ঈদযাত্রায় যাত্রীদের পরিবহনের সময় অনিয়ম হলে জরুরী ব্যবস্থা নেবে ‘ভোক্তা অধিদপ্তর’

এবারের পবিত্র ঈদুল ফিতরে পরিবহনের সকল কর্মসূচী বৃদ্ধিতে নানা ধরণের অনিয়ম দেখা দিচ্ছে। সে কারণে ঈদযাত্রায় যাত্রীদের পরিবহনের সময় কঠিন সমস্যায় পড়তে হয়। সেহেতু এবারের ঈদে ঈদযাত্রায় যাত্রীদের হয়রানি যাতে না হয় সে ব্যাপারে পাশে থাকবে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। এই সরকারি সংস্থাটি কোন রকম হয়রানির অভিযোগ পাওয়া মাত্র জরুরী ভিত্তিতে ব্যবস্থা নেবে বলে জানিয়েছে।

১০ এপ্রিল (সোমবার) ঢাকা কারওয়ান বাজারে পরিবহন মালিক এবং শ্রমিক সংগঠনের প্রধান কার্যালয়ে সকল নেতাদের সম্মিলিত আলোচনায় সভায় বসেন। উক্ত সভা শেষ হওয়ার পরে সংস্থাটির উপ-পরিচালক আতিয়া সুলতানার প্রেরিত বার্তায় এ তথ্য জানানো হয়েছে।

এই সভায় এ.এইচ.এম সফিকুজ্জামান ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বলেন, এবার ঈদ উপলক্ষে বিশেষ করে কিছু ব্যবসায় (কসমেটিকস, পোশাক এবং পরিবহন) সেবাপ্রাপ্তির চাহিদা অনেকটা বেড়ে গেছে। সে কারণে কোন ভাবেই যাতে সেবা নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে না যায় এসব খাত থেকে, সে জন্য কঠোর অভিযান পরিচালনা চলছে। এবারের ঈদে কোন রকম পরিবহন খাতে কোনো প্রকার অভিযোগ আসা মাত্র প্রথম পর্যায়ে সমাধান করার জন্য পরিবহন প্রতিষ্ঠানকে দ্রুত গতিতে জানানো হবে। এমতবস্থায় কোন রকম সমাধান না গেলে আইনের মাধ্যমে জরুরীভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

ঈদযাত্রায় যাত্রীদের পরিবহনের সময় অনিয়ম হলে জরুরী ব্যবস্থা নেবে ‘ভোক্তা অধিদপ্তর’

এছাড়াও উক্ত সভায় আরো বলা হয়, সঠিক মূল্যে টিকিট বিক্রয় ছাড়া বেশি লাভের আশায় টিকিট বিক্রি করা, যথাযথ পৌঁছার আগেই গাড়ি থেকে মাঝপথে যাত্রীদের অহেতুক নামিয়ে দেওয়া এবং শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়ির ভাড়ার শর্তে কোন রকম সেবা না দেওয়া হলে তা কিন্তু অনিয়ম হবে বলে সু-নিশ্চিত করা হবে।

এছাড়াও সে সব যাত্রীদের যাবতীয় মালামাল অকারণে টানাহেঁচড়া করা, নির্ধারিত কাউন্টার ব্যাতিত যাত্রীদের অহেতুক ওঠানামা করা, যাত্রার নির্ধারিত সময় ছাড়া অতিরিক্ত সময় যাত্রাবিরতি দেওয়া, যাত্রীদের একমাত্র আসন ছাড়া বেশি যাত্রী বহন করা , সঠিক সময়ে গাড়ি না ছাড়লে এবং সিটিং সার্ভিস অনুযায়ী যাত্রীদের তুলে দিয়ে অন্য যাত্রীদের সেই সিটে বসার ব্যবস্থা না হয় সেই বিষয় না ঘটে, ভোক্তা অধিদপ্তর এগুলো জরুরীভাবে সতর্ক করেছে ।

সেই সাথে উক্ত সভা থেকে সকল যাত্রীদের সাথে খারাপ ব্যবহার না করা এবং লাইসেন্স ছাড়া অনভিজ্ঞ ড্রাইভারকে দিয়ে গাড়ি চালানো থেকে সম্পূর্ণভাবে বিরত থাকার জন্য মালিক-শ্রমিকদের পক্ষে সঠিকভাবে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

যাত্রীদের কাছ থেকে ভাড়া বেশি নেওয়ার কারণ দেখিয়ে গাড়িতে যাত্রীভর্তি থাকলেও গাড়ী ফেরার সময় যাত্রীশূন্য থাকার জন্য দায়ী করেন । এছাড়াও ঢাকার মধ্যে যাত্রী অতিরিক্ত সময় ভোগান্তিতে পড়ার কারণ হিসেবে ঈদের সময় গাজীপুরে অন্তত্য ২৫ লাখ পোশাকশ্রমিক একসাথে ছুটি পাওয়াকে পরিবহন নেতারা দায়ী করেন।

ঈদযাত্রায় যাত্রীদের পরিবহনের সময় অনিয়ম হলে জরুরী ব্যবস্থা নেবে ‘ভোক্তা অধিদপ্তর’

এদিকে মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, ঈদের সময় পরিবহনের সাথে জড়িত কর্মচারীরা রাস্তায় ঈদ কাটায়, সে সব ঈদযাত্রায় পরিবহনে কর্মচারীদের সকল প্রকার সুযোগ-সুবিধার জন্য জরুরীভাবে নজরদারী দেওয়া প্রয়োজন। কেননা এক সাথে কাজ করলে এবারের ঈদযাত্রায় অনেকটা আরামদায়ক হতে পারে বলে মতপ্রকাশ করেন তিনি।

বিআরটিএ বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন, ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, বাংলাদেশ ট্রাকচালক শ্রমিক ফেডারেশন এবং নিরাপদ সড়ক চাইয়ের প্রতিনিধিরাও এ সভায় যোগ দেন।

সূত্র:- Right News BD

en_USEnglish