বর্তমান বিশ্বের সব দেশেই বহু মানুষ কিডনি রোগে আক্রান্ত। সে কারণে কিডনি সুস্থ রাখতে চাইলে শরীরের কোনো রোগে অমনোযোগী হওয়া উচিত নয়। তা না হলে শরীরে বিভিন্ন অংশে বিভ্রান্তি সৃষ্টি হবে। রক্ত ফিল্টার করা শুরু করে শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ অপসারণ পর্যন্ত কিডনি সুস্বাস্থ্য বজায় রাখতে অনেক ভূমিকা পালন করে। কিডনিতে কোনো ধরণের সমস্যা হলেই তার ধকল পড়ে সমস্ত স্বাস্থ্যের ওপর। সে জন্য কিডনি সুস্থ রাখা একান্ত জরুরি।
বর্তমানে অনেকেই এই রোগে আক্রান্ত। প্রথম পর্যায়ে এই রোগ নির্ধারণ করা যায় না। তবে এই রোগ ধরা পড়লেই তা অনেকটা মারাত্মক হয়ে ওঠে যা কিনা মৃত্যুর মুখেও পড়ার সম্ভাবনা থাকে! পূর্বেই সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে কিডনি রোগের লক্ষণ ও প্রতিকার করতে স্বাস্থ্যকর পরামর্শই পারে সুস্থ হওয়ার একমাত্র উপায়।
তাহলে জেনে নেয়া যাক প্রতিদিনের কিছু পরামর্শ যা কিডনিকে সুস্থ রাখবে।
নিয়মিত শরীর চর্চা
স্বাভাবিকভাবে শারীরিক পরিশ্রম অথবা ব্যায়াম শুধুমাত্র আমাদের কার্যকর রাখে না, স্বাস্থ্যে জটিল সমস্যাও দূর করে। প্রতিদিনের ব্যায়াম রক্তচাপ, ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ, হার্ট এবং কিডনিকে সুস্থ রাখে। এছাড়াও একই সময়ে বিভিন্ন শারীরিক জটিল সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যায়। নিয়মিত দৌড়ানো, সাইকেল চালানো, হাঁটা, সাঁতার কাটা, যোগব্যায়াম কিডনি সুস্থ রাখতে চমৎকার কাজ করে।
প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা
যথেষ্ঠ পরিমাণে পানি পান করলে সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্যের পক্ষে খুবই উপকার। প্রতিদিন নিম্নে ৭-৮ গ্লাস পানি পান করুন। পানি পান করার কারণে কিডনি থেকে সোডিয়াম ও অন্যান্য বিষাক্ত পদার্থগুলিকে ফ্লাশ করে, যার ফলে কিডনি রোগের সকল প্রকার ঝুঁকি হ্রাস পায়। বিশেষ করে যে সব মানুষের কিডনিতে পাথর আছে তাদের বেশি বেশি পানি পান করা জরুরী। নিয়মিত পানি পান করলে কিডনিতে পাথরের সৃষ্টি হতে দেয় না।
ধুমপান থেকে বিরত থাকুন
অতিরিক্ত ধূমপান করার কারণে রক্তনালীগুলিকে ব্লক করে, যার ফলে কিডনিতে রক্ত সরবরাহে বাধাগ্রস্ত হয়। এছাড়াও, ধূমপানের কারণে এক ধরনের কিডনি ক্যান্সার হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। অবশ্য ধূমপান থেকে পরিত্রাণ দিলে কিডনি ক্যান্সার হওয়ার প্রভাবিত হওয়ার ঝুঁকি অনেক কমে যায়।
কিডনি পরিক্ষা
ডায়াবেটিস, কম জন্ম ওজন, কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা, উচ্চ রক্তচাপ, স্থুলতা ও যে সব ব্যক্তিদের কিডনি রোগের পারিবারিক ইতিহাস রয়েছে তাদের কিডনি রোগ হওয়ার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এই সব লোকেদের যে কোন সময় তাদের কিডনি পরীক্ষা করা উচিত।
চিকিৎসকের পরামর্শ
ডাক্তারের/চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কখনোই কোনো রকম ওষুধ খাওয়া যাবে না। সঠিক পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করুন। নিজের মতো করে ওষুধ সেবন করলে কিডনি রোগের আক্রান্ত হতে পারে। ব্যথা অবসাদজনক যেমন আইবুপ্রোফেন ও নেপ্রোক্সেন কিডনির জন্য বড় ধরণের ক্ষতি কারক হতে পারে।
রক্ত চেকআপ
নিয়ম অনুযায়ী প্রতিনিয়ত রক্তচাপ পরীক্ষা করুন। কারণ উচ্চ রক্তচাপ কিডনি রোগের সম্ভাবনা বৃদ্ধি করে। সে সব ব্যক্তিদের উচ্চ রক্তচাপ রয়েছে সে সব ব্যক্তিরা জরুরীভাবে চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন।
সূত্র:- Right News BD