গত পহেলা মে (সোমবার) পুলিশের বিশেষ অভিযানে কুমিরের পেট থেকে একজন অস্ট্রেলীয় জেলে কেভিন ডারমোডিকে উদ্ধার করে। এছাড়াও ২৯ এপ্রিল (শনিবার) কয়েকজনের সঙ্গে মাছ ধরার সময় নিখোঁজ হয়ে যায় সেই অস্ট্রেলীয় জেলে । এ বিষয়টি নিয়ে পুলিশ বলছে, এই মরদেহ নিখোঁজ হওয়া কেভিন ডারমোডির।
অভিজ্ঞ জেলে ডারমোডি কেপ ইয়র্কের বাসিন্দা। অবশেষে গত শনিবার উত্তরাঞ্চলীয় কুইন্সল্যান্ডে ‘কেনেডি নদীতে’ কেনেডি বেন্ট এলাকায় দেখা যায় ডারমোডিকে। কেনেডি নদীর লোনাপানির কুমিরের আবাসস্থল হিসেবে পরিচিত ছিলেন তিনি।
সন্ধানের জন্য ওই এলাকায় দুই দিন ধরে খোঁজার পর গত সোমবার পুলিশ দুটি কুমির হত্যা করে মানুষের মরদেহ উদ্ধার করে। ওই মরদেহ ডারমোডিরই কিনা, তা এখনো সঠিকভাবে শনাক্ত করা হয়নি। এদিকে পুলিশ বলে, ৬৫ বছর বয়সের জেলেকে অভিযানের মর্মান্তিক ঘটনা সমাপ্তি ঘটেছে।
এছাড়াও গত সোমবার ২টি কুমিরকে করে হত্যা করা হয়। সেই কুমিরগুলোর দৈর্ঘ্য প্রায় ৪ দশমিক ১ মিটার অর্থাৎ (১৩.৪ ফুট) এবং আরেকটি কুমির প্রায় ২ দশমিক ৮ মিটার। ডারমোডি যে এলাকায় নিখোঁজ হয়ে গিয়েছিল, সেখান প্রায় দেড় কিলোমিটারে কুমির দুটি হত্যা করা হয়।
হত্যা করা কুমির দুটির মধ্যে একটি কুমিরের পেট থেকে মানুষের মরদেহ খুঁজে পাওয়া যায়। তবে বন্য প্রাণীবিষয়ক কর্মকর্তাদের ধারণা মতে, দুটি কুমির এক সঙ্গে ডারমোডিকে খেয়েছে। এদিকে ডারমোডিরকে কখন কুমিরগুলো হামলা করেছে, ডারমোডিরের সঙ্গে থাকা জেলেরাও দেখতে পায়নি। কিন্তু তাঁরা ডারমোডিরের চিৎকার শুনতে পেয়েছিল। এর পূর্বেও পানিতে প্রচণ্ড ঝাঁকুনির শব্দ পাওয়া যায়।
সেখানকার দেওয়া সাক্ষাৎকারে ডারমোডির সহযোগি জন পিটি বলেন, ‘আমি অনেক খোঁজা খুঁজি করেছি কিন্তু তাঁর কোনো চিহ্ন পাইনি। নদীর তীরে তার শুধু স্যান্ডেল পাওয়া যায়, এছাড়া আর কিছুই পাওয়া যায়নি।
এদিকে অস্ট্রেলিয়ার উত্তরাঞ্চলীয় এলাকায় কুমিরের দেখা পাওয়া খুব একটা সাধারণ ঘটনা নয়। তবে হামলাকারী কুমিরের ঘটনা বিরল। গত ১৯৮৫ সালে ডারমোডির ঘটনাটিসহ এ যাবৎ ১৩ বার কুমিরের হামলা হয়েছে মানুষের ওপর।
সূত্র:- Right News BD