গলায় খুসখুসে কাশি থেকে মুক্তি পাওয়ার ৯টি সহজ উপায়

গলায় খুসখুসে কাশি , শীতকাল শেষে বসন্তের শুরুতে ঋতু পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের শারীরিক পরিবর্তনে নানা ধরনের রোগে আক্রান্তে হয়ে পড়ি। যেমন অ্যালার্জি, শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ, ধূমপান, অ্যাসিড রিফ্লাক্স, অতিরিক্ত ধুলো, ধোঁয়া বা ধোঁয়ার মতো জ্বালাপোড়ার সংস্পর্শে। এটি হাঁপানি, ব্রঙ্কাইটিস বা অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের অসুস্থতার লক্ষণও হতে পারে।

এটি নিউমোনিয়ার মতো আরও গুরুতর অবস্থার লক্ষণ দেখা দিতে পারে। এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য সঠিক কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করা যেতে পারে।

গলায় খুসখুসে কাশি হলে কী করবেন

গলায় খুসখুসে কাশি হলে কী করবেন?

১. গলায় খুসখুসে কাশি হওয়ার সময় আপনার মুখ এবং নাক টিস্যু দিয়ে ঢেকে রাখুন।

২. এমতবস্থায় টিস্যু ব্যবহারের পরে ময়লা টিস্যুটি যথা স্থানে ফেলে দিন।

৩. টিস্যু ব্যবহার করা হয়ে গেলে এসব রোগ থেকে নিরাময়ের জন্য কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান অথবা হ্যান্ড ওয়াশ ব্যবহার করে পরিস্কার পানি দিয়ে হাত ধুয়ে নিন।

৪. আপনার গলা প্রশমিত করার জন্য হালকা গরম পানি বা লাল চা চুমুক দিন।

৫. ওষুধ গ্রহণ করুন, যেমন আইবুপ্রোফেন (অ্যাডভিল), অ্যাসিটামিনোফেন (টাইলেনল), বা আপনার উপসর্গগুলি উপশম করতে সাহায্য করার জন্য কাশির ড্রপ।

৬. আপনার শ্বাসনালী স্বাভাবিক হওয়া এবং কাশি কমানোর জন্য আপনার মুখের উপর হালকা গরম পানি বা স্যাঁতসেঁতে তোয়ালে রাখুন।

৭. ধূমপান, বায়ু দূষণ এবং অন্যান্য বিরক্তিকর নিয়ম থেকে এড়িয়ে চলুন।

৮. হাইড্রেটেড থাকুন এবং প্রচুর পরিমাণে বিশ্রাম নিন।

৯. যদি আপনার কাশি এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলতে থাকে বা জ্বর, শ্বাসকষ্ট, ক্লান্তি এবং বুকে ব্যথার সৃষ্টি হয়, তাহলে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া একান্ত জরুরী।

খুসখুসে কাশির চিকিৎসা

হুপিং কাশি বা পের্টুসিসের চিকিৎসায় সাধারণত অ্যান্টিবায়োটিক অন্তর্ভুক্ত থাকে। সংক্রমণের প্রথম পর্যায়ে, অ্যান্টিবায়োটিক অন্যদের মধ্যে রোগের বিস্তার বন্ধ করতে সাহায্য করে।

পরবর্তী পর্যায়ে, অ্যান্টিবায়োটিকগুলি অসুস্থতার তীব্রতা এবং সময়কাল কমাতে সাহায্য করে। অ্যান্টিবায়োটিক ছাড়াও, বিশ্রাম, তরল এবং কাশি থেকে নিরাময়ের জন্য ওষুধের সহায়ক চিকিৎসার ব্যবস্থা নেয়া যেতে পারে।

সূত্র:- Right News BD

en_USEnglish