গর্ভবতি মহিলাদের গর্ভাবস্থায় কিভাবে ঘুমানো উচিত আবার কিভাবে ঘুমানো উচিৎ নয় সেই বিষয়ে জেনে রাখা অত্যন্ত জরুরী। এ বিষয়ে আবার অনেকেই বলে থাকেন বাঁ দিক করে ঘুমালে অনেক সময় এর সমস্যা সৃষ্টি হয়। আবার অনেকে আছেন ডান দিকে ঘুমাতে পারেন না, তো কোন দিক দিয়ে ঘুমানো ভালো এবং কোন দিক হয়ে ঘুমালে পেটের বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে।
সে জন্য গর্ভবতি মহিলারদের স্বাস্থ্য রক্ষার ক্ষেত্রে গর্ভাবস্থায় কিভাবে ঘুমানো যায় এবং কিভাবে ঘুমোবেন সেগুলো বিষয় নিশ্চিন্তভাবে এই পোষ্টে থাকা বিস্তারিত বিষয়গুলো জেনে নিতে পারবেন। গর্ভাবস্থায় কোন দিকে ঘুমানো সবচেয়ে ভালো আপনার সন্তানের জন্য।
আপনাদের জন্য পোষ্টটি খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। গর্ভবতি মায়েরা সন্তান ধারণের সম্পূর্ণ সময়েই একজন নারীকে খুব স্পর্শ কাতর হওয়ার একটি সময়। গর্ভকালীন শুরু হওয়ার সময় পেট ধীরে ধীরে বড় হতে থাকে, এ কারণে ঘুমের অনেক সময় সমস্যা সৃষ্টি হয় এবং তার সাথে নিঃশ্বাস নিতেও অনেক কষ্ট হয়।
গর্ভাবস্থায় ঘুমের সঠিক নিয়ম
যা কিনা বিভিন্ন সংযোগ পেটের তলের টেনডনকে আলাদা করে দেয়। এর ফলে তারা যথেষ্ট দুর্বল হয়ে পড়ে। পেটের আকার বৃদ্ধি পাওয়ার কারণে এসব দুর্বল জায়গাগুলোতে অত্যাধিক চাপ পড়ে। এতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে, তার সাথে যন্ত্রণার জন্য ঘুম আসতে চায় না সহজে। এরপরও চেষ্টা করবেন সবসময় পাশ হয়ে শোয়ার। সে জন্য চিকিৎসকরা গর্ভাবস্থায় মহিলাদের পরামর্শ দেন পাশ ফিরে শুয়ে থাকতে। একে বলে স্লিপ অন সাইট বা সংক্ষেপে এস ও এস। পাশ ফিরে শুয়ে থাকলে কোমরের এবং পিঠের হাড়ে কোনরকম চাপ পড়বে না।
হৃদপিন্ডে রক্ত চলাচলে কোন প্রকার সমস্যা সৃষ্টি হয় না। পাশ ফিরে শোয়ার আরেকটি ভালো দিক হলো নিঃশ্বাসের সমস্যা না হওয়া। সে জন্য চিকিৎসকরা বলেন বাম দিকে ফিরে শুয়ে থাকা সবচেয়ে ভালো এবং এটিই সবচেয়ে আরামে ঘুমানো সম্ভব। কারণ আমাদের লিভার থাকে ডান দিকে, আর বাম দিকে শুয়ে থাকলে লিভারের উপর চাপ পড়ে না। এতে খাদ্যনালী সিস্টেম যেমন ঠিকঠাক কাজ করে, তেমনি ঘুমের ক্ষেত্রেও এনে দেয় অনেক আরাম।
এছাড়াও আরেকটু সাবধানতার বিষয় সেটি হল ঘুমানোর সময় এদিক-ওদিক ফেরার অনেকেরই অভ্যাস হয়েছে। গর্ভাবস্থায় ঘুমের অসুবিধার কারণে এদিক ওদিক ফিরে নিজের মানুষকে খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করেন। এতে হাড়ের জয়েন্টের উপর চাপ পড়ে। অনেকে ঘুমের মধ্যে এদিক ওদিক ফিরতে শুয়ে থাকার ভঙ্গি বদল করতে অভ্যস্ত। এরকম অভ্যাস করলে নিজের অজান্তেই রক্ত সঞ্চালনের সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। এতে করে নিঃশ্বাসের সমস্যায় ঘুমের ব্যাঘাত ঘটতে পারে, এমনকি বাড়তে পারে কোমর ও পেটেন যন্ত্রণা।
এছাড়াও পাশ ফিরে শুয়ে পেটের নিচে একটি বালিশ নিয়ে শুয়ে থাকতেও অনেক আরাম বোধ করেন। এ কৌশলগুলো শুয়ে থাকার সময় চেষ্টা করে দেখতে পারেন। তবে সবার আগে এক্ষেত্রেও কিন্তু চিকিৎসকের সঠিক পরামর্শ নেওয়া উচিত। তাই সে দিক থেকে কোন ফাঁক না থাকাই ভালো। যাতে পরবর্তীতে কোন সমস্যার সম্মুখীন না হতে হয়।
সূত্র:- Right News BD