতে নিষেধাজ্ঞা ছিল।
মার্কিন নেতৃত্বাধীন অভিযানে সশস্ত্র গোষ্ঠীটির ক্ষমতা উৎখাত করার পর পরই এই ধরনের নিষেধাজ্ঞাগুলি প্রত্যাহার করা হয়েছিল। এছাড়াও আফগানিস্তানের নতুন তালেবান দখলের পর আবারও কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারী করা হচ্ছে। বিশেষ করে আফগান নারীদের ওপর কড়াকড়ি আরোপ করা হচ্ছে। তাদের মাধ্যমিক শিক্ষার পর থেকেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাদের বিভিন্ন চাকরি থেকেও নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
গান বাজানো : এপ্রিলে উত্তর-পূর্ব আফগানিস্তানে নারীদের দ্বারা পরিচালিত একটি রেডিও স্টেশনও পুরোপুরীভাবে বন্ধ করে দেওয়া হয়। তালেবান কর্মকর্তাদের মতে, পবিত্র মাহে রমজান মাসেও রেডিও স্টেশনটি গানটি বাজিয়েছিল।
বাদাখশান প্রদেশের তথ্য ও সংস্কৃতির পরিচালক মোয়েজুদ্দিন আহমাদি বলেছেন, যে এই ধরনের কর্মকাণ্ড ইসলামী আমিরাতের আইন ও প্রবিধানের অস্বীকার।
সূত্র:- Right News BD